কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলগুলোতে বর্ষাকালে পানিতে থৈ থৈ করে, দুচোখ জুড়ে ভাসে শুধু পানি আর পানি। এই পানিকে ঘিরেই হাওর এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার দৈনন্দিন অভ্যাস পরিবর্তিত হয়। যদিও এই পানি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি ও জন-জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। আবার অন্যদিকে যত্রতত্র ড্রেজিং এবং নদী হতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে। একদিকে নদী হারাচ্ছে আপন সৌন্দর্য অন্যদিকে সামাজিক জীবনে তথা হাওরবাসির জীবিকার উপরও পড়ছে এর নেতিবাচক প্রভাব। কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলগুলোতে যত্রতত্র ড্রেজিং এবং নদী হতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের চিত্র প্রায়ই চোখে পড়ে।
সর্বোপরি, নদীর স্বাভাবিক গতি-প্রবাহই পারে হাওরবাসির জীবনে স্বাভাবিক গতি এনে দিতে। নদী বাঁচলেই, মানুষ ও প্রকৃতি বাঁচবে। এক্ষেত্রে নদীখেকো ও ভূমিদস্যূদের হাত থেকে নদী ও নদীর আপন অস্তিত্ব রক্ষাকল্পে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে।
ছবিটি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদরের বাজার ঘাট হতে তোলা।
সুমিত বণিক, উন্নয়নকর্মী,
মিঠামইন, কিশোরগঞ্জ থেকে
sumitbanikktd.guc@gmail.com