আমাদের স্বপ্নের সেতু “পদ্মা” সেতু

আমিন আহম্মদ
Published : 18 May 2011, 01:31 PM
Updated : 18 May 2011, 01:31 PM

পদ্মা সেতু নির্মাণে ঋণচুক্তি জাপানের সঙ্গে

পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের পর এবার জাপানের সঙ্গে ঋণচুক্তি হয়েছে। দেশের দীর্ঘতম এ সেতু নির্মাণে জাপান সাড়ে ৪১ কোটি ডলার দিচ্ছে।

পদ্মা সেতুর পাশাপাশি আরো দুটি প্রকল্পে জাপান সাড়ে ২৫ কোটি ডলার বাংলাদেশকে দিচ্ছে জাপান। খুলনার একটি পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) উন্নয়নে ব্যয় হবে এ অর্থ।

বুধবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি ভবনে এ বিষয়ে চুক্তি হয়।

চুক্তি সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত তামোৎসু শিনোৎসুকা। পদ্মা সেতুর ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণচুক্তি সই করেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ও জাইকার প্রতিনিধি ডা. তাকাও তোদা।

মোশাররফ বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে জাপানের ৪০ কোটি ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ইয়েনের দর বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ দেড় কোটি ডলার বেশি পেয়েছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব মঙ্গলবার অনুমোদন করে জাপানের মন্ত্রিসভা।

ঋণের এ অর্থ ৪০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ। তবে প্রথম ১০ বছর কোনো সুদ দিতে হবে না।

যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন বলেন, বিশ্বব্যাংকের সম্মতি পেলেই পদ্মা সেতু ও নদী ব্যবস্থাপনার জন্য দরপত্র ডাকা হবে।

"আগামীকাল সম্মতি পেলে আগামীকালই দরপত্র আহ্বান করা হবে।"

মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

দুশ ৯০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য পদ্মা সেতুর জন্য একশ ২০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গত ২৮ এপ্রিল তাদের সঙ্গে সরকারের ঋণচুক্তি হয়। এছাড়া এডিবি ও আইডিবি দেবে ৭৫ কোটি ডলার। বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার।

এম মোশাররফ হোসেন বলেন, আইডিবির সঙ্গে ২৪ মে এবং জুনে এডিবির সঙ্গে এ বিষয়ক চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, "এডিবির সঙ্গে ঋণ চুক্তি সইয়ের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।"

এ ঋণ বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কার্যকরভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগানো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত তামোৎসু শিনোৎসুকা।

জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে এক হাজার কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে জাপান।"

১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু হতে চলেছে বলে পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম ইতোপূর্বে জানিয়েছেন।

দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে মধ্যাঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপনকারী এ সেতুর ছয় কিলোমিটার থাকবে নদীর ওপর, চার কিলোমিটার হবে দুই পাড়ে মাটির ওপর।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে এ সরকারের মেয়াদ শেষের আগেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

পাদটিকাঃ

আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আসলে বড়ই অভাগা। দীর্ঘ দিন পরে আমাদের হয়ত ভাগ্যের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। তাই পুরো দক্ষিণাঞ্চল তথা সারা বাংলাদেশের সাধারণ জনতার পক্ষ থেকে সরকার, দাতা সংস্থা ও দেশগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

এরই সাথে সাথে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, যেন এখানে আবার কেউ সেই আড়িয়ল বিল তৈরী করতে না আশে। বিশেষ করে আমাদের দেশে দুটি জঘন্য পত্রিকা আছে তারা এবং বিরোধী রাজনীতি শিবির। তাদের কাছে অনুরোধ উন্নয়নকে বাধা নয়, উৎসাহ দিন। দয়া করে আমাদের আশা-আকাঙ্খা নিয়া কেউ তামাসা বা কু-রাজনীতি করতে আসবেন না। প্লিজ !!!

আর সরকারের কাছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ এখানে দয়া করে চুরি-ডাকাতী না করে প্রকৃত সততার একটু পরিচয় দিন। আমরা দেখতে চাই সরকার কতটুকু আন্তরিক ও সৎ । সকল দুর্নীতির উর্দ্ধে উঠে এই সেতুটি তৈরী করে বিশ্বকে একটু কি দেখানো যায়না যে "আমরাও সৎ ও ভাল ? "