অনেক খুঁজে রাস্তার মোড়ে ভাগ্নেকে আড্ডারত দেখেই- ঝাড়ি দিয়ে ডেকে বললাম, কই থাকিস? এদিকে আয়! কথা আছে।
ভাগ্নে বলল, কি ব্যাপার মামা, তুমি হটাৎ আমাকে খুঁজতেছ? মেঘ না চাইতেই জল? ব্যাপার মনে হচ্ছে বড়ই জটিল? না হলে তোমার তো আমাকে খোঁজার কথা না?
বললাম, বেশী পাকনামি করিস না! তাড়াতাড়ি এদিকে আয় কইতেছি! না হলে কিন্তু …
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ও উঠে এসে জিগাইলো, কি হইছে কও?
বললাম, আজকের খবরটা দেখছিস? তারেক কি কইছে? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কি যা তা বলছে! বিদেশে বসে?
দেখেছি মামা! এতে অবাক হওয়ার কি আছে? তুমি কি ভুলে গেছ যে, জনাব তারেক ১৫ আগস্টে 'ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটা' ঘরের পোলা। ওর কাছে তুমি এরচেয়ে আর কি ভাল আশা কর? বাঙ্গির চেয়ে বিচি বড় হয়ে গেলে এমনি হয়! জান না?
তা ঠিক, কথাটা তুঁই ঠিকই কইছিস, কিন্তু তাই বলে এত দূর? মানুষের তো মত প্রকাশের স্বাধীনতারও একটা সীমা থাকা উচিত! তাই না?
দেখো মামা, তোমাকে আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি- তুমি যতই এই সরকারের সমালোচনা কর না কেন, এরা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে যারা আসবে; তারা এর চেয়ে অনেক গুণ বেশী খারাপ হবে- এটা নিশ্চিত। আমার মনে হয় তারেকের কথায় এতদিনে তুমি তা বুঝে গেছ? হয়ত তুমি সমালোচনা করার সাহসটুকুও পাবে না তখন, এখন যেটা বিনাবাক্যে পাচ্ছো এবং করে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছো!
বললাম, তা ঠিক, আমারও ওর কথা শুনলে- মাঝে মাঝে মনে হয়, এই সরকারের সমালোচনা করাই বৃথা। যেভাবে চলছে চলুক এরা! পাড়লে আরও দুই-একটা টার্ম থেকে যাক! শুধু একটা দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আর সুশাসন দিলেই হবে!
মামা, বুঝলা শেষে; তবে দেরী করে! তয় লেট বেটার দ্যান নেভার। আর একটা কথা মামা! তারেকের এলোমেলো কথাগুলোকে উদ্ভট হিসেবে উড়িয়ে না দিয়ে ভাব! চিল্লাচিল্লি না করে একান্তে ভাব! কেউ বড় একটা প্ল্যান নিয়ে আগাচ্ছে, আর সে হলো সেই প্ল্যানের একটা গুটি মাত্র।- বলেই ভাগ্নে তার আড্ডায় ফিরে গেল!
৬/১১/২০১৪, রাত ১০.১০