হুমায়ূন আহমেদ একাই প্রথম প্রমান করেছেন ভারী ভারী দর্শনের ওজন আর কঠিন বাক্যবিন্যাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মধ্যবিত্তের প্রতিদিনের সাধারন যাপিত জীবন নিয়ে উপন্যাস রচনা করা যায়, লেখালেখি করে স্বচ্ছলতার সাথে জীবিকা নির্বাহ করা যায় এবং অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করা যায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে পাঠক সৃষ্টি হয়, পাঠক বই কিনে এবং বই পড়ে। উনার অল্প বয়সী কঠোর সমালোচকগনের অনেকেই হয়তো স্বীকার করবেন না যে, উনার লেখা বই পড়েই তারা পাঠক হয়েছেন।
তিনি আজ মৃত্যু বরণ করেছেন। অথবা মৃত্যু তাকে বরণ করেছে। মৃত্যু হুমায়ূন আহমেদের সাথে আমাদের একটা দেয়াল তুলে দিয়েছে। দেয়ালের এপাশে বসে বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যত আয়ু রেখা দৈর্ঘ্য কষে আজ হলফ করেই বলা যায় হুমায়ূন আহমেদ শেষ পর্যন্ত অমরত্বকেই বেছে নিলেন।
——–
এই পোস্টটির সাথে সহমত পোষন করলে পোস্টটি শেয়ার করুন
লেখকের ফেসবুক আইডি Abu Sayeed Ahamed