একটি বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা- এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ইইউ-র মানবতাবিরোধীর পক্ষে অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জোরালো প্রতিবাদের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যথার্থই ধোলাইটা দিয়েছেন তাঁর আজকের বক্তৃতায়। তিনি আমাদের মনের কথাটিই বলেছেন, "আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জানতে চাচ্ছি যে, এই উদ্বেগটা তাদের কোথায় ছিল যখন ইসরায়েল গাজায় অন্তঃসত্ত্বা নারী আর ছোট ছোট শিশুদের হত্যা করেছে? তখন তাদের উদ্বেগটা কোথায় ছিল? তখন তাদের উদ্বেগ দেখলে খুশি হতাম।"
তিনি পশ্চিমাদের সমালোচনা করে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, "তাদের দেশের মানুষ- মানুষ। আর আমার দেশের মানুষ, মানুষ না?" (বিডিনিউজ২৪ডটকম, ৩০,১০,২০১৪)
তাঁর সোচ্চার কন্ঠের প্রশ্নটি ছিল অকাট্য, "১৯৭১ সালে মানুষ হত্যা করে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে নাই? যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাদের পক্ষে তাঁরা (ইইউ) উদ্বেগ প্রকাশ করেন কীভাবে?" তিনি একজন দেশ-প্রধান হয়ে প্রতিবাদটি করায় আমি শান্তি পাচ্ছি। এভাবেই পশ্চিমাদের দু'মুখো নীতির জবাব দিতে হবে।
আজকে মানবতাবিরোধী অপরাধে মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে উদ্বেগ জানানোয় মানবাধিকার বিষয়ে পশ্চিমাদের ভুল অবস্থানের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের / জাতির পক্ষ থেকে বিশাল ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য কাজটি করেছেন।
তাছাড়া, তাঁর সাহসী উচ্চারণ, "যে জন্মাবে, তাকে মরতেই হবে। জীবন দেওয়ার মালিক আল্লাহ, নিয়ে যাওয়ার মালিকও আল্লাহ। যেদিন নিয়ে যাওয়ার সেদিন নিয়ে যাবে।" এটাও প্রশংসনীয়। প্রধানমন্ত্রী আজকে যথার্থই জাতির পক্ষে দেশের স্বাধীনতার পক্ষে বলিষ্ঠ মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করেছেন। আমরা দেশের সরকার প্রধানের এধরনের সুদৃঢ় কণ্ঠ শুনতে চাই।