রমনায় কৃষ্ণচূড়া আড্ডা- ২০১৭

শরিফুল ইসলাম সীমান্ত
Published : 15 May 2017, 07:43 AM
Updated : 15 May 2017, 07:43 AM

'এই গ্রীষ্মে ফাগুন আসে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
কনকচূড়া দুলছে দেখো
জারুল তালে তালে।'

অসহ্য গরমে ঘামতে ঘামতে হঠাৎ যদি গাছভর্তি রক্তলাল কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে কেমন লাগে বলুন তো? ঝিরিঝিরি সবুজ পাতার ফাঁকে দখিনা হাওয়ায় অনবরত দোল খেতে থাকা রক্ত-রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া দেখতে আর যাই হোক মন্দ হবে না নিশ্চিত।

গত বছর ১৩ মে'র কথা তাই একটু অন্যরকম ভাবেই মনে থাকার কথা ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কতিপয় সারথির। সদ্য বৃষ্টিতে ভেজা চন্দ্রিমা উদ্যানের সেই ঝকঝকে দুপুরবেলা। সবুজ ঘাসের নরম কার্পেটে বসে কথা, হাসি আর গল্পের ফুলঝুড়ি।

.

একি! দেখতে দেখতে তো এক বছর পেরিয়ে গেলো। হুম! কি আর করা! সময় তো বয়ে যাবে সময়ের নিয়মেই। আমাদের কাজ তো কেবল সময়ের বুকে স্মৃতিচিহ্ন এঁকে যাওয়া। ক্যালেন্ডারের পাতায় একেকটা দিন কতোই না ব্যস্ত আমাদের। দম ফেলবারও যেন সময় নেই। আসুন না ব্যস্ততাকে একটুখানি পাশ কাটিয়ে আবারো কৃষ্ণচূড়ার লাল-সবুজ ছাতার নিচে একটা জম্পেশ আড্ডা হয়ে যাক। কী বলেন?

প্রতিবার চন্দ্রিমাতেই বসেছি আমরা। তবে গ্রীষ্ম তো শহর জুড়েই। বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রমনাতে এই গ্রীষ্মেও বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কনকচূড়া তো আছেই, সঙ্গী হয়েছে সোনালু, লাল সোনাইলও। তারপর কোথাও উঁকি দিচ্ছে জারুল, কোথাও ছায়া দিচ্ছে হিজল। ওটা কি শিরিশ? ওদিকে নাগালিঙ্গম। এমনকি কোথায় উঁকি দিচ্ছে স্নিগ্ধ বকুল।  এমন অসংখ্য জানা-অজানা তরু-বৃক্ষ-ফুল।

সামনে ব্যস্ত হয়ে ওঠার আগেই তাই এই গ্রীষ্মেও হয়ে যাক কৃষ্ণচূড়া আড্ডা। কিন্তু কবে?

আগামি ২০ মে, শনিবার, রমনায় আরেকটি কৃষ্ণচূড়া আড্ডার জন্য হতে পারে উত্তম দিন। গতবার যারা মিস করেছেন তাদের উপস্থিতি এবার সবার জন্যই কাম্য।

শনিবার। ২০ মে ২০১৭। বিকাল ৩টা। রমনা পার্ক।

(প্রাথমিক জমায়েত ছবির হাটে, কিছু সময়ের জন্য)

আমরা একত্রিত হলে আড্ডা এমনিতেই জমে উঠবে, তবু আরো কিছুমিছু থাকবে এই আড্ডাতে –

১. বিশেষত নতুন নিবন্ধিত লেখক/নাগরিক সাংবাদিকদের উপস্থিতি প্রত্যাশা।

২. প্রত্যেকের আগ্রহী অংশগ্রহণে রমনায় বিভিন্ন প্রজাতির ফুল বা গাছ চিহ্নিত করা (নাম বলা)।

৩. আড্ডার ছবি তোলার পাশাপাশি অবশ্যই রমনার গ্রীষ্মের সৌন্দর্য নিয়ে ফটোগ্রাফি। মোবাইল/ডিজিটাল ক্যামেরা/ডিএসএলআর ক্যামেরা সবই চলবে। ছবি তোলার জন্য পর্যাপ্ত আলোর কথা ভেবেই আড্ডার সময় নির্ধারিত হয়েছে।

৪. আড্ডায় কবির উপস্থিতি কাম্য এবং সম্মানিত কবিকে কৃষ্ণচূড়া নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করতে হবে।

৫. যারা পাঠক, তারা কৃষ্ণচূড়া নিয়ে পছন্দের কোনো কবিতা পাঠ করতে পারেন। কোনো গল্প/উপন্যাসে কৃষ্ণচূড়া অথবা গ্রীষ্মের ফুলের উপস্থিতি থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন।

৬. গানের শখ রাখেন এমন কারো কাছে কৃষ্ণচূড়া নিয়ে গান শোনার প্রত্যাশা থাকবে।

৭. হতে পারে কৃষ্ণচূড়া নিয়ে বিশেষ স্মৃতিচারণ।

৮. এবারের আড্ডাতে কৃষ্ণচূড়া/রাধাচূড়ার চারা উপহার হিসেবে দেয়া হবে দুই জনকে। লটারির মাধ্যমে গাছের চারা বিজয়ী নির্ধারিত হবেন। এক্ষেত্রে একজন নতুন লেখক/নাগরিক সাংবাদিক ও একজন পুরনো লেখক/নাগরিক সাংবাদিক প্রাধান্য পাবেন।

তাহলে ঐ কথাই রইলো…দেখা হচ্ছে রমনায়…কৃষ্ণচূড়া আড্ডায়।

***
নতুনদের জন্য পুরনো আড্ডার ঝলক এখানে –