থাইল্যান্ডের মোটর সাইকেল ট্যাক্সি

সুকান্ত কুমার সাহা
Published : 27 April 2017, 10:09 PM
Updated : 27 April 2017, 10:09 PM

থাইল্যান্ডে এসে এদেশের যেটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে- সেটা হলো ওদের মোটর সাইকেল ট্যাক্সি সার্ভিস। এককথায় এটা একটা দুর্দান্ত সার্ভিস। একটা জ্যাম প্রবণ শহরে এরচেয়ে ভাল সার্ভিস আর হতে পারে না। মেট্রো থেকে শুরু করে ট্যাক্সিসহ সবধরণের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট থাকলেও এদের এই সার্ভিসটা চমৎকার। বিশেষ করে যারা একাকী পর্যটক বা কাজে এসেছে, তাদের জন্য এটা খুবই ভাল বাহন। অল্প খরচে যেকোন জায়গায় যাওয়া যায়। আর এরা প্রায় সব জায়গায়ই চেনে। জাস্ট একটু ওদের ঠিকানাটা বুঝিয়ে দিলেই হলো। এরা টুকটাক ইংরেজি জানে।

শহরের মোড়ে মোড়ে বা যেকোন মার্কেটের কাছে এদের স্ট্যান্ড আছে। সেখানে আছে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়ার চার্ট লাগানো। ইচ্ছে করলেই সেই চার্ট দেখে ভাড়া মিটিয়ে নেওয়া যাবে অথবা চুক্তিভিত্তিতে যাওয়া যাবে।


নারী-পুরুষ উভয়েই এই সার্ভিসে চলাচল করে। স্থানীয়দের মধ্যে যারা ট্যাক্সি ব্যয়বহুল বলে ব্যবহার করেন না; তারা দ্রুত কোন যায়গায় যাওয়ার জন্য এই সার্ভিস ব্যবহার করেন।

অধিকাংশ ড্রাইভারই পুরুষ। আমি গত পাঁচদিনে একজন নারীকে এই সার্ভিসে দেখেছি। রাস্তার জ্যামের ফাঁকফোকরের মধ্যে দিয়ে এরা দ্রুত চলাচল করলেও কখনো এরা ফুটপাথে উঠে আইন ভাঙ্গেনি। দেখিনি কারো সাথে চিট করতে এবং খুব অল্প সময়েই শর্ট ডিস্ট্যান্সে ৬০-৮০ বাথে যাতাযাত করা যায়।


প্রতিটা ড্রাইভারের জন্য লাল রঙের নির্দিষ্ট একটা ড্রেস আছে, যেটা দেখতে অনেকটা হাতখোলা জ্যাকেটের মত। এতে ওই ড্রাইভের নম্বর লাগানো আছে। থাই ভাষায় লেখার কারণে তাতে ওদের নাম লেখা আছে কিনা সেটা বুঝতে পারিনি।


আমাদের ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে এই সার্ভিস চালু করা যেতে পারে।

২৭/০৪/২০১৭