বিইএফটিএন আধুনিক ও নিরাপদ ব্যাংকিং

আরমানউজ্জামান
Published : 3 April 2012, 02:29 AM
Updated : 3 April 2012, 02:29 AM

বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ইতোমধ্যে আধুনিকায়ন ও চমৎকার কিছু সেবা চালু করা হয়েছে অন-লাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স, অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ, বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন), অন-লাইন সিআইবি এছাড়া ও ব্যাংকিং খাতে আধুনিকতার অন্যতম মাধ্যম আজকের এই মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

চলুন একটু জেনে নেই এক ব্যাংক থেকে অন্য যে কোন ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা জমা দানের সহজ পদ্ধতিঃ

বিইএফটিএন কিঃ

বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অত্যান্ত চমৎকার একটি ব্যাংকিং সেবা। যার মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার নিকটাবর্তী যে কোন একটি ব্যাংকের শাখা থেকে থেকে অতি অল্প সময়ে ও কম খরচে অন্য আরেকটি ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা প্রেরন করতে পারবেন। উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে একজন গ্রাহক তার ন্যাশনাল ব্যাংক ময়মনসিংহ জেলা র ভালুকা শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন চট্রগ্রাম ব্যাংক এশিয়ার ইপিজেট শাখা থেকে।

কি প্রয়োজনঃ

ইলেকট্রনিক ফান্ডস্ ট্রান্সফারের এই পদ্ধতি অত্যান্ত চমৎকার সে জন্য একজন গ্রাহক যে ব্যাংক থেকে টাকা পাঠাবেন সেই ব্যাংকে কোন ব্যাংক হিসাব থাকার প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র ব্যাংকের prescribed format পূরন করে সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ডের ফটো কপি সংযুক্ত করতে হবে।

যে তথ্য প্রয়োজনঃ

১. নির্ভুল ভাবে ব্যাংক হিসাব নম্বর, Account Title বা হিসাব শিরোনাম পূরন করতে হবে।
২. যে ব্যাংকের যে শাখাতে টাকা পাঠাতে চান তা ঊল্লেখ করতে হবে।
৩. Beneficiary বা যার Account এ টাকা পাঠাতে চান তার মোবাইল নম্বর।
৪. আপনার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ভোটার আইডি কার্ড নম্বর ও টাকা জমা করার উদ্যেশ্য পূরণ করতে হবে।
৫. আপনি মানি লন্ডারিং করছেন না এরুপ একটি ফরমে সাক্ষর করবেন।

আপনি চাইলে খুব সহজেই এই পদ্ধতিতে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের যে কোন শাখাতে টাকা জমা করতে পারবেন। লেখা পড়ে হয়ত আপনার অনেক ঝামেলা মনে হতে পারে কিন্তু এই সহজ ফরম টি পূরন করতে আপনার দু মিনিটের বেশী লাগার কথা নয়। আপনি যে ব্যাংকে লেনদেন করছেন জেনে নিন এই পদ্ধতি সম্পর্কে। ২৪ ঘন্টা বা এক দিন সময়ের মধ্যে দেশের যে কোন প্রান্তে খুব সহজে এবং কম খরচে টাকা পাঠাতে পারবেন। তাতে আপনার নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি মুক্ত থাকতে পারবেন, সময় বাচাতে পারবেন। এ ছাড়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানা থাকলে জরুরী প্রয়োজনে আপনার নিকটস্থ যে কোন ব্যাংকে থেকে এই সেবা গ্রহন করতে পারবেন।