থার্টিফার্স্টের উপলক্ষ্য দেখাইয়া বসকে কইলাম, তাড়াতাড়ি ছুটি দ্যান, রাতে কার্ফু।
জানগা! কওয়া মাত্র ব্যাগ লইয়া হাঁটা দিলাম।
বাসার গলির দিকে মুভ করতেই, কানে আসলো- "যশোরের খাঁটি ঝোলাগুড়, লইয়া যান মামা"।
শুইনাই কান খাঁড়া হইলো! তাকাইয়া কইলাম, দাম কত? উনি কইলো, একশো সত্তুর!
কইলাম, গুড়ের দাম একশো সত্তুর? খেজুর গাছের লগে ফাঁসি লমু! আর গুড় থুইয়া চিনি খামু!
উত্তরে উনি কইলেন, মামা এক্কেবারে যশোরের খাঁটি খেজুর গাছের, খাঁটি রসের গুড়! দাম তো একটু বেশী হইবই?
তা জিনিষ আসল তো? ভ্যাজাল নাই তো? যশোরের তো? খেজুরের তো? ঝোলা তো? এক লগে এতো প্রশ্ন শুইনা চেনা দোকানিটা ভড়কাইয়া গেল! তাই দেইখা, আর কথা না বাড়াইয়া এক বাটি লইয়া বাসার দিকে হাঁটা দিলাম।
বাসায় কেউ নাই! বাচ্চা দুইটা গেছে ওদের মামাবাড়ী, সাথে করে আমার বউটারে লইয়া গেছে। পুড়াই আমার রাজত্ব। খাঁচার একলা পাখিটারে কইলাম, তুঁইও একা, আমিও একা। আয় দুইজনে চিয়ার্স করি।
বয়েম থেকে- ওরে ওর খাবার দিয়া, আমি বানাইলাম গুড়ের দুধ চা। গরম মগের ভন ভনাইয়া উঠা ধুঁয়া দেইখা আমার মাথায়ও কবিতার ধুঁয়া জাইগা উঠলো! পরে আর কি করি, পাখিটারে শোনাইয়া শোনাইয়া ওকে নওবর্ষটা উৎসর্গ করলাম!
ঐ ছুঁড়ি
তুঁই জানিস
আমার মনে বাজে কোন সুর?
মন চায়
খেজুর গাছে উঠে পাড়ি রস
আর তোরে দিয়া বানাই ঝোলাগুড়!
একী! ওদিকে যাইস না
আছে ভুত, পাবি ভয়
পিছলে যাবি পড়ি!
জানিস তো না রে
পাগলী, তুঁই যে আমার
স্বপ্নেরই পরী।
মূল টপিকঃ পাগলী টু পাখি! ঝোলাগুড় টু খেজুর গাছ! হ্যাপী নববর্ষ ফর অল!
০১/০১/২০১৭