যে বাংলা মায়ের সন্তানেরা হ্যাপী-রুবেলের কেসে হ্যাপীকে ঠাইসা গাইল দিলো! নিজেদের মা-বোনের কথা ভুইলা গেলো! বাংলা ভাষায় আসে, এমুন কোন গালি বাদ রাখে নাই এই মায়ের ছেলেরা; যা তারা হ্যাপীরে দেয় নাই! যদিও তাদের মায়েরাও এই হ্যাপীরই জাতই ছিল; আই মিন মাইয়ার জাত ছিল!
আবার সেই একই বাংলা মায়ের সন্তানেরা বৈশাখী মেলায় কিছু মেয়েকে নির্যাতন হতে দেখে সে কি দরদ! ভাবখানা এমুন যে তারা এক্কেবারে ধোঁয়া তুলসী পাতা! কিচ্ছু জানে না? নারী নির্যাতন হয়েছে দেইখা তাদের মাথা নষ্ট হইয়া গেছে! রাইতে ঘুম হয় না! ফেসবুক ব্লগ ফাটাইয়া ফালাইতেছে! ক্যাচালে ক্যাচালে পোষ্ট-লেখা ভইড়া দিতাছে। নির্যাতনকারীদের ছবি; শেয়ার-লাইক মারতে মারতে নেটের ডাটা ফুরাইয়া ফাইলাতেছে।
অথচ এই বাঙালির পুতেরা নিজেরা যে হ্যাপীকে ভার্চুয়ালি হাজারখানেক বার করে রেপ করলো- তা তারা বেমালুম চাইপ্যা গেলো!
আবার, আর একদল, হ্যাপী থেকে শুরু করে সব কিছুতেই মাইয়াদেরই দায়ী করতেছে! কথা তাদের একটাই, 'মাইয়া মানুষ' মানে 'মাইয়া মানুষ' ওদেরকে মানুষের মধ্যে আসতে কইছে কেডা? আই মিন পুরুষের মধ্যে আসতে কইছে কেডা? আরে ভাই, হ্যাপী কেন পুরুষের সাথে শুইলো? আই মিন রুবেলের সাথে শুইলো? সবদোষ হ্যাপী আর মেলার সেইসব মাইয়াদের! ওরা শোয় ক্যা? মেলায় যায় ক্যা?
এই যখন অবস্থা; তখন এই হবু কবি একখানা পদ্য রচনা কইরাছে; বড়ই সোন্দর! আপনাদের পড়াইতে মন চাইতেছে তেনার >>>
সবচেয়ে ভালা হইতো-
তেনারা যদি দাবী তুলিতো!
আইজ থাইক্যা-
মাইয়ার প্যাটে মাইয়া জন্মাইবো
আর, ছেলের প্যাটে ছেলে!
মাইয়াদের পরিবার হইবো-
ছেলেদেরও পরিবার হইবো।
সবই আলাদা আলাদা হইবো-
তাইলেই ড্যাগে কাড়াইয়ে
সুখ উৎরাইয়া উঠতো!
সবচেয়ে ভালা হইতো-
যদি দুইখান পৃথিবী হইতো!
তাইলেও কাম সারছিলো-
কুথাইও কুনো ঝামেলা হইতো ন
শান্তি আর শান্তি! পুড়াই শান্তি!
আর সবকিছু দেইখা শুইন্যা; এই অধম ভাবে-
একখানা নারীবিহীন পৃথিবী মানে; পুরাই সুখ!
২২/০৪/২০১৫ বিকালঃ ২.২৭