ডিজিটাল বাংলাদেশের দূরদৃষ্টিতা- প্রধানমন্ত্রী সমীপেষু (পর্ব-১)

সুমন দে
Published : 3 March 2017, 04:05 PM
Updated : 3 March 2017, 04:05 PM

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনি ইশতেহারের সব গুলোই একে একে সম্পন্ন হচ্ছে। ডিজিটাল রূপরেখায় বাংলাদেশ বিগত ৮বছরে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং দক্ষ মন্ত্রীসভার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে সমাদ্রিত। বিশ্বের সকল দেশে এখন বাংলাদেশের ডিজিটাল পাসপোর্ট ছাড়া ভিসা পাওয়া যায়না; তেমনই বিদেশে প্রবাসী বাঙালি পাসপোর্ট পরিবর্তনে ডিজিটাল পাসপোর্ট নেয়ার সুবিধা পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আমাদের আরো ভাবার ও করণীয় কাজ রয়ে গেছে!

বিজ্ঞানী নিউটনের গতি সুত্র সবাই জানেন। গতি সুত্রের তৃতীয় সুত্র হচ্ছে: প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বীপরিত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ডিজিটাল বাস্তবায়নে তেমনি নিউটনের তৃতীয় সুত্র খুব বেশি কার্যকর। একদিকে বাংলাদেশে যেমন এগিয়ে যাচ্ছে একটি ভিশন নিয়ে (ডিজিটাল) প্রক্ষান্তরে সেই ভিশন এর আরেক ধাপ এগিয়ে শুরু হয়েছে প্রত্যেকটি মাধ্যমের দুর্ণীতি বা অবিকল নকল সৃষ্টির প্রতিযোগীতা। আমরা কম্পিউটার সাইন্সে সফ্ওয়্যার প্রগ্রামারদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রগ্রাম তৈরীর সাথে সাথে ভাইরাস তৈরীর কথা জানতে পারি। সেই ভাইরাসকে অকার্যকর করার জন্য নতুন করে এন্টিভাইরাস তৈরী করতে হয়।

বাংলাদেশে বর্তমানে শুধু আমরা দৃশ্যত ভাবে হার্ডওয়্যার বেজ প্রিন্টিং, টুল, নেটওয়ার্ক, বিদ্যুৎ খাতে ডিজিটাল মিটার, বারকোর্ড রিডিং, আইডি সিমযুক্ত, ড্রােইভিং লাইসেন্স, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে উপজেলা, জেলা হতে কেন্দ্র পর্যন্ত অবাদ তথ্য বাতায়ন ইত্যাদি বাস্তবায়ন রূপ নিয়েছে। সবগুলো দৃশ্যত ভাবে হার্ডওয়্যার বেজ ডিজিটাল বাংলাদেশের চালানোর জন্য কতটা নিরাপদ সফ্ওয়্যার প্রগ্রামিং তৈরী হচ্ছে? উন্নত বিশ্বে হ্যাকারদের সরকার পৃষ্টপোষকতা দিয়ে রাখে ভিন্ন বিষয়ের প্রগ্রামিংয়ের জন্যে। (উন্নত বিশ্বের) প্রত্যেকটি দেশের আভ্যন্তরিণ বিষয়ে সিকিউরিটি বাড়ানোর জন্যে সেই সব দেশের হ্যাকারগণ বা উচ্চতর প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সরকারি লালন পালনে কাজ করে থাকেন। দেশের অবাধ ইন্টারনেট সুযোগ নিশ্চিত করে এদের সরকারি ভাবে কাজে লাগানো হয়। বাংলাদেশে নিজস্ব ইন্টারনেট সার্ভার থাকলেও সমস্থ দেশ ইন্টারনেট প্রভাইট করছে বিদেশি কোম্পানী!

বাংলাদেশের আগামী ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট উড্ডয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশের নিজস্ব সেটেলাইট স্বাধীন আকাশে স্থাপিত হবে। সেই সেটেলাইট তৈরী করেছে বিদেশি, এর প্রযুক্তিগত বিভিন্ন দিক ও আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্যে বাংলাদেশে এক্সপার্টদের কতটা অবগত রয়েছেন এবং সেই সেটেলাইট থেকে বাংলাদেশ কতটা বেন্ডুইথ, পাওয়ার, এক্স-রে বিজ্যুয়ালেশন, টেলি ও লাইভ টেলিকাস্টে সুবিধা পাবে ? দেশের নিরাপত্তা বিধানে কতটা কাজ করবে ? বিদেশি কোন সংস্থা বা সংগঠন নিয়ন্ত্রিত থাকবে কি না ? দেশের স্বাধীনতার স্বার্থ কারো নজরদারিতে থাকবে কি না ? বিদেশি সংস্থা যেহেতু তৈরী করছে এবং তাদের নজরদারিতে থাকবে কি না ? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের অজানা থেকে যাচ্চে। দেশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেই সব প্রশ্ন গোপন থাকলে কোন বাঁধা নেই। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের আগামীর পথ চলাতে সংশ্লীষ্ঠ সকলের ভাবা উচিৎ। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা চুরি যাওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা নিয়ে।

আমাদের অগ্রগতির আরেকটি ধাপ:  দেশের সর্বস্তরে টেলি ও ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যম জাতিও ভাবে চালু হয়েছে। সেই সকল কাজের দৃশ্যত বাস্তবায়ন আমাদের আগামীর পথ প্রদর্শক হিসেবে যুগান্তকারী সফলতা এসেছে।

চলবে…