হুমায়ুন আহমেদের বিধবা পত্মী মেহের আফরোজ শাওনকে ফেসবুকে হুমকি দিয়ে রিমান্ডে আটক আছেন এহসানুজ্জামান নামের এক চিকিৎসক। তরুন চিকিৎসক। বিসিএস করা সরকারি চাকুরে। তার কাছ থেকে এধরণের অনাকাঙ্খিত আচরন আশা করা যায় না। দায়িত্বশীল সরকারী চিকিৎসক। সে কেন এমন বাড়াবাড়ি করলো বলা সত্যিই মুশকিল। শুনেছি ১২০০ জনের একটা দল তৈরি করে তাদের ক্ষোভ কষ্ট তারা প্রচার করছিল। এটা তারা মোটেই দায়িত্বশীল কাজ করে নি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়ে মন্তব্য করাও সমিচীন নয়। হা্ইকোর্ট-এ বিষয়টি গেছে। দেশজুড়ে মামলাটি_সরি ভুল বললাম জিডিটি আলোড়ন তুলেছে। হাইকোর্ট-এ বলা হয়েছে_জিডির ভিত্তিতে রিমান্ড করা যায় না। আইনের ব্যাপার আমাদের মত নগন্য চিকিৎকদের বোধের অগম্য। আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে। আশা করা যায় সুবিচার পাবেন শাওন এবং আসামী এহসান।
আইনের সুরক্ষা থেকে তারা বঞ্চিত হবেন না। তবে এই আলোচনার ডামাডোলে একটা কথা না বলে পারছি না-অতি আবেগ-অতি ভালবাসা -অতি বিরাগ_ঘৃনা ; এ সব কিছুই মানসিক ব্যত্যয়ের ও বিশৃঙ্খলার কারণে ঘটে থাকে। অতি কোন কিছুই ভাল নয়। সাম্প্রতিক এই ঘটনা অতি আবেগেরই বহিপ্রকাশ। আবেগ ভাল । ভালবাসা শ্রদ্ধা ভাল। ভক্তি ভাল। কিন্তু অতিশয় কোনটা ঘটলেই সেটাকে মানসিক অসুস্থতার লক্ষ্মন বলে সংশয় করা যেতে পারে। এই মানসিক ধীর বৈকল্য ক্রমে মারাত্মক সমস্যার দিকে যেতে পারে। এই ঘটনা তার প্রমাণ বহন করে। আমি সবিনয়ে সেদিকটায় আলো ফেলতে বলব সবা্ইকে। এহান শাওনকে পছন্দ করতেন না। তার প্রতি বিরাগ পোষন করতেন-সে অধিকারও সে রাখে। কিন্তু পরবর্তিতে এটা নিয়ে যে বিরাট বাড়াবাড়ি সেটা সুস্থতার পরিচয় নয়। আবেগ ভালবাসার বাড়াবাড়ি- ঘৃনার বাড়াবাড়ি কনট্রোল প্রত্যেকটি মানুষের থাকা উচিত। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহারা হলে তা সার্বিকভাবে দুর্যোগ ডেকে আনে।
এই ঘটনায় আরো একটি বিষয় অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে অনুরোধ করবো। ইন্টারনেটে একজন পূর্ন বয়স্ক চিকিঃসকই অতি আবেগের বশে বাড়াবাড়ি ঘটিয়ে বসেছেন। সেক্ষেত্রে আমাদের কিশোর কিশোরী সন্তানটি কোন সমস্যা ঘটিয়ে বসে কিনা তা অভিভাবকদের অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে।