নেপালের থাকালী ফুড। কাঠমন্ডু থেকে একটু বাইরের দিকে গেলেই এই খাবারের ঘরটি পাওয়া যাবে। এটাকে আবার অনেকে গুর্খা থালি বা থাকালী থালিও বলে।
.
.
দুইতলার ছোট্ট এই খাবারের ঘরটি ছোট হলে কি হবে, একেবারেই ঝকঝকে তকতকে। এবং এখানে অর্ডার নেওয়ার পর রান্না করা হয়। তাই যারা এখানে আসে তাদের বেশীর ভাগই আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে আসে, নইলে বসে থাকতে হয়।
আবার অনেক সময় এরা বিশেষ কোন মেন্যুর আয়োজন করলে ভাল কাস্টমারদেরকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয়।
'পশুপতি নাথ' মন্দিরে পুজো দিয়ে আমি, আমার পুরোনো কলিগ রুপক আর ধর্মেন্দ্র একসাথে এখানে খেতে এসেছিলাম। মূলত ধর্মেন্দ্রই তার ট্যাক্সিতে করে আমাদের নিয়ে এসেছে- আমাকে স্পেশাল কিছু খাওয়াবে বলে। আমি যেহেতু খাসীর মাংস পছন্দ করি, তাই সে আগেই এটার অর্ডার দিয়ে রেখেছিল। নইলে ওরা প্রতিদিন খাসির মাংস রান্না করে না।
এই থালিতে আছে নানা ধরনের শাক-সবজী যা খুবই মুল্যবান এবং এগুলো পাওয়া যায় পর্বতমালার একেবারে উপরের দিকে। আমি সেগুলোর নাম ভুলে গেছি।
এদের রান্নার আরও একটা বৈশিষ্ট্য ছিল আর তা হলো- রান্নায় একেবারেই তেল ছিল না, বা দিয়ে থাকলেও তা এত অল্প ছিল যে খাওয়ার পর হাত ধুতে সাবানের প্রয়োজন পড়েনি।
খেতে খেতে ভাত ও পদগুলো শেষ হয়ে গেলে ওরা বারবার সেগুলো আলাদা পাত্রে এনে দিচ্ছিল। যতক্ষণ আমরা- 'আর লাগবে না বললাম' ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সেগুলো বারবার দিচ্ছিল। খাবারের স্বাদও ছিল দারুণ।
খাবারে যে একটা পরিবেশনের বিষয় আছে, সেটা আমরা বাঙালিরা মনে না রাখলেও ওরা কিন্তু রেখেছে। ছবিই সেটা বলে দিচ্ছে। দামও সাধ্যের মধ্যেই।
নেপালে গেলে অবশ্যই ট্রাই করবেন।
২৫/০৬/২০১৬