তৌকির
Published : 7 April 2016, 08:48 PM
Updated : 7 April 2016, 08:48 PM

মোট কথা আমাকে আরো বেশি বেশি করে চিন্তা করতে হবে। কেন হলো, কি করে হলো, এরকম না হয়ে ওরকম হলে কেমন হতো এইসব চিন্তাগুলো আসলেই অনেক দরকার।

খান একাডেমি, অন্যরকম পাঠশালা এরকম লার্ণিং ভিডিও গুলো অনেক হেল্প করে, করবে আমাকে। কোচিং এ কেন যাই? কোচিং এ গিয়ে আদৌ কোন লাভ হয়? মেহেদি স্যার বলতে গেলে আজাইরা। তেমন কিছুই হয় না। কয়েকটা প্রবলেম দেয়। এই যা। এর থেকে ভালো প্রবলেম টেস্ট পেপারে আছে। মেহেদি স্যার আর পড়ব না। ইন শা আল্লাহ। ওটা চিরতরেই বাদ।

ইংরেজী পড়া লাগে? পড়তে মজাই। উত্তম স্যারের কাছে তাও নতুন কিছু শেখা যায়। শব্দ- Ephemeral, Rustic, Flabbergasting, Shroud ওটা রাখব। শব্দভান্ডারের জন্যে।

কনক স্যার? রসায়ন? বুঝতে পারছি না। এতে ধন্ধে পড়ে গেছি। ওখানে গিয়ে যা লেকচার শুনি সব খেয়ে ফেলি। না ওটাও পড়ব না।

রণজিৎ স্যার, প্লেজার? প্লেজার রাখা লাগবে। বায়োলজি সে ভালোই পড়ায়। বেসিক ক্লিয়ার হয়ে যায় একেবারে। সুপার্ব। রণজিৎ স্যার? এটাতে সমস্যা আছে। একেতো আমি স্যারের নজরে পড়ে গেছি অন্যদিকে আমার মন টিকছে না। মন যা ভেবে নেয় সেটাই আসল।

তাহলে? মেহেদি, কনক বাদ। প্লেজার, উত্তম থাকবে। আর রণজিৎ স্যার নিয়ে? পরে ভেবে দেখব। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যা করেন তা ভালোর জন্যেই করেন।

আর বিশ দিন পর পরীক্ষা। নয় মাস কলেজ লাইফে কেটেছে। এর মধ্যেই বলে ফাইনাল। উপহাস! উপহাস! কলেজের শিক্ষাব্যবস্থাকে আমি উপহাস করি। এর গোড়ায় হচ্ছে শিক্ষানীতির গলদ এবং যা আছে তারও ঠিকভাবে না প্রয়োগ। সাথে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শিক্ষক পর্যন্ত লোভ, বকশিশের অভ্যাস। কোচিং, গাইডবইয়ের বিস্তার আর এক বিশৃঙ্খল অবস্থাই দায়ী। তবে আমরা নিউ জেনারেশনই কিছু করছি।

আমরা মুভি বানাচ্ছি, লেখালেখি করছি অনলাইনে, বাস্তবে, গবেষণা করছি, গণিত, প্রোগ্রামিং করছি, বিদেশে পড়তে যাচ্ছি, একগাদা সামাজিক কাজ করছি, স্বীকৃতি পাচ্ছি, কাজ করার আগ্রহ জাগছে।

কিছু ঘটলে এই নিউ জেনারেশন দিয়েই ঘটবে। আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে নতুন কিছু আশা করার দিন ফুরিয়েছে।

এটাই তো চাই। এসবের মাঝে নিজেকে যুক্ত করা। ক্ষুদ্র শক্তি দিয়ে অবদান রাখা। আর কী চাই?