কটিয়াদীতে যন্ত্রণার নাম অসহনীয় লোডশেডিং!

সুমিত বণিক
Published : 3 May 2016, 06:02 AM
Updated : 3 May 2016, 06:02 AM

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন কটিয়াদীসহ ১৮৬টি গ্রামে অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড দাবদাহ আর ১৪-১৬ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ফলে নাকাল এলাকাবাসী। দিনের বেলায় তো আছেই, সন্ধ্যা হলেই এলাকাজুড়ে নেমে আসে নিস্তব্ধ অন্ধকার।ফলে ব্যবসা বাণিজ্যসহ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচণ্ড দাবদাহে স্বাভাবিক সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। উপজেলার কটিয়াদী জোনের আওতায় কটিয়াদী, নিকলী, অষ্টগ্রাম এবং আংশিক কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত মার্চ মাসের ১৫ তারিখ হতে লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ১২ ঘণ্টারও বেশি। লোডশেডিং শেষে বিদ্যুৎ আসলেও আবার দুই এক মিনিটের মধ্যেই চলে যায়। কিছুটা যেন এই আছে এই নাই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে! ফলে গ্রাহকদের ফ্রিজ,টিভিসহ নানা প্রকার অসংখ্য ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হচ্ছে। বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদেরকেও বেকার জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পাশাপাশি কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে চলছে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতি। দালাল ছাড়া কোনো নতুন বিদ্যুৎ লাইন পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ সরবরাহেও রয়েছে বৈষম্য।

বিদ্যুৎতের এই অসহনীয় যন্ত্রণা এড়াতে সামর্থ্যবান অনেকেই জেনারেটর বা আইপিএস ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছেন। যারা জেনারেটর সংযোগ বা আইপিএস ক্রয়ের সামর্থ্য নেই তারা এক দুর্বিষহ যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। একদিকে অসহনীয় লোডশেডিং অন্যদিকে বিল নিয়েও চলে ভুতুড়ে কাণ্ড। পরিশোধিত বিল পুনরায় নতুন বিলের সঙ্গে যোগ করে, বিলে ভুয়া ইউনিট সংখ্যা যোগ করে গ্রাহকদের অযথা হয়রানি, দুর্ভোগ ও মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। আবার যথাসময়ে বিল পরিশোধ করা না হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়া হয়।কিন্তু সব অনিয়মের কাছেই অধিকাংশ সাধারণ মানুষই যেন অসহায়!

তাই সংশ্লিষ্ট মহল কি দয়াকরে এব্যাপারে একটু তৎপর হবেন? নাকি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কটিয়াদী জোনাল অফিস!

সুমিত বণিক,উন্নয়নকর্মী

কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।