সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, ইতিহাসের শত বছর

শেখ মিজানুর রহমান
Published : 5 Nov 2016, 08:06 AM
Updated : 5 Nov 2016, 08:06 AM

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ইতিহাস ১শ বছরে পালাক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে-

শিরোনাম:
➢ কলি ❀༻-
➢ সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থের পরিসংখ্যান
➢ ইতিহাস থেকে বলছি ❀༻–
➢ মতামত ❀༻-
➢ উপসংহার ❀༻-

—༺❀ কলি ❀༻—

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এদেশের সাম্প্রদায়িকত হত্যারজঙ্গ, তাদের কালো থাবার ব্যপ্তি ইতিহাসকেও হার মানিয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় যে, এ উপমাদেশের বিগত ৬৯ বছরে সাম্প্রদায়িক সংহিংসার মুল কারণ- "ক্ষমতাসীনদের পরোক্ষ সমর্থণ ও রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা"। যদিও রাষ্ট্রগুলি গলাফাটিয়ে অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ফূলঝুড়ি জনতার সামলে উপস্থাপন করেন। তাদের এই যু্ক্তির ভিত্তি কি আদৌও দৃশ্যমান?


লেখার প্রসঙ্গে আসি,
আজকের বিষয়: সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে ৬৯ বছরের ইতিহাসের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের চিত্রের হুবুহ মিল কেন? তাহলে আমাদের উন্নয়নের অযৌক্তিক বক্তব্যবের মানে কি? –

(১৯০৫-২০১৬)

—༺❀ সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্থের পরিসংখ্যান ❀༻—

ধর্মিয় সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার কারণে, বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া অমুসলিম/হিন্দু পরিবারের একটি পরিসংখ্যা তুলে ধরছি। (১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত মোট- ৬০ লক্ষের অধিক)

=> ১৯৫১, ধর্মিয় নির্যাতন, ২.৫৩৩ মিলিয়ন।
✏ ১৯৪৭, ধর্মের ভিত্তিতে বাংলার বিভক্তি সংখ্যালগুদের উপর অত্যাচার ৩.৪৪ লক্ষ
✏ ১৯৪৮, কারণ- হায়দ্রাবাদ অপারেশনে(ভারত দ্বারা) ৭.৮৬ লক্ষ
✏ ১৯৫০, বরিশালে মুসলিম-হিন্দু ধর্মিয় দাঙ্গা ১৫.৭৫ লক্ষ
✏ ১৯৫৬, পাকিস্তান ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা, হিন্দুদের উপর নির্যাতন ৩.২০ লক্ষ
✏ ১৯৬৪ সালের হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা ৬.৯৩ লক্ষ
✏ ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তানীদের দ্বারা হিন্দুদের উপর হত্যাযঙ্গ, ১৫ লক্ষ ।

ধর্মিয় সন্ত্রাসের কারনে ভারত থেকে মুসলমাগন পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ফেরত আসতে বাধ্য হন।
✏ ১৯৫১ সালে ভারত থেকে পাকিস্তান চলেযেতে বাধ্য হন ৬৭১,০০০ মুসলিম উদ্বাস্তু ।
✏ ১৯৬১ সালে মোট সখ্যা দাড়ায় ৮৫০০০০ মুসলিম উদ্বাস্তুতে
✏ পরবর্তী ২দশকে ১.৫ মিলিয়ম মুসলিম ভারত থেকে বাংলাদেশে স্থায়ী হয়।
গ্রন্থসূত্র: Gyanendra Pandey Remembering Partition, Bashabi Fraser Bengal Partition Stories,

মাতৃভূমি থেকে উত্খাত হওয়ার বাস্তবতা, উদ্বাস্তু সহস্র মানুষের দেশত্যাগ, সাম্প্রদায়িক ধর্ষণ, অপহরণ, বলপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ প্রভৃতি নির্মম ঘটনা দিয়ে নির্মিত হয়েছে দেশ বিভাগ নামক দেশ ব্যবচ্ছেদ, যা সংঘটিত হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট কালব্যাপী এবং অব্যাহত থেকেছিল সরকারিভাবে বিভক্তিকরণের প্রায় অনেক দিন পর পর্যন্ত।
প্রকাশিত


–༺❀ ইতিহাস থেকে বলছি ❀༻—

১৯৪৭ সাল:
১৯৪৭-এ দেশভাগের পর ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনকাল ছিল ধর্মের নামে শোষণ-পীড়নের এক অন্ধকার যুগ। ধর্মের উপর ভিত্তি ভারত এবং পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বিভক্ত হয়, স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, এখানে ধর্মীয় বিষয়টিকে মূখ্য বিবেচনা করা হয়েছে। যা সাম্প্রদায়ীকতার নগ্ন প্রকাশ বলতে ধিধা নেই। ১৯৪৭ সালের বিভক্তির জন্য বঙ্গভঙ্গ বাংলার ইতিহাসে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, ১৯০৫ সালের লর্ড কার্জনের ১ম বঙ্গভঙ্গ বাস্তবায়ন করেন। ১৮ মিলিয়ন মুসলিম ও ১২ মিলিয়ন হিন্দু, রাজধানী ঢাকা। ব্রিটিশ স্বাসক মুসলিম ও হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতিকে ধ্বংস করে ধর্মের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয় ১৯৪৭ সালে। এর ফলে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানে এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতে যুক্ত হয়। হিন্দু/মুসলিম দাঙ্গা খন্ড খন্ড ভাবে চলছিল, ১৯০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরবঙ্গভঙ্গ রদ করার প্রস্তাবকদের জন্য এক মর্মস্পর্শী গান "আমার সোনার বাংলা" লেখেন।

১৯৬৪ সাল:
কাশ্মীরে রাসূলুল্লার (স) রক্ষিত একটি চুল অপহরন গুজবে বাংলাদেশে ভয়াবহ দাঙ্গা সংঘটিত হলো ১৯৬৪ সালের ১৪ জানুয়ারি।

১৯৬৫ সাল:
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে, ধর্মিয় বিশ্বাসের কারণে, আক্রান্ত হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিশাল হিন্দু জনগোষ্ঠী। পাকি সরকার কৌশলে নানা ছলা কলায় হিন্দুদের ইন্ডিয়ায় চলেযেতে বাধ্য করেছিল। অর্থাৎ ততকালীন পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অমুসলিম সম্প্রদায়কে শত্রু ঘোষণা করেছিল।

১৯৫২ সাল
ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত অধ্যায় এবং গোটা ষাটের দশকব্যাপী পাকিস্তানি সামরিক একনায়কতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা। স্বৈরশাসন-শোষণ আর গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা কীভাবে একের পর এক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, তা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে।

১৯৭১ সাল
দীর্ঘ দমন পিড়নের মধ্যেও যে সকল অমুসলিম সম্প্রদায় মার্তৃভূমিতে টিকে ছিল, তাদের উপর শুরু হল জাহান্নামের আজাব, নির্দয় গণহত্যার মাধ্যমে মানবতার বহ্ন্যুৎসব ঘটানো হলো, হাজার হাজার অমুসলিম সম্প্রদায় দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হলো। বেসরকারি হিসাবে ৫ লক্ষাধিক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে ইসলামের দোহাই দিয়ে।

ন'মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তি যুদ্ধের পর-
যে কটি অমুসলিম পরিবার, জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করতে পারেন নাই, তারা মাটি কামড়ে পড়েছিল এদেশেই, ৭১ দেশ স্বাধীন হলো, তার ভেবেছিল, আজ আমাদের মার্তৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন, বোধহয় ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা ভিন্নমতের নাগরিক নিরাপত্তা, মর্যাদা নিশ্চিত হবে, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়ীকনীতিটি হয়তো প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু তাতেও কপালে জুটেছে ছাইএর তিলক।

১৯৭৫ এর পর পর আবার শুরু হলো নতুন অধ্যায়, রাষ্ট্রক্ষমতায় বাংলাদেশ বিরোধী পাকিস্তানের পক্ষের ধর্মিয় সম্প্রদায়ীক শক্তি।

১৯৮০র দশকে শেষভাগে দাঙ্গা বাঁধানো হলো, ভারতের বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে। আবার সেই নিরাপত্তাহীনতা বাংলাদেশের মাটি কাঁমড়ে থাকা হিন্দুপরিবারগুলি, আবার সেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিতাড়নের নীলনক্সা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল এদেশের কিছু সম্পদলোভী ধর্মান্ধ ও কু-চক্রিমহল। আবার বাংলাদেশকে অসম্প্রদায়ীক সংবিধানটিকে কেঁচেছিড়ে মুসলিমদের জন্য রাষ্ট্রে ব্যবস্থা পরিণত করার ভয়াবহ চক্রান্ত। সাংবিধানিকভাবে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তনের ব্যবস্থা করে সেই একইভাবে ছিনতাই করা হলো এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার।

১৯৮৪-তে শিখদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এবং
১৯৯২-এ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ ক্ষেত্রে ট্র্যাজিক প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে।


১৯৯২ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, শেষ পর্যন্ত তাকে ধর্মের অবমানাকারী অখ্যা দেয়া হয়, এবং রাষ্ট্রদ্রোহী মামলাও হয় তার নামে।


২০১৩ সাল-
নতু্ন ইতিহাসর রচনার শুচনা লগ্ন, তরুণ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, ব্লগার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাহবাগে যে মহাজাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন সেটি ধ্বংস করার জন্য এ দেশে যারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা_ হেফাজতে ইসলাম-জামায়াতে ইসলামী-বিএনপি একজোট হয়েছিল। শাহবাগের মুক্তচিন্তার তরুণদের তারা 'নাস্তিক' আখ্যা দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করে হত্যা শুরু করে, ঠিক যেমনটি করেছিল আলবদরের ঘাতকরা '৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে। ২০১৩ সালে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা তরুণ ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যার মাধ্যমে ভিন্নমতের অনুসারীদের হত্যার যে সূচনা হয়েছিল তা আরও বিস্তৃত হয়েছে ভিন্নধর্ম, ভিন্ন জীবনধারার অনুসারী এবং ভিনদেশিদের হত্যার মাধ্যমে।

বিশেষভাবে ২০১৫ সালে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী ৬ জন মুক্তচিন্তার লেখক, প্রকাশক ও বুদ্ধিজীবী হত্যার পাশাপাশি বিদেশিদের হত্যা, হিন্দু পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু ও খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের হত্যা বা হত্যার চেষ্টা, শিয়া মুসলিম ও আহমদিয়া মুসলিমদের মসজিদে বোমা হামলা ও হত্যাকা প্রমাণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির প্রতাপ এখনও কমেনি।

–༺❀ মতামত ❀༻—

বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্মের নামে যেভাবে ভিন্নমত, ভিন্নধর্ম, ভিনদেশি এবং ভিন্ন জীবনধারায় বিশ্বাসীদের হত্যা করা হচ্ছে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বিগ্ন ।

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতি সন্ত্রাস ও কালো টাকার কাছে জিম্মি এটা বললে খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না।

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এর বিরুদ্ধ্যে তরুন কন্ঠধ্বনি ডা. ইমরান এইচ. সরকার বলেছিলেন "সন্ত্রাসের ক্ষত কোনোদিন লুকায় না- বলেছিলেন মহসিন হামিদ তাঁর 'দি রিলাকট্যান্ট ফান্ডামেন্টালিস্ট' গ্রন্থে। আসলেই তাই। নাইন ইলেভেন হামলার পর কেটে গেছে এক যুগ৷ কিন্তু এখনও উসকে উঠে সকালের কর্মব্যস্ত নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আছড়ে পড়া বিমানের সেই স্মৃতি৷ লোয়ার ম্যানহাটনের দুই গগনচুম্বী অট্টালিকার মধ্যে এই তো কিছুদিন আগেও পাওয়া গেছে বিমানের জং ধরা ল্যান্ডিং গিয়ারের টুকরো৷ নিউইয়র্ক পুলিশের অনুমান, এটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আছড়ে পড়া ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারেরই টুকরো৷ পাঁচ ফুট লম্বা, তিন ফুট চওড়া, দেড় ফুট ঘনত্বের ব্যাঁকাচোরা জং ধরা এই ধাতুর টুকরোটিতে আছে কেবল এবং লিভার৷ ধাতুর টুকরোটির উপরে স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে বোয়িংয়ের আইডেন্টিফিকেশন নম্বর৷ মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রতিটি সন্ত্রাসীর আইডেন্টিফিকেশন নম্বর খুঁজবে মনুষ্যবোধে জাগ্রত বিবেকবান মানুষ। সন্ত্রাসীরা-যুদ্ধবাজেরা কোথাও পালাতে পারবে না। সময়ের দীর্ঘ পথে সকল হিশেব মিটিয়ে নেবে মানুষ, যাঁরা আক্ষরিক অর্থেই মনুষ্যত্ববোধের অমিয় ঝর্ণাধারায় স্নাত। মানুষ প্রমাণ করবেই- সকল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শান্তির স্নিগ্ধ-শাণিত বাণীতেই পৃথিবী অনন্য হবে, সুন্দর হবে"।


বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্র কেন দায়ী হবে না?

আমি সাম্প্রদায়িকতার সকল ঘটনাকেই এখন সুশাসনের অভাব এবং বৃহত্তর বিচারহীনতার প্রেক্ষাপটের একটা অংশ বলেই মনে করি। ঘটনার সময় সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ করে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা, আগে সচেতনার মাধ্যমে সম্প্রীতির আবহাওয়া তৈরী করা এবং পরে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এবং হেনস্থার মত ঘটনাবলির বিচারের ব্যবস্থা করার মত কতগুলো সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে রাষ্ট্রের। আজ পর্যন্ত কোনো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের কোনো দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি বাংলাদেশে। সেটা খুব বড় একটা শুন্যতা। যে রাজনীতি রাষ্ট্রকে এই জবাবদিহিতার ভিতর আনতে বাধা দেয় সেই রাজনীতিই আসলে সাম্প্রদায়িকতাকে টিকিয়ে রাখে।

আজ এতদিন পরে এসে যেটা বুঝতে পেরেছি সংখ্যালঘু আসলে কিছু অধিকার বঞ্চিত মানুষ, সেটা সব ধর্মে, সব দেশেই আছে।

✌ উপসংহার: পরিশেষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সাম্যবাদ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হউক, বর্তমান পরিস্থির আমূল পরিবর্তন প্রত্যাশা করি।সাম্যতান্ত্রিক গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সাম্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক। জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধ, সন্ত্রাস-দুর্নীতির, কালো ছায়ামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই আমরা। যেখানে থাকবে না কোন ধর্মীয় উগ্রতা, সংঘাত-অস্থিরতা, ধনী/গরীবের বৈষম্য । আমাদের স্বপ্ন একটি সাম্য, সম্প্রীতির সোনার বাংলাদেশ। যা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ৪টি শক্ত লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে।

প্রশ্ন:
( ব্লগার বন্ধু সবিনয় জানতে চাই)
১। ইতিহাস রচনা করবো নাকি ইতিহাস তৈরী করবো?
২। সাম্প্রদায়িক/ধর্মিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে রাষ্ট্র পরিচানার পক্ষে/বিপক্ষে কি বলতে পারি?
৩। বর্তমান বাংলাদেশের অন্যতম ৫টি সম্যসা কি?