খেলোয়াড়রা কারো অধীনস্থ কর্মচারী নন যে তাদের বড় কর্তার মন যুগিয়ে চলতে হবে। তারা দলের কোড অব কন্টাক্ট মেনে চলবেন এটাই শেষ কথা। আমাদের এটা মনে রাখা উচিৎ একজন ভালো খেলোয়াড় টাকায় মেলে না হাজারটা কর্মকর্তা টাকায় মেলে। কোন খেলোয়াড় কোড অব কন্টাক্ট ভঙ্গ করলে বোর্ড তার শাস্তি দিতেই পারে। কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ না করা স্বত্বেও কাউকে দেশের স্বার্থে ব্যবহার না করাটাও তো অন্যায়। সে দায়ও তো কর্তাদের নিতে হবে।
সবার আগে দেশের স্বার্থ তারপরে খেলোয়াড়দের স্বার্থ, কোচিং স্টাফদের স্বার্থ আর সবশেষে কর্মকর্তার। কারো ভাল লাগা না লাগা এ ক্ষেত্রে গৌণ, মুখ্য হল খেলোয়াড়ের যোগ্যতা এবং উপযোগিতা।
কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ঠিক এর উল্টোটাই ঘটছে। বাংলাদেশের ফুটবলের দৈন্যদশার জন্য যা নগ্ন ভাবে প্রকাশিত হলেও ক্রিকেটের যৌবনের কারণে তা অতটা প্রকাশিত হয় না। তবে খেলোয়াড় বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো কখনো কখনো সামনে চলে আসে। কর্মকর্তাদের এটা বোঝা উচিৎ ক্রিকেট উন্মাদনার দেশ বাংলাদেশ। খেলা পাগল এ জাঁতীর সামনে যদি কোন কর্মকর্তার ঐ সব হীনমন্যতা সামনে চলে আসে তাহলে কিন্তু তা কেউই মেনে নেবে না। তারা যেন জনরোষকে মাথায় রাখেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেট যেন কোন কর্মকর্তার ভুলে বা দোষে সামান্য পরিমাণও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ক্রিকেট বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের স্পন্দন, গর্বের ধন, একতাবদ্ধ হওয়ার একমাত্র উপলক্ষ। অতএব এঁকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের দুঃসাহসও যেন কেউ না দেখান।
kmgmehadi@gmail.com