বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় ও ট্রানজিট

জীবন পথিক
Published : 17 March 2012, 06:58 AM
Updated : 17 March 2012, 06:58 AM

স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে এই প্রথম বাংলাদেশ অসাধারণ একটা সফলতা লাভ করেছে। এজন্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ আর অভিনন্দন। ধন্যবাদ আমাদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এই প্রাপ্তি অনেক আশাবাদী আর আত্মবিশ্বাসী করেছে আমাদের যোগ্যতাকে। সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে, সঠিক ভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা কতটা জরুরী সেটা অন্তত আমাদের শিখিয়েছে সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ইটলস এর এই রায়।

প্রিয় পাঠক "দৈনিক আমারদেশ" সূত্র থেকে নেয়া নিচের তথ্যের বোল্ড করা অংশটুকু লক্ষ্য করুন।

" মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর ইটলসে মামলা করে বাংলাদেশ। মিয়ানমারও সমুদ্রসীমা বিরোধ ইটলসের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে সম্মত হয় ১৪ ডিসেম্বর
২০১০ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ তার দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালে। অন্যদিকে মিয়ানমার তার দাবির পক্ষে ট্রাইব্যুনালে নথিপত্র জমা দেয় ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর।
মিয়ানমারের দাবির ব্যাপারে বাংলাদেশ ২০১১ সালের ১ মার্চ ট্রাইব্যুনালে আপত্তিপত্র জমা দেয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের দাবির ব্যাপারে ২০১১ সালের ১ জুলাই আপত্তিপত্র জমা দেয় মিয়ানমার। "

বাংলাদেশ মামলা করে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর। এর পরবর্তি ঘটনাগুলি পর্যায়ক্রমিক। এই বিজয় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে, তা বলতে নারাজ আমি, বিজয় হয়েছে আমাদের যোগ্যতার পক্ষে। দেশের প্রতিটা নাগরিকের মত আমিও আশা করি সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মিয়ানমারের মতো ভারতের বিরুদ্ধেও যে মামলাটি করেছে বাংলাদেশ যেটার রায় ২০১৪ সালে হতে পারে সেখানেও বাংলাদেশ সর্বোচ্চ দৃঢ়তার সাথে যথাসময়ে তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

একই সাথে সমুদ্রে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মতই অভিন্ন নদীর ন্যায্য অধিকার আদায় করার জন্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে। ট্রানজিট নিয়ে গুটি কয়েক মানুষ যে নীতিহীন নোংরা খেলায় মত্ত রয়েছেন তাদেরকে নিস্ক্রিয় করে ভারতের সাথে মর্যাদার ভিত্তিতে দরকষাকষির সুযোগ এখনো আছে বলে বিশ্বাস করি আমি। সার্বভৌমত্ত নিরাপদ রেখে অর্থনৈতিক উন্নতির অন্যতম একটা পথ হতে পারে এই ট্রানজিট। দরকার কেবল সত্যিকারের দেশপ্রেম বুকে ধারণ করে সঠিক সময়ে, সঠিক ভাবে, সৎ ও যোগ্য মানুষকে পুরো বিষয়টির ব্যবস্থাপনা করতে দেয়া। আমরা আর হেরে যেতে চাইনা অল্প কয়েক নীতিহীন মানুষের কাছে। কেননা এই একটা জায়গায় হেরে গেলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে। সাবাই ভাল থাকুন।