রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে

জনিকা
Published : 6 April 2011, 03:49 PM
Updated : 6 April 2011, 03:49 PM

অবশেষে হলো ন্যায়ের জয়!!!

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া টানা ৬ দিনের এক আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটার সাথে সাথে আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল যে, ছাত্র সমাজ চেষ্টা করলেই পারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে, প্রতিবাদ করতে আর অন্যায় নির্মূল করতে।

অবশেষে মলয় কুমার ভৌমিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন।

তিনি তার স্বপক্ষে ১০০ জন শিক্ষক নিয়ে সম্মেলন করেন এবং প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসেন। অবাক করার বিষয় ছিল তার স্বপক্ষে মামুনুর রশীদের মত বুদ্ধিজীবী মানুষেরাও কথা বলে গিয়েছেন।
আশংকা অনেকেরই ছিল যে, হয়তবা মলয় কুমার ভৌমিককে এত সহজেই অপসারিত করা সম্ভব হবে না। করা হবে হয়তোবা সাময়িক বরখাস্ত। কিন্তু আশংকা প্রমাণিত হলো মিথ্যায়। কারণ তাকে বরখাস্ত করা না হলে, এই আন্দোলন কতটা ব্যাপক আকার ধারন করতো তা পরিস্থিতি দেখে সহজেই বোঝা যায়।

তবে মলয় কুমার ভৌমিক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে রাজী হয়েছেন কতগুলো শর্ত সাপেক্ষে। যার মধ্যে,

১. অসিত কুমার (শিক্ষক, সঙ্গীত ও নাট্যকলা বিভাগ), তার শিক্ষক পদে আসনের দলিলটির সার্বিক তদন্ত করা।
২. যেসকল ছাত্র বা শিক্ষক অর্থাৎ যারাই সঙ্গীত ও নাট্যকলা বিভাগের কার্যালয়ে তালা মেরেছিল তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা।
৩. আন্দোলনে উস্কানিদাতা এমন সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

আলোচনায় অনেক বিষয় উঠে এসেছিল যার মধ্যে আলোচিত ছিল, সঙ্গীত ও নাট্যকলা বিভাগ আলাদা করে দেবার প্রসঙ্গটি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবী ছিল যেহেতু, তাদের এই বিভাগ সঙ্গীত ও নাট্যকলার জন্ম একই সাথে সেহেতু আলাদা হয়ে যাবার কথা এরা ভাবতেই চায়না।

তবে এই আন্দোলনের একটি সুষ্ঠু ও আশাতীত সমাধান নিশ্চিত করে, সত্যের ও ন্যায়ের জয়কে। আবারো প্রমান করে যে, ছাত্র সমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও রুখে দাঁড়াবার দৃঢ় প্রত্যয়, যে কোন অসৎ ও নোংরা অপচেষ্টা এবং সমাজের কলংকিত কীট গুলিকে পদদলিত করে নির্মূল করবার শক্তি রাখে।