জাবিতে নাগরিক সাংবাদিক মিলনমেলা, কিছু কথা কিছু স্মৃতি

সাজ্জাদ রাহমান
Published : 12 Oct 2016, 07:55 AM
Updated : 12 Oct 2016, 07:55 AM

গত বছর যখন ব্লগলেখক-বন্ধুরা চন্দ্রিমা উদ্যানে কৃষ্ণচূড়া আড্ডায় মিলিত হলেন- তখন খুব আক্ষেপ হচ্ছিলো। কেনো যোগ দিতে পারলাম না। সেবারই মনস্থীর করলাম- যদি বেঁচে থাকি পরের বার সুযোগ এলে হাতছাড়া করবো না। অনেকদিন অপেক্ষার বন্ধু কাজী শহীদ শওকত এর পোস্ট পড়ে মনটা আনন্দে নেচে উঠলো। সাথে সাথেই নিজের আগ্রহের কথা জানালাম। বন্ধু নিতাই দা এবং কাজী শহীদ শওকত সানন্দে অভিবাদন জানালেন। অভিবাদন জানালেন আইরিন সুলতানা।

পথে হলো দেরি…

৭ অক্টোবর সকাল বেলা।গভীর রাত অবধি টিভি স্টেশানে কাজ থাকায় দেরীতে ঘুম থেকে উঠা। ঘড়িতে তখন ১১টা। ঘুম ভাঙ্গার পরই কাজী শহীদ শওকতকে ফোন দিলাম। জানালেন- তিনি বাসে, গন্ত্যবের খুব কাছাকাছি। আমি উঠে দ্রুত রেডি হয়ে নীচে নামলাম। মিরপুর দশ নাম্বার গোল চত্ত্বরে এসে সাভারের গাড়ি খুঁজছি। কিন্তু পুরো এলাকা গাড়ি শূন্য। ওইদিনই ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ এর খেলা উপলক্ষ্যে পুরো এলাকা যানবাহন বিহিন করে ফেলা হয়েছে। একটা রিক্সাও পাচ্ছিনা। পায়ে হেটে সনি সিনেমা হল পর্যন্ত। সেখান থেকে গাবতলীর উদ্দেশ্যে একটা লেগুনায় চেপে বসলাম। কিন্তু সেটা মাজার রোড অবধি যেয়ে আর যাবেনা। নেমে কিছুদুর গিয়ে বাসের অপেক্ষা। আমি যাবো তো তাই হয়তো আজ লোকাল বাসেরও দেখা নেই। বিশ মিনিট পর একটা বাস পেলাম। কিন্তু কিছুদুর গিয়েই বাসটি একটা পেট্রোল পাম্পে ঢুকে গেলো। একি! এবার পদব্রজে গাবতলী বাস স্ট্যান্ড।সেখানে গিয়ে দেখলাম একটি বাস সাভারের দিকে যাত্রী নিচ্ছে। কিন্তু টিকেট নিতে গেলে বললো- টিকেট শেষ। পরের গাড়ি আসলে টিকেট দিবে। গাড়ি নাকি এক্ষুনি চলে আসবে। ওমা! বিশ মিনিট দাঁড়ালাম। গাড়ির কোনো লক্ষণ নেই। এবার কিছুটা সামনে যাওয়ার পর আরেকটি গাড়ি পেলাম পাটুরিয়া রুটে। টিকেট কেটে উঠে বসলাম। উঠে দেখি যাত্রী খুব কম। পুরো গাড়ি ভর্তি না হলেতো ছাড়বেনা। মারিছে! আইজ ইরাম হতিছে ক্যা? তখনি পেটে যন্ত্রণাটা অনুভব করলাম। নাস্তা করা হয়নি। নিচে নেমে একটা কলা বনরুটি আর চা খেলাম। গাড়ি ভর্তি হতে আরও দেরি। তবুও সীট না নিলে শেষে সমস্যা হবে। জানালার পাশে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ পর একজন লোক এলো। তিনি বললেন- আমি এই সিটটা 'উল্টে' রেখে গিয়েছিলাম। আমি বললাম- আমিতো 'সিধা' পেয়েছি, কেন?  লোকটি বলল- আমি জানালার পাশে বসবো।' বেশতো বসেন। উঠে গিয়ে সিট ছেড়ে দিলাম। মনে মনে ভাবলাম, বেটা বোমিটিং লেডিস কোথাকার। তারপর বাসতো ছাড়ি ছাড়ি করে আর ছাড়েনা। এক সময় যখন গাড়িটা মনে ঈদের আনন্দ দিয়ে ছাড়লোই, পরে আনন্দটা বিষাদে পরিণতঃ হলো। বিস্কিটের প্যাকেট আকৃতির আমার বাস এমন দূরন্ত গতিতে ছুটছে যে- পাশের ভ্যান গাড়িও তাকে ওভারটেক করে চলে যাচ্ছে। মরণ আমার!

মোবাইলও আজ আমার শত্রু…

ভাবলাম অকুস্থলের বন্ধুদের সাথে একটু যোগাযোগ করা যাক। মোবাইল হাতে নেয়ার পর দেখি পাওয়ার সিমিত। মাত্র চার পারসেন্ট। সেকিরে? সারা রাত তো চার্জ দিলাম। ফোন না দিয়ে সুইচ অফ করে দিলাম। জাবির গেটে নেমে খুলে ফোন দিবো। শেষে মোবাইলের শত্রুতায় বাকিদের খুঁজে পাবোনা।

অবশেষে অকুস্থলে…

আমাকে অবাক করে দিয়ে বাসটি এক সময় জাবির মসজিদ গেটে এসে থামলো। ভেবেছিলাম যেভাবে সে চলছিলো অন্ততঃ বিকেল না করে ছাড়বেনা। মসজিদ থেকে তখন মুসুল্লিরা জুম্মার নামাজ শেষ করে বেরুচ্ছেন। যাক বাবা। আমার সাপ্তাহিক নামাজটাও গেলো। বাস থেকে নেমে মোবাইলটা খুললাম। সে আজ  আমার বাসের চাইতেও স্লো। বুকটা টিপ টিপ করছে। কল লিস্টইতো খুলছেনা। মানি ব্যাগে দরকারি নাম্বারগুলো খুঁজছি। তাও পাচ্ছিনা। আসার সময় এখান থেকে অতিরিক্ত কিছু কাগজ বের করে এসেছি, তার সাথে চলে যায়নিতো? না, সে টাকার ভিড়ে লুকিয়ে আছে। কাজী শহীদ শওকতের নাম্বারে কল দিলাম। মাশাআল্লাহ। ফোন বন্ধ। খুব ভালো। এবার কি হবে? এই গহীণ অরণ্যে আমি কি করে তাদের খুঁজে পাবো। কোন পূণ্যের বদৌলতে জানিনা- জুলফিকার জোবায়ের এর নাম্বারটা পাওয়া গেলো। ফোন দিতেই তিনি পিক করলেন। তিনি বললেন- আমি মসজিদের সামনে, আপনি কই? আমি বললাম- আমিও মসজিদের সামনে। তিনি বললেন- আমি সাদা হাফ শার্ট পরা, হাত তুলছি.. দেখলাম একজন দৃষ্টি নন্দন পুরুষ মানুষ মোবাইল কানে রেখে বাকি হাত তুলে ধরে আছেন। আমিও হাত তুললাম। বললাম- আমি অরেঞ্জ কালার টি শার্ট পরে আছি। তিনি তো আর খুঁজে পাননা। এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। কি আজিব চিড়িয়া আমি, মানসিক চাপে নিজের টি শার্টের কালারটাও ভুলে গেছি। এটাতো পিঙ্ক কালার! হায় হায়। কাছে গিয়ে পরিচয় দিলাম। পাশে দাঁড়িয়ে মজিবুর রহমান।সহাস্যে অভিবাদন জানালেন। কিন্তু আমি হাসতে পারছিনা। নিজের উপর এতো বিরক্ত যে- হাসতেও ভুলে গেছি। তবুও হাসির অভিনয় করলাম। মনে মনে ভাবলাম- ওঁরা হয়তো ভাবছেন আমি ভাব ধরে আছি।কিন্তু উপায় নেই। আমি সত্যিই এডজস্টেড।

দুই বন্ধু আমাকে টেনে নিয়ে গেলেন কয়েকটা টং ঘর চা দোকানের সামনে। সেখানে দু'জন সুন্দরী রমনী, দুজন সুশ্রী কিশোরী আর জনা কয়েক যুবক। একজন লাল সবুজ জামা পরা, ফর্সা গালে হাসি ছড়িয়ে দিয়ে আমাকে অভিবাদন জানালেন- বুঝলাম ইনি আইরিন সুলতানা। অদূরে বসে আছেন উঁচা লম্বা সাড়ে পাঁচ ফিট ব্যক্তিত্ব সম্পন্যা সুন্দরী রোদেলা নীলা। পাশের দোকানে কি যেন করছেন হ্যাংলা পাতলা নিতাই বাবু। শফিক মিতুল, দাঁড়িওয়ালা আতা স্বপন, সবাই হাত মিলালেন। নিতাই বাবুর সাথে সখ্য অনেক দিনের।তাঁর সাথে কোলাকুলি হলো।  আমার ভাবখানা এমন যে- আমি যেন গাজীপুরের ডিসি। মনে মনে নিজেকে বকছি, তোর আজ কি হয়েছে। একটু সুস্থির হ বাপ ধন।

ফটোশুট সেই সাথে বেলুন শুট…

হাঁটতে হাঁটতে আমরা এক জায়গায় এসে থামলাম। এক বুড়ো লোক বোর্ডে বেলুন আর পাখি মারা রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে। এখানে পয়সার বিনিময়ে পাখির বদলে বেলুন ফুটা করা হয়। দেখলাম সবাই লেগে গেলো এবং দারুন পারদর্শীতার সাথে ফুটাচ্ছে। রোদেলা, আইরিন, আতা স্বপন, মুজিবর, আমাদের নিতাই বাবুও কম যাননা। তার রাইফেল ধরার পোজটা দেখার মতো। তিনি যেন বেলুন ফুটানোর জন্য রাইফেল ধরেননি। ভাবখানা্ এমন যে- তাঁর সামনে পাক হানাদার, তিনি হলেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা। ভাবছিলাম ডিফেন্স এর লোক এদের পেলে হয় তাদেরকে দিয়ে স্নাইপার রাইফেল চালাতো, আর না হয় বন্দী করে রাখতো জেমবি দলে যোগ দেয়ার ভয়ে। মুজিবরের তো পাকা হাত। কোনোটাই মিস হয়না। পরে জানলাম তিনি এক সময় বিএনসিসি'র সাথে যুক্ত ছিলেন। প্রশিক্ষণটা তখনই নিয়ে রাখা।

সবার মাঝে কৈশোরের দূরন্ত উচ্ছাস, সেই সাথে উচ্ছসিত অনেকের সাথে থাকা ক্যামেরা। এর মধ্যে শহীদ শওকত মুখে প্রশস্ত হাসি নিয়ে বিরামহীন সাটার টিপে চলেছেন।একবার মনে উঁকি দিলো আমিও রাইফেল চালাই। কিন্তু সাহসের বড়ই অভাব। কারণ আমি লক্ষ্য ভেদে বরাবরই অপটু।আর আজতো নিজেকেই চিনতে পারছিনা।

মিশন টু ভর্তা হোটেল…

হৈ হৈ করে সবাই ভ্যানে। আমি আতা স্বপন মুজিবর শহীদ শওকত একটাতে, বাকিরা অন্যটায়। পেছনের ভ্যানে আমরা, সামনে বাকিরা। ধীর লয়ে ভ্যান ছুটছে জাবির বনানী ঘেরা সরু রাস্তায়। একটা ঠান্ডা মিষ্টি হাওয়া লাগছে গায়ে । চারপাশে তারুণ্যের রোদ ছড়িয়ে আছে। লক্ষ্য করলাম, মনের গুমোট ভাবটা আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করেছে। দু'হাজার এক সালে নিমকোর ফিল্ম মেকিং কোর্সে অংশ নেয়া জাবির কিছু ছাত্র বন্ধুদের নিমন্ত্রণে এসেছিলাম এই তরু ছায়াময় স্বর্গে।কাটিয়েছিলাম এক দিন এক রাত্রী। সবুজ  তারুণ্যের এই মেলায় মন চাইছিলো ক্যাম্পাসের ছাত্র হয়ে থেকে যাই। আজও সেই ইচ্ছেটা মনে উঁকি দিচ্ছে।বয়সটা কমতে শুরু করেছে। আতা স্বপনের কন্ঠে কোনো এক চেনা লোক- সঙ্গীত এই মুহুর্তে নতুনের মতো শোনাচ্ছে। ঠিক এই সময় বিধি বাম। আমাদের পাইলটের লাল গামছাটা রাস্তায় পড়ে গেছে। গাড়ি থামলো। পাইলট ছুটে গেলেন গামছা আনতে। এরই ফাঁকে আমাদের সামনের গাড়িটা উধাও। পাইলট বললেন – ভাবনের কিছু নাই, আমি জানি ও কোথায় গেছে।' কিন্তু অনেকদূর যাওয়ার পরও ওদের দেখা নেই।ওরা গেছে ডানের শহীদ মিনার ধরে বটতলার দিকে। আর আমরা সোজা। ঘুরে এসে আরতো খুঁজে পাইনা।শওকত ভাই ফোন দিলেন। বললেন- চলো বটতলায় যাই। পাইলট এবার পল্টি নিলেন। বললেন- আমারে আগে কইলেইতো নিয়া যাইতাম।' কিন্তু এই লোকই একটু আগে বলেছেন- তার সামনের গাড়ি কোথায় গেছে সে জানে।'

বটতলায় বট কই, এ শুধু ভর্তা বাজার…

বটতলায় কল্পনার সেই সুবিশাল বটবৃক্ষের বদলে এক শিশু বটগাছ। আর সারি সারি খাবারের দোকান । প্রতিটিতে নানা পদের ভর্তা ভাজি। মাছ মাংসের কমতি নেই। দেশর পর্যটন এলাকাগুলোর মতোই সেই আয়োজন।সদলবলে ঢুকলাম একটি দোকানে। নানা পদের মুখরোচক ভর্তা আর মাছ মাংশ শাক-সব্জি। স্বাদে অবশ্যই ভিন্নতা আছে। আমার পাশে আতা স্বপন তার পাশে জুলফিকার জোবায়ের, সামনে মুজিবর ভাই, কাজী শহীদ শওকত এবং অন্য এক বন্ধু.. যার কথা মনে করতে পারছিনা। আতা স্বপনের মুখে জাবির ভর্তার ঝাল আর কন্ঠে বউয়ের রান্নার প্রশস্তি।

শেষ বিকেলের আড্ডা…

খাবার শেষে ভ্যান যোগে জহীর রায়হান মিলনায়তনের সামনের সিঁড়িতে চলল আড্ডা আর ছবি তোলা। স্বরচিত কবিতা শোনালেন আইরিন সুলতানা। সবার হাতে তুলে দিলেন বিডি নিউজ প্রকাশিত ভ্রমণ কাহিনী ভিত্তিক প্রকাশনা 'নগর নাব্য।' এরই মধ্যে এখানেই আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ফারদিন ফেরদৌস।

নিতাই বাবুর লটারি…

নিতাই দা জানালেন- তাঁর হাতে চারটি রঙিন রেপারে মোড়া গিফ্ট বক্স রয়েছে। যে চারজন ভাগ্যবান লটারিতে জিতবেন তাদের জন্যে এই উপহার।একজন টিপ্পনী কাটলেন- তাহলে ভাগ্যবতিদের কি হবে? আমি জীবনে কোনদিন লটারীতে জিতিনি। জানতাম আজও জিতবোনা- পাতার বিড়ির মতো মোড়ানো কাগজ টানলাম। যথারীতি আমার কপাল শূণ্য। বাকিরা পুরস্কার গ্রহণ করলেন এবং প্রতিক্রীয়া ব্যক্ত করলেন। কিন্তু আতা স্বপনের প্রতিক্রীয়াটা ভিন্ন .. তিনি পাশের পুকুরে গিয়ে গড়িয়ে পড়লেন। তবে পানির স্পর্শ পাননি। তার বদলে অচেনা মূদ্রায় নৃত্য করছেন। কেননা তার পাজামার ভেতর দিয়ে কোনো এক বেরসিক পোকা ঢুকে হামাগুড়ি খাচ্ছে। আতা স্বপন নাচছেন.. বাকিরা হাসছে।

আলো আঁধারিতে ডকুমেন্টারি শুটিং…

আইরিন সুলতানার চিত্রনাট্যে এবার 'বিডি ব্লগ' এর ডকুমেন্টারি শুটিংয়ের জন্যে আমরা একত্রিত হলাম জাবির ছায়া মঞ্চের ঠিক সামনে। ঘাষের উপর আর বেদিতে ছড়াছড়ি করে বসেছি। আমার পাশে অভিনেত্রী লেখক সেই সাথে নৃত্যশিল্পী রোদেলা নীলা।বিকেল থেকেই প্রকৃতির ইচ্ছায় নিজেদের অজান্তেই কাছাকাছি। চলছে গল্প আর শুটিং। একজন ডিরেক্টর হয়েও নিজের শট দিতে গিয়ে দুই বার এনজি দিলাম। তৃতীয় শটটাও আমার বিবেচনায় এনজি ছিলো। কিন্তু সময় স্বল্পতার জন্যেই বোধকরি এখানকার ডিরেক্টর শট 'ওকে' বলে ছেড়ে দিলেন আমাকে।

ভাঙ্গলো মিলনমেলা ভাঙলো…

শরতের মৃদু হিমেল হাওয়ায় আলো আঁধারি ঘেরা পিচঢালা পথ ধরে আমরা হাটছি। পাশে আইরিন। এই অন্ধকারেও তার  মুখে চাঁদের নরম আলো। সন্ধ্যা নেমেছে তাই-হয়তো রোদেলা নেই। চাঁদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সূরুয অস্তাচলে ডুব দিয়েছেন। পরে জানলাম কোন এক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে কবিতা পড়তে গেছেন তিনি।

জাবির মসজিদের সামনের গেটে আরেক দফা আড্ডা, চা বাজি। এক এক করে বিদায় নিচ্ছেন বন্ধুরা। ততক্ষণে আমি ধাতস্থ হতে শুরু করেছি। বুকের এক কোনে নির্জলা হাহাকার। কখনো কখনো মানুষ পেয়ে বোঝেনা সে কি পেয়েছে, হারানোর পর বোঝে কি হারিয়েছে। ওদের বিদায় দিতে গিয়ে বেহাগী বেদনার সুর হৃদ গহীণে। আমিও বিদায় নেবো- হাত মেলালেন হোস্ট হিসেবে সারাদিন সঙ্গ দেয়া জাবির সেই বন্ধুরা শফিক মিতুল স্বাধীন অনিক পলাশ এবং এম এ জামান।

স্মৃতি সব সময় বেদনার হয়। সেটা সুখের ছিলো কি দুঃখের। সময়ের পলিতে হয়তো অনেক কিছুই ঢাকা পড়ে যাবে, কিন্তু হারাবেনা এই সব প্রিয় মুখ। যাঁরা মেধা ও মননে অসম্ভভ ভালো মানুষ।

কিশোর কুমারের কন্ঠে গাওয়া একটি গানের কলি মনে পড়লো- 'আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো, আমায় পড়বে মনে, কাছে দূরে যেখানেই থাকো।'