খালেদার সর্বত্র “না”-ই কি জাতির অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ?

আমিন আহম্মদ
Published : 16 Nov 2019, 03:31 PM
Updated : 30 June 2011, 03:16 PM

খালেদা জিয়া প্রথমে সংসদ সদস্য, তার পর বিরোধী দলীয় নেত্রী। একজন সংসদ সদস্যে, যিনি দেশের সমস্যার কথা সংসদে বলবেন। জাতী জানবে। সরকার না মানলেও তা জাতী জানবে, কিন্তু উনি তা মানেন না বা করেন না। তাই বিকল্প হল সংবাদ সম্মেলন। আরোও বিকল্প হলো হরতাল, গাড়ী পোড়াও-জ্বালাও। হত্যা কর, লাশ চাই । আন্দোলন চলছে, চলবে।

বেগম খালেদার কতগুলো না বাচক উত্তর:

সংবিধান সংশোধনের জন্য কমিটিতে সদস্য চাওয়া হল, বললেন না।
সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রস্তাবনা চাওয়া হল লিখিত ভাবে, বললেন না।
সংবিধান সংশোধন কমিটি তার মতামত জানার জন্য দুইবার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল, বললেন না যাব না।
বলা হল সংসদে আসুন, সংসদে প্রস্তাব দিন, উ্ত্তর না। (অবশ্য সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ও ভাতার জন্য হ্যাঁ, তা আবার অবশ্যই গোপনে-নীরবে, মান-সম্মান বলে কথা !!!)
সংবিধান সংশোধনের বিল উত্থাপন হওয়ার পর বলা হল সংসদে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রস্তাব দিতে, বললেন না, দিব না।

এছাড়া,
নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে দুবার চিঠি দিল ভবিষৎ নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ইভিএম ব্যবহার প্রসংগে উত্তর হল যাব না।
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ না

আজ তিনি উনার সব "না" কে সমন্বিত করে এক লাইনে বললেন "সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো"

কিন্তু খালেদা জিয়া যদি কথায় কথায়, সব সময়ই, সর্ব বিষয়ে, সর্বাবস্থায় শুধু না না না বলা থেকে বিরত থেকে সব যায়গায় উপস্থিত হতেন বা দুই একটি যায়গায় অন্তত "হ্যাঁ" বলতেন, তাহলে হয়ত পরিস্থিতি এরকম হত না বা অন্য রকম হত।

তাই খালেদা জিয়ার সকল "না" এর ফল কি জাতীর অনিশ্চিত ভবিষৎ নয় ?

ফলাফল "আন্দোলন, হরতাল, জ্বালাও, পোড়াও, লাশ ও নতুন আরোও কিছু দিবস !!!!!!"

***
ফিচার ছবি: আন্তর্জাল