সবে অফিসে ঢুকেছি মাত্র। সামনের সোফায় আরামে ল্যাটকা মরে বসে ছিল আব্দুল হক। একসময় হক ছিল রং-মিস্ত্রী , এখন সে মহামান্য মিডিয়া।
'স্যার লোকেশন দেখলে পুরাই টাসকি খায়ে যাবেন ! লেক পাড়ের সতের নম্বর প্লট, সাউথ ফেস। জমির কাগজ এক্কেবারে পানির মতো কিলিয়ার'।
এবং এই মাত্রই খেয়াল করলাম , হকের সাথে হকের গুরু ইন্টারন্যাশনাল জহর আলীও উপস্থিত ! কথিত আছে জহর যদি চায়, আহসান মঞ্জিল'টি পর্যন্ত ফিফটি ফিফটি রেশিওতে সাইন করে ফেলা সম্ভব।
'এই ধানমন্ডিতে সন্ধ্যা নামলেই তখন শিয়াল ডাকতো খুব ! ছিল ব্যাঙ আর গুই সাপ , মানুষ বলতে ছিল গোটা দশ হিরোইঞ্চি আর ছিল কিছু গাঞ্জা খোর । ধানমন্ডি পুরাটাই ছিল একটা ধানক্ষেত ,ছিল ডোবা শত শত । কইলেই কইবেন চাপা দিতাছি। এই জহরের নিজের চক্ষে দেখা স্যার'
এই সুবচন জহরের মুখে , কম করে হলেও ছিয়ানব্বুই বার শুনেছি ।
রিসিপশান বললো -স্যার একটা ফোন আছে , কাকে চাচ্ছেন , তিনি তা বলছেন না , একটু ধরবেন স্যার ? বললাম – দাও , ফোনটা ধরলাম। যিনি ফোন করেছেন, তিনি ফোন করেছেন স্বেচ্ছায়, রেফারেন্স আছে কিন্তু তিনি সেটা এড়িয়ে গেলেন।
-স্যার কোত্থেকে বলছেন? জিজ্ঞেস করলাম। শুধু নামটা বললেন, অর্থাৎ নিজের পরিচয়টুকুও দিতে চাচ্ছেন না। আমি কোম্পানির কী দায়িত্বে আছি, জানতে চাইলেন। বিস্তারিত বললাম, নাম চক্রবর্ত্তী শুনে যেন একটু খুশীই হলেন। এরই মধ্যে সুযোগ করে কোম্পানি সম্পর্কে যতটুকু বললে ঢোলটি অক্ষত থাকে, ততটুকু বলে দিলুম। বললাম- 'স্যার, এমডি স্যারের সাথে কি একটু কথা বলবেন? এমডি স্যারের কোয়ালিফিকেশন কী জানতে চাইলেন। বললাম ইলেক্ট্রোমেকানিক্যালে এআইটি ব্যাংকক থেকে মাস্টার্স। রাজি হলেন, স্যার জাস্ট আ মিনিট, বলেই লাইন হোল্ড করে এমডি স্যারকে বললাম- স্যার বনানী ছয় নম্বর রোড , সি ব্লক , সম্ভবত ডেভালাপ করতে চান ।
স্যার বললেন- তুমিই কথা বলছো , তুমিই বলো না, জানোনা আমি টায়ার্ড আছি। বললাম -স্যার জাস্ট একটু হ্যালো বলে দেন , আপনি আছেন , ভুলে বলে ফেলেছি স্যার। লাইন ট্রান্সফার করে দিলাম। কুশলাদি বিনিময় পরেই এম ডি স্যার জানতে চেয়েছিলেন – আপনি কী করেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন -আমি একজন এম পি। এম ডি স্যার বলেছিলেন – ও ইয়েস, এম পি! দ্যাট মিন্স ইয়ু আর আ মিলিটারি পুলিশ! তিনি উত্তর দিয়েছিলেন -ইয়ু আর আ স্টুপিড, ছাগলের ঘরের ছাগল কুনহানকার ! এম ডি স্যার বলছেন- হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো….লাইনটা বোধ করি কেটে দিয়েছেন এম পি সাহেব। এম ডি স্যার দুই মাস পর গতকাল ঢাকায় ফিরেছেন , আজ ফার্স্ট অফিস, ফার্স্ট ডে-তে অফিস কেমন চলছে জানতে চান না স্যার , আমরাও অফিস ইস্যু নিয়ে কথা বলি না , এটাই নিয়ম।
-সেলিম, সেলিম, সেলিম কোথায়? এম ডি স্যার চিৎকার করে ডাকছেন। সেলিম স্যারের ড্রাইভার। বুঝলাম গণ্ডগোল একটা কিছু হয়ে গেছে! আচমকা দৌড়ে এসে আমাকে বললেন -কুইক নীচে নামো, ইট ওয়াজ আ ব্লান্ডার, নো ওয়ে।
২০০১ সনের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারি মাস, সপ্তম জাতীয় সংসদের শেষ সময়। সংসদ প্লাজার পেছনে কিছুক্ষণ খোঁজ খবর নিয়েই বিস্তারিত পেয়ে গেলাম। সিকিউরিটি পুলিশ ছেলেটি যথেষ্ট ভদ্র, ভেতরে এম ডি স্যারের একটি কার্ড নিয়ে গেলেন, একটু বাদেই ফিরে এসে বললেন -প্লীজ আমার সাথে আসুন। এম ডি স্যার ঢুকেই নিজের পরিচয় দিলেন। মাননীয় সাংসদ চেয়ার ছেড়ে উঠে আসলেন।
এমডি স্যার বললেন- আই জাস্ট কেম হেয়ার অনলি টু সে স্যরি । এম পি মানেটা আমি ভুল করে ফেলেছি , আই এম এক্সট্রিমলি স্যরি। তিনি বললেন- আরে বইন বইন । এমডি স্যার বসলেন না। দাঁড়িয়েই হাত মেলালেন – ওকে থ্যাংকস আ লট, ভাল থাকেন, বলেই ফিরে যেতে উদ্যত হলেন। মাননীয় সাংসদ একটু অবাক হলেন।
-আরে আমনে এইডা কিতা কইন ? আইছেন যহনে এট্টু কথা বার্তা কইন , এতো তাত্তারি যাইবেন ক্যারে ! যান আমনেরে আমিও স্যরি কইলাম । আমাকে জিজ্ঞেস করলেন – আমনে কি চক্রবর্তী বাবু? বললাম – জি স্যার।
এমডি স্যার কিন্তু সত্যি সত্যি বসলেন না, বললেন -আই এম টিল সাফারিং ফ্রম জেটল্যাগ, গত রাতে নেমেছি, চোখে এখন প্রচণ্ড ঘুম। বডি চলছে না , তবুও আপনার সাথে দেখা হলো, নাও আই এম রিলাক্সড। আমি কি যেতে পারি?
মাননীয় সাংসদ বললেন – না না তাইলে তো যাইতেই হয় ! ইয়ু সুড টেক রেস্ট। আমনেরে এক কাপ চা খাওয়াইতে পারলে ভালা লাগতো, অনেকদিন পরই আমি এট্টু সারপ্রাইজড হইলাম ! এম ডি স্যার বললেন -ডোন্ট ওরি, আরেক দিন এসে খেয়ে যাবো। আমাকে বললেন – চক্রবর্ত্তী বাবু আমনের কার্ড আছে নি লগে? আমি কার্ড দিলাম। এম ডি স্যার , করমর্দন করলেন, বিদায় নিয়ে গট গট নীচে নেমে এলাম দুইজন।
তিন দিন পর অফিসে একজন লোক এসে হাজির হলেন , বললেন – স্যার আপনাকে ডেকেছেন। ঝটপট একটি অফার প্রিন্ট করে সাথে নিয়ে নিলাম, অফিসের কাউকেই কিছু বললাম না।
চলে এলাম পুরান ঢাকার কায়েতটুলী'র একটি বাসায়। মাননীয় সাংসদ, এখানেই থাকেন। পুরনো আমলের বাড়ি, দেয়াল চুনকাম করা । ঘরের উচ্চতা পনের ফুট, ছাদে আই সেকশন বীম , তাতে অংশবিশেষে জং ধরে গেছে , কিছু অংশের প্লাস্টার খসে পড়ছে । মেঝেতে রেড অক্সাইড নেট ফিনিশিং উঠে গিয়ে সেখানে ছোট বড় গর্ত যত্র তত্র। ভেতরে আসবাব পত্র পুরনো ফ্যাশন। কাঠের নক্সা করা জানালায় পাঁচখানা ভার্টিকেল রড, পর্দার সাইজ জানালার চাইতেও ছোট। বসতেই মটমট করে উঠলো সোফাটাইপ চেয়ার। যিনি দরজা খুললেন, তিনিই সম্ভবত ম্যাডাম। মাননীয় সাংসদের চাইতে দেখে ,বয়েস তুলনামূলক কমই মনে হলো। চাল চলনে ,কথার ধরনে তিনি আপাদমস্তক হুমায়ুন উপন্যাসের একজন মধ্যবয়স্কা নারী, তা বুঝে গেলাম।
-কী নাম তোমার? বললাম -উৎপল । জোড়ে হেসে উঠলেন – আর বলো না, তুমার স্যাররে বলি, তিনি কন চক্রবর্ত্তী বাবু। হা হা তোমার সাথে কাম, অথচ তোমার নাম জানেন না স্যার। তোমার চা কী চিনি সহ না চিনি ছাড়া? বললাম- একটা হলেই হবে ম্যাডাম । হেসে বললেন -ওমা অনেক লক্ষ্মী বাবু সোনাটি আমার ! বলতে বলতেই অন্দরে ঢুকে গেলেন তিনি। একটু পরেই ভেতর ঘর থেকে মাননীয় সাংসদ এলেন লুঙ্গী পড়া, হাফ হাতা গেঞ্জি।
-আদাব স্যার।
-দাঁড়ায়া ক্যারে বইন। এট ফার্স্ট আমনের এমডি স্যাররে খুব জেন্টেল ম্যান মনে হইছে আমার।
-জি স্যার , তিনি খুব স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড কথা বলেন ।
-সেকেন্ডলি , আই কন্সিডার্ড ইয়ু মিঃ চক্রবর্ত্তী বাবু , কথা কি বোঝা গেল ?
-অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার ।
-ব্যবসায় তেনগো কয়জন পার্টনার ?
-স্যার দুই জন ।
-আরেক পার্টনার লোক কেমুন?
-চেয়ারম্যান স্যার ও এমডি স্যার দুজনেই খুব ভালো লোক স্যার , চেয়ারম্যান স্যার আপনার দেশী।
-কইন কী ! খুবই ভালো খবর , আমরার দেশের লুকেরা কইলাম হেইরম ভালা না । কিন্তু মালিক দেশের বাইরে থাকলে ব্যবসায় তো লাল বাত্তি জ্বলবো !
-দেশেই থাকেন, ছেলেকে দেখতে গেছিলেন এম ডি স্যার।
-চাইরদিকে খালি টাউট বাটপারে ভরত্তি , বুইজ্জেন কইলাম চক্রবর্ত্তী বাবু !
-না স্যার এসব কিছু হবে না।
-লেখা পড়া আঞ্ছেননি কিছু?
-জি স্যার, এই যে অফার।
ভেতর থেকে শুনছিলেন , হঠাৎ অন্দর থেকে ছুটে আসলেন ম্যাডাম। আমার কাছে জানতে চাইলেন -কই দেখি দেখি ,কী অফার এনেছো?
স্যার বিরক্ত হলেন খুব। বললেন -তুমারে কি আমি ডাকছি , না জিগাইছি কিছু ? তয় তুমি আইছো ক্যারে ?
-আমি এসেছি আম্মা বলেছে, কখন কী হয় একটু খেয়াল রাখতে।
-অন পর্যন্ত খেয়াল রাহনের মতো কিছুই হয় নাই, কতাবাত্রা কইতাছি বুঝতাছি এদ্দুরাই!
-আমিও একটু বুঝি !
-আগে আমারে এট্টু বুঝতে দেও , আর তুমি ইতানের কী বুঝবা?
-তুমি বুঝবে সেটা ঠিক আছে , কিন্তু আমাদের জিনিসটা আমারও তো কিছুটা বোঝা চাই।
স্যার দিলেন প্রচণ্ড ধমক ।
-তুমি জানো, রানিং কথার মইদ্যে না বুইজ্যাই ফাল পাড়া আমার ভাল্লাগে না , ইয়ান্তে যাও কইতাছি ।
ঝাড়ি খেয়ে ম্যাডাম চলে গেলেন।
মাননীয় সাংসদের সাথে কথা বলে যা বোঝা গেলো, বনানীর সি ব্লকের এই বাড়িটির মালিক মূলত তিনি নন। এই সম্পত্তির মালিক তার শাশুড়ি , তার নামেই দলিল। তেনার সন্তানেরা বেশী বুঝদার ও জ্ঞানী হওয়ার কারণে শাশুড়ি জোড় করে তার কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছেন এই দায়িত্ব । জাস্ট এতটুকুই, ধরুইন যে আমি হইলাম গিয়া একজন কেয়ারটেকার।
-চক্রবর্ত্তী বাবু , বুজ্জেন কথা ?
-জি স্যার।
পরের দিকে স্যারের সাথে, তেমন কোন যোগাযোগ রক্ষার প্রয়োজন পড়ল না, তাছাড়া তিনি সাইনিং অথরিটিও নন। সম্পত্তির ওয়ারিশগণের সাথেই সরাসরি আলাপে মিটিয়ে নিলাম , যখন যা প্রয়োজন। সামনেই অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্যার ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আমিও স্যারকে আর বিরক্ত করলাম না। পরের দুই বছর কিঞ্চিৎ যোগাযোগ ছিল, কিন্তু ২০০৩ এর পর দেখা সাক্ষাৎ ফোন ফ্যাক্স আর কিছুই হয় নি। ইতিমধ্যে ম্যাডামের সাথে দারুণ খাতির হয়ে গেলো আমার।
জানা গেলো, মাননীয় সাংসদ খুবই রাগী মানুষ। যতোটা রাগেন উপরে উপরে , ভেতরে ততটা তিনি নন । উত্তেজিত হলে গালাগাল করতে দ্বিধা করেন না, প্রায়শই ভুলে যান আগে কী বলেছেন। সাংসদের স্ত্রী হতে পেরে ম্যাডাম খুব একটা গর্বিত , ব্যাপার সেরকমও নয় ,তবে বাইরের লোক স্যারকে মন্দ বলবে , সেটা এতদিন যখন মেনে নেন নি , তাই নেবেন না আজও, কথা সাফ সাফ। তবে আফসোস যে একেবারেই নেই , তাও নয় । সম্মান আছে যথেষ্ট কিন্তু আরাম আয়েশ ও অন্যান্য সুবিধাদি বড়োই অপ্রতুল । পার্সোনাল গাড়ি নেই – আর সাংসদ নিজেই যে গাড়িটায় চড়েন, সেটাকে ম্যাডাম আদর করে ডাকেন -ঢেড় ঢেড়িয়া।
বললাম -স্যারের গাড়ি তো ফার্স্ট ক্লাস হওয়ার কথা।
-হা হা হা, তোমার স্যার ভালোটা পাইলেও, বাইছা বাইছা পচাটা নিয়ে আসবে।
-সেটাই তো সঠিক কাজ!
-উৎপল দেখো, আজকাল পাগলেও কিন্তু নিজের ভালোটা বোঝে।
-স্যারকে বলেন শাড়ি চাই, গাড়ি চাই, নাইলে বাসায় খানা নাই।
-একদিন জিজ্ঞেস কইরা দেইখো তো , তোমার স্যারের কাছে আমি গাড়ি চাইছি নাকি? টাকা ঢাললে এই ঢাকা শহরে রিক্সা সিএঞ্জি সব পাওয়া যায় । উনি পার্টি করেন, গাইল পাড়েন যা, খান তার বেশী। ছেলে আর আমি তাই পলিটিক্স পছন্দ করি না ।
-ম্যাডাম আমি তাহলে আজ আসি।
-এই তুমি আমাকে খালি ম্যাডাম ম্যাডাম করবে না তো ! আর শোন তুমি তো এখনও বিয়ে করো নাই তাই না ?
-আমি টিল ব্যাচেলর ।
-তাহলে বলেই ফেলি ! আমার হাতে একটি বিউটিফুল মেয়ে আছে , ব্রাহ্মন কায়স্ত নমো এই সব নিয়ে কোন সমস্যা নেই তো?
-কুনুই সমস্যা নাই, তবে জ্যোতিষ বলেছেন মেয়ে বিউটিফুল হলে বাসর রাতেই মারা যাবে, হাতে নাকি তাই লেখা।
-মেয়ের হাতেও সেইরকম কিছু লেখা আছে কিনা, সেটা চেক করেই ঠিক করবো, ও তুমি ভেবো না।
২০১৬ সাল
নাছির নগরে কয়েক জন প্রতিবাদী মানুষ, মন্দির ভাঙ্গার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, চেয়েছিলেন আশ্রয় দিতে, চেয়েছিলেন আগলে রাখতে। কিন্তু হায়রে! ততক্ষনে বিপন্ন হয়ে গিয়েছিল মানবতা। কয়েক জন প্রতিবাদী মানুষ, চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারলেন না। যদিও সেটা হেরে যাওয়ার এক গল্প, অন্ধকার সুরঙ্গ মধ্যে আলো একদম অল্প। তবুও সে ভরসাটুকু রাখুক, এই পথেই সে হাঁটুক, সে মরুক না হয় বাঁচুক, তবুও তার বিশ্বাসটুকু থাকুক।
উইকি বলছে 'মালাউন' আরবী থেকে উদ্ভূত, যার মানে 'আল্লাহ্র অভিশপ্ত'। যদি সেটার মানে লাতিনে 'মহামানব' কিংবা সংস্কৃতে 'দেবশ্রেষ্ঠ'ও হয়ে থাকে, তাতে কি কিচ্ছুটি যায় আসে? শব্দটির যথেচ্ছ ব্যবহারে হিন্দু'দের তা এখন গা-সওয়া, তাই এটিকে জাতিবিদ্বেষমূলক গালি হিসেবে নয় বরং তারা মনে করে এটি এক অসাধারণ সম্মান প্রদর্শন। ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ পাকি সেনারা অধ্যাপক ড: গোবিন্দচন্দ্র দেব কে হত্যার পূর্বে তাঁকে মালাউন বলে সম্মান জানিয়েছিলেন। নিজ হাতে নূতনচন্দ্র সিংহকে গুলি করে মেরে ফেলবার পর, উপস্থিত মুসলমানরা দুঃখ প্রকাশ করলে, সাকাচৌ তাঁর সম্মানে বলেছিলেন, সামান্য মালাউন মৃত্যুতে এতো শোক কেন বাপু !
নাছির নগরের মহামান্য সাংসদ 'মালাউন' বলেছেন । কিন্তু আমার বিশ্বাসী মন এখনও অবিশ্বাসে আগ্রহী। কেননা একদা তিনি ও তার স্ত্রী , এই সম্মানে আমাকে অভ্যর্থনা জানান নি , ছিলাম দ্বিধাহীন সেই দিন । আর এখন প্রতিদিন শিখি নতুন নতুন , জানতে পারি না – নয় নাকি ছয় ? জানার নাকি অনেক বাকী , জেনে নিতে চাই – শালা ! রাজনীতি কারে কয় !
(ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে)