"গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রাস্তার দুই পাশের উঁচু, নিচু এমনকি ধানি জমিতে কাঁচা-পাকা ঘর তৈরির হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকেরা চন্দ্রা থেকে সাহেববাজার পর্যন্ত ১১০টি কাঁচা-পাকা ঘর নির্মাণ করেছেন।" – এটা আজকের প্রথম আলোর রিপোর্টের কিছু অংশ। বাকিটুকু পড়লে মানুষের ধান্দাবাজির রকমফের দেখা যাবে, বোঝা যাবে।
সরকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত ও রেলওয়ের জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী দ্বৈত (ডাবল) রেললাইন করার জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আর তাই শুনে বেশী বেশী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার লোভে ওই এলাকার মানুষ জন ও জমির মালিকগণ প্রস্তাবিত বা সম্ভাব্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে টিন, ইট-সিমেন্ট দিয়ে ঘড় তুলছে। এমনকি পাকা বিল্ডিঙে রডের বিকল্প হিসেবে দিচ্ছে "বাঁশ"। এর উদ্দেশ্য একটাই সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এটা নতুন কিছু নয় ! যমুনা ব্রিজ হওয়ার আগেও এই অভ্যাস মহামারির রূপ নিয়েছিল সিরাজগঞ্জ-টাংগাইল এলাকায়। শুধু নিজের জমিতেই নিজে ঘর বানায়নি, গ্রাম্য টাউট বাটপাররা অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে বা লাভের শেয়ার দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তখন এইসব ঘরবাড়ী বানিয়েছিল। যদিও যারা এইভাবে ঘরবাড়ি তুলেছিল তাদের বেশীর ভাগই সর্বস্বান্ত হয়েছিল শেষপর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও এটা থেমে থাকেনি, চলেছে, চলবেই !!!
কিন্তু সরকারের বুলডেজারগুলো কি করছে? দাবী জানাই এগুলিকে দ্রুত একটিভ করা হোক, তা না হলে "লোভের" এই রোগ, মহামারির রূপ নিবে এবং প্রকল্প দুটোকে স্লো করে দিবে কারণ সরকারের মধ্যেও ওদের প্রতি দয়া দেখানোর (ভাগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে) লোকের অভাব হবে না !!!
তাই, সবকিছু দেখে, শুনে ও পড়ে- একটা কথাই বলতে চাই, "ধান্দাবাজ মানুষ" বাংলার আকাশে-বাতাসে, জলে-স্থলে, সবখানে !!!
সব সময় !!!
জাস্ট, একটু সুযোগের অপেক্ষা !!!
১২/০৪/২০১৪