প্রসঙ্গ নিশ্চিন্তপুর অগ্নিকাণ্ড: তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

জুলফিকার জুবায়ের
Published : 26 Nov 2012, 06:34 PM
Updated : 26 Nov 2012, 06:34 PM

সাম্প্রতিক মর্মান্তিক অগ্নিকান্ডে হতাহতদের উদ্ধার কাজ শেষে কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের জন্য ১৫ দিন বরাদ্ধ করা হয়েছে। ১৫ দিনের তদন্ত শেষে কখন তা কোথায় প্রকাশ পাবে তা এখনও আমি জানার চেষ্টা করিনি। জীবনে অনেক তদন্তের কথা শুনেছি। কিন্তু কখনও তা প্রকাশ্যে দেখার সুযোগ গ্রহণ করিনি। দেবতাদের আমি নাম শুনেছি কিন্তু কখনও চোখে দেখিনি। আমরা দেহবাদীরা না দেখে বেশি দূর এগুতে পারি না। যে প্রেয়সীর মনটাকে ছুঁতে চাই সে প্রেয়সীর দেহটাকে জয় করার কামনা পোষণ করি। যে দেবতাকে ভক্তি করি সে দেবতাকে মাটি দিয়ে মূর্ত করি। আমরা ঈশ্বরের ছোট ছোট রূপ, আমরা সব করি। যে তদন্ত প্রতিবেদন এ জীবনে কখনো দেখিনি সে তদন্ত প্রতিবেদন আমি স্বয়ং নিজে প্রণয়ন করে না-দেখার দুঃখ ভুলব।

আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে দুর্ঘটনাটির তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করছি বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের হাতে।

তদন্ত প্রতিবেদন

তদন্ত পরিচিতি
শিরোনামঃ বস্ত্রশিল্পে অগ্নি-কান্ডের কারণ তদন্ত ও প্রতিকার প্রস্তাবনা
তদন্তের তারিখঃ ২৫-নভেম্বর-২০১২ সময়ঃ বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০ টা ৩০ মিনিট
তদন্তের উদ্দেশ্যঃ দুর্ঘটনার কারণ নির্নয় ও পরবর্তীতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নির্ধারণ
তদন্তের বর্তমান অবস্থাঃ সমাপ্ত ও প্রকাশিত
প্রকাশকালঃ রাত ১১টা ৫৫ মিনিট, ২৬-নভেম্বর-২০১২
প্রকাশমাধ্যমঃ বিডিনিউজ24ডটকম
প্রতিবেদন নম্বরঃ ১

দুর্ঘটনা পরিচিতি
সংঘটনের ঠিকানাঃ নিশ্চিন্তপুর, সাভার, ঢাকা, বাংলাদেশ
সংঘটন স্থানের পরিচয়ঃ ৯তলা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির নীচ তলার প্রস্থান কক্ষ সংলগ্ন গুদাম ঘর
সংঘটনের তারিখঃ ২৪-নভেম্বর-২০১২
ভয়াবহতার মাত্রাঃ জীবননাশী
আহতের সংখ্যাঃ অন্তত ২৫০ শত জন
নিহতের সংখ্যাঃ অন্তত ১১১ শত জন
প্রত্যক্ষ্যদর্শীর সংখ্যাঃ অগণিত

ঘটনার সময়ানুক্রম
সকাল ৮ টা
অতীতের সবগুলো অগ্রহায়নের মত এই সকালটার বাতাসে ছিল প্রাণের ছোঁয়া, জীবনের গন্ধ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কর্মক্ষেত্র প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠল।

সকাল ১১ টা
একটি দিন একটি জীবনের টুকরো একটি খন্ড। সময় ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অদক্ষ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটিকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অখন্ড লক্ষ্যের দিকে।

সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট ০২ সেকেন্ড
ঘটনার সূত্রপাত। গুদাম ঘরে আগুনের উৎপত্তি।

সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিট ০২ সেকেন্ড
বিপদসংকেত শব্দতরঙ্গ আকারে প্রকাশ প্রকাশ করা হলো। শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্র দ্রুত ত্যাগ করতে চাইল।

সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিট ০৭ সেকেন্ড
অতি-শিক্ষিত QC এবং PM বলল "ছুটাছুটির দরকার নাই; ফায়ার এলার্মটা নষ্ট তাই তা মিথ্যা সংকেত দিচ্ছে, তোমরা কাজ কর"। তখনও কেউ জানতো না জীবনের মূল্য বেশি না ফ্যাক্টরির কাপড়ের মূল্য বেশি।

সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড
হঠাৎ সব অন্ধকার হয়ে গেল। অন্ধকার মৃত্যুর প্রতীক। সব ভয়ের শীর্ষে মৃত্যু ভয়। সবাই ভয় পেয়ে ছুটা-ছুটি শুরু করল। ত্বরিৎ ও সর্টকাট পদ্ধতিতে কিছু করতে চাওয়া এবং আকস্মিক ভয় অনেক বড় দুর্ঘটনার ছোট কারণ। এখানেও তাই হলো। তাড়াহুড়ো করে নামতে যেয়ে দেখে মূল ফটকের পাশে আগুন, তাতে অসুবিধা ছিল না যদি না ছাদে উঠার পথ খোলা থাকত।

সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড
শ্রমিকরা জানালা ভেঙ্গে কিংবা বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে নামার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। গার্মেন্টস শ্রমিক ফাতেমা যখন নেমে যাচ্ছিল অতি বৃদ্ধ সিকিউরিটি তখন তাকে জীবনের শেষ শক্তি দিয়ে দরজা খুলে দিচ্ছিল। বাবার বয়সী সিকিউরিটিকে ফাতেমা যখন বলল, চাচা আপনি নামবেন না, তখন দারিদ্রের কারাগারে জীবনের সব সাধ পূর্ণ করা বৃদ্ধ প্রহরী বলল,"শেষ ব্যাক্তিটা না নামা পর্যন্ত আমার নামার বিধান নাই।" ফাতেমা কয়েক মিনিটের প্রচেষ্টায় নেমে গেল, নেমে যাবার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে সে জীবনের সব অর্থ বুঝে গেল এবং অসহায়ভাবে দেখল পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিটা পুড়ে মরে নিজেকে রেখে গেছে পৃথিবীর মানবতাবাদী মানুষের কাছে প্রশ্নচিহ্ন করে।

সন্ধ্যা ৭টা ২৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ড
রহিমা নিজের সতীত্ব, নারীত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে অহংকারী। যখন সে দেখল সে পুড়ে মারা যাবে, আর কোন উপায় নেই, তখন তার মনে পড়ল এ জীবনে তার কোন পাপ নাই; শরীরে হায়েনার কোন ছোবল নাই। যে দেহ এতো পবিত্র সে দেহ মরণের পরে পুড়ে বিভৎস হবে তেমনটা সে মেনে নিতে পারেনি। সে চরমভাবে চেয়েছে মৃত্যুর পর তার প্রিয়জনরা যেন তার অক্ষত সম্মানজনক দেহটাকে শেষ দেখা দেখতে পারে; তার দুধের সন্তান যেন তার মুখটা দেখে শেষ কান্নাটুকু কাদঁতে পারে। ভীতু রহিমা অসীম সাহস নিয়ে জানালার ভাঙা গ্রিল অতিক্রম করে জীবনকে ভালোবেশে পৃথিবীর বুকে ঝাঁপ দিল। পৃথিবীর বুকে অনেক ভালোবাসা। যে রহিমার বাঁচার কোন আশা ছিল না, সে রহিমা জীবনের সব সাধ নিয়ে অলৌকিকভাবে বেচেঁ রইল।

সন্ধ্যা ৭টা ৫৬ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড
আগুন সব কিছু শেষ হয়ে যাবার সূচনা-প্রতীক। ফায়ার ব্রিগেড আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে।

রাত ৮টা ০৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড
উদ্ধার কাজ বিলম্বে শুরু করার অভিযোগে স্বজনরা পুলিশের উপর ঢিল ছুড়তে শুরু করল, পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাদঁনে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিল।

রাত ৯টা ০৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে শর্ট-সার্কিটকে অনুমান করা হল।

রাত ১০টা ১৬ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড
পুলিশের পক্ষে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
তার পর আর দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

রাত ১১ টা ৫৫ মিনিট ২৭ সেকেন্ড
সকালে যে বাতাসে ছিল জীবনের গন্ধ, সে বাতাসে এখন লাশের গন্ধ।

মূল কারণ বিশ্লেষণ
ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক কারণঃ
বর্বর ও অশিক্ষিত ব্যাবস্থাপনার কাছে শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানোর চেয়ে ফ্যাক্টরির পণ্য রক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ কারণে বিপদটি যেন শ্রমিকরা টের না পায় সে জন্য উচ্চ শব্দের সংগীত বাজিয়ে রাখা হয়েছিল। মালিক পক্ষের লুকুচুরি ও শ্রমিকদের অজ্ঞানতা শেষ মুহূর্তে আকস্মিক ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে ফলে বন্ধফটক ভবনটিতে ব্যাপক প্রাণহানী ঘটে।

ফ্যাক্টরি প্রশাসনে হৃদয়হীন যারা ছিল তারা মুনাফা নিশ্চিতকরণে দক্ষ ছিল কিন্তু শ্রমিকের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা দিতে অদক্ষ ও অনিচ্ছুক ছিল।

এখানে যারা চাকুরি করতেন তাদের মধ্যে যারা নেতৃস্থানীয় তারা নিজের চাকুরির নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাস্ত এবং মাস শেষে বেতন পেয়ে তৃপ্ত; কোম্পানির উন্নয়ন, সহকর্মীর উন্নয়ন কিংবা শ্রমিকের উন্নয়ন তাদের কাছে অনুৎপাদনশীল ভাবনা।

প্রযুক্তিভিত্তিক কারণঃ
শর্ট-সার্কিট হবার আগেই সার্কিট-ব্রেকার অনিরাপদ মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সুযোগ বুঝে নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে। প্রায়শ দেখা যায় সার্কিট ব্রেকার দেয়া হয় বড় সাইজের কিন্তু খরচ কমাবার জন্য ক্যাবল দেয়া হয় ছোট সাইজেই ফলে ওভার লোডেড সার্কিট লুজ কানেকশনের কারণে ওভার হিটেড হয়ে অগ্নিকান্ড ঘটায়। যেখানে ক্যাবল ১০ একক বৈদ্যুৎ প্রবাহ বহনে সক্ষম সেখানে সার্কিট ব্রেকার যদি ২০ একক বিদ্যুৎ প্রবাহে সক্ষম হয় তাহলে অপরিকল্পিত ও অনিরাপদ যেমন ১৫ একক বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ক্যাবল পুড়ে যায় কিন্তু সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে না অর্থাৎ দায়িত্ব পালন করে না, যা উচ্চ বিপদের ঝুঁকিপূর্ণ।

পরিমিত মাত্রার সার্কিট-ব্রেকার প্রায়শ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় ট্রিপ করে প্রবাহ বন্ধ করে দেয় যা বিদ্যুৎ-কর্মীর জন্য বিরক্তিকর। কেননা সার্কিট-ব্রেকারটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে একটি সুইচ প্রেস করতে হয়। বিরক্তি এড়াতে অদক্ষ বিদ্যুৎকর্মী কখনও কখনও ওভারসাইজড সার্কিট-ব্রেকার ব্যাবহার করে যা ঝুঁকির মাত্রা বাড়ায়।

সুপারিশ
রান্না ঘরের মিথেন গ্যাসের জলন্ত নগ্ন শিখা, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট, প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি, জলন্ত সিগারেট বা তার দেয়াশলাই, উত্তপ্ত স্থানে উদ্যায়ী বস্তুর অবস্থান, বিদ্যুতের অপরিকল্পিত ব্যাবহার ইত্যাদি ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত বড় দুর্ঘটনা ও ব্যাপক প্রাণহানী ঘটাচ্ছে। এমনিতে আমাদের সম্পদ কম; এ সব প্রতিরোধযোগ্য দুর্ঘটনাগুলো যদি আমাদের মানব সম্পদ ও অর্থ সম্পদে ঘাটতি সৃষ্টি করে তাহলে আমাদের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে। নিচে এগুলো রোধ কল্পে কিছু সুপারিশ পেশ করছি।

আমরা যারা কষ্টের যন্ত্রণা বুঝি, তারা বলব, যে শ্রমিককে সুখী করার দায়িত্ব ঈশ্বর নেয়নি, সে দায়িত্ব মালিকপক্ষ নেবে তেমনটা ভাবার মতো নির্বোধ আমরা নই। আমরা যারা পরাজিত তারা চাইব রাষ্ট্র (যেহেতু তা এখনও ব্যার্থ হয়নি) যেন শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা দেয়; মৃত্যুর পর প্রিয়জন যেন তার মরদেহটার শেষ দেখা পায়; রাতের আধারে ট্রাকে বা ভ্যানে করে যেন তার দেহ সরিয়ে ফেলা না হয়।

শ্রমিকরা সঙ্গত বেতন পায় না বলে তারা অসুখী এবং অসুখী বলে পূর্ণ মানসিক ও শারীরিক শক্তি দিয়ে ভালবেসে তারা প্রায়শ কাজ করতে সক্ষম হয় না। ফলে মালিক পক্ষের চোখে শ্রমিক চোর এবং অদক্ষ। ফলে মালিক তাদের বেতন বৃদ্ধি করে না এবং তা সময় মত পরিশোধ করাটাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে না। মালিক ভালো বেতন দেয় না বলে শ্রমিক ভালোভাবে কাজ করে না; শ্রমিক ভালো কাজ করে না বলে মালিক ভালো বেতন দেয় না। এ এক কঠিন চক্র। এ চক্র দারিদ্রের দুষ্ট চক্রের মতই ভয়ংকর। রাষ্ট্রে অভিভাবকরা যখন এ চক্র ভেঙ্গে দেবে তখন শ্রমিক শক্তিশালী হবে এবং নিজের নিরাপত্তা নিজে প্রতিষ্ঠিত করবে, ফলে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।

পেট্রোল পোড়াতে জলন্ত সিগারেট, ডিজেল পোড়াতে জলন্ত কাঠি আর গ্যাস পোড়াতে আগুনের ক্ষদ্রতম কণিকাই যথেষ্ঠ। ফলে আমাদের জীবনাচারে সাবধানতাও থাকতে হবে যথেষ্ট। আমাদের সহজে ও নিরাপদে কাজ করার অভ্যাস গড়তে হবে এবং এই অভ্যাস গড়াটা বহুল ব্যয় সাপেক্ষ কোন বিষয় না। প্রতিটি ফ্যাক্টরিতে একটি সেফটি ডিপার্টমেন্ট* থাকা প্রয়োজন।

শেষ কথা
তুচ্ছ ঘটনা কিংবা সামান্য অবহেলা যে কত প্রলয়ঙ্করী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে তা বুঝতে হলে আমাদের ১০ ঘন্টার একটা বক্তৃতা শুনতে হয়; কিন্তু মাঝে মাঝে যখন কিছু ঘটনা নিজের চোখের সামনে দেখতে হয় তখন আমাদের প্রকৃত শিক্ষা হয়। ঘটনাগুলো যতটুকু না মর্মান্তিক তার চেয়েও বেশি মর্মান্তিক যদি তা মাস শেষে বেমালুম ভুলে যেতে হয়।

পাদটিকাঃ
*এই সেফটি ডিপার্টমেন্টে যেন ৩০০ প্রশিক্ষিত সেফটি অফিসার থাকায় ৩৩৫টি অগ্নিনির্বাপকের মধ্যে শুধু ১টি অগ্নিনির্বাপক ব্যাবহারের সৌভাগ্য না হয়।
**ফাতেমা ও রহিমা নামগুলো ছদ্ম কিন্তু চরিত্রগুলো বাস্তব।