থাইল্যান্ড পারলে আমরা কেন পারবো না!

ডাক্তার সুলতানা আলগিন
Published : 23 Dec 2012, 03:58 AM
Updated : 23 Dec 2012, 03:58 AM

থাইল্যান্ড পারলে আমরা কেন পারবো না। আর কতকাল নষ্ট রাজনীতিকে দোষ নিজেরা অলস বসে থাকব!ঘরে বসে থাকলে কিছুই হবে না। আমাদের সব আছে। ভীষণ সুন্দর একটা দেশ আছে। এই দেশ যে কত সুন্দর এটা বিদেশে টুকটাক না ঘুরলে একদমই ধারনা করা যায় না। ধনে ধান্যে পুষ্পে ভরা/ আমাদেরই বসুন্ধরা/সকল দেশের সেরা…এ কথা একদমই মিথ্যা নয়। আমাদের দেশ খুবই সুন্দর। বিধাতার নিজ হাতে সাজানো। যে সব দেখে আমরা আহা উহু করি ;মুগ্ধতার আবেশে পাগল হই -সেসব দেশের আসল রহস্য;সেখানে বিধাতার পাশাপাশি মানুষ গড়েছে নানা সুন্দর। তারা সাজিয়ে গুছিয়ে রাখছে। খুব যত্ন করছে। দেশ বিদেশে খুব প্রচার করছে। ছবি ছাপছে। আর আমরা বিধাতার যেমন দিয়েছেন তা আর সাজিয়ে গুছিয়ে রাখছি না। যত্ন নিচ্ছি না। বরং সেই সুন্দরকে ধংস করছি। তারপরও কত সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্পট দেশ জুড়ে। সেসবের প্রচারও করছি না। খালি ভাবি এসব কাজ সরকারের। ওদের দায়। আমরা কেন নিজের দেশের জন্য প্রচার করব। এ যেন খুব লজ্জার কাজ। আমরা খালি ব্যস্ত থাকব আলীগ বিএনপি করায়। রাজনীতির ঝগড়া নিয়ে মেতে থাকব। আমরা খালি লম্বা কথা বলব। কিছু করব না। কিন্তু যেসব দেশ পর্যটনে সুন্দর ;সেখানে সরকার সহায়ক কাজ করেছে। কিন্তু দেশকে নিজ হাতে সাজিয়েছে সাধারণ মানুষ। তারা কাজ না করলে সরকার কিছু করতে পারেনা। ইনটারনেটে দেখলাম একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার থাইল্যান্ড ঘুরে এসে অতি চমৎকার সব ছবি তুলেছেন। তার ছবিতে থাইল্যান্ড দেখে আমি মুগ্ধ। পাশাপাশি এও ভাবলাম ওই বিখ্যাত ফটোগ্রাফার যদি নিজের দেশ ঘুরে নানা ছবি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতেন কি অনন্য কাজ হত।

সারা দুনিয়া জানত আমাদের দেশের সুন্দরের কথা। তিনি থাইল্যান্ড ঘুরে এসে ওই দেশের অনন্য সব সুন্দর নিয়ে লিখেছে চমৎকার লেখা। ছবি ও লেখায় থাইল্যান্ডকে যেন বিনে পয়সায় দেখলাম। তাকে আমন্ত্রন জানাব নিজের দেশের নানা স্পট ঘুরে দেখে দুর্দান্ত ছবি তুলে বিশ্ববাসীকে দেখান। শুধু বিশ্ববাসী কেন ; দেশের ১৫ কোটি মানুষকে দেখান।

দেখবেন ঘরকুনো বাঙালিরা আপনাদের ক্যামেরায় নিজের দেশকেেদেখে কেমন চমকে যান। আপ্লুত হন। সব বিখ্যাত সহ নামজাদা ফটোগ্রাফারদের প্রতি অনুরোধ রইল। দেশকে ভাল করে দেখালে দেশের মানুষ দেশের মধ্যেই ঘুরবে। ঘরকুনো বাঙালি আজ ঘুরতে সাধ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর ভারত মালয়েশিয়া থেকে শুরু করে ইওরোপ আমেরিকা সুইজার ল্যান্ডও যাচ্ছে। তারা দেশের সোন্দর্য আপনাদের ক্যামেরা য় দেখে দেশেও ঘুরবে। দেশের পর্যটন শিল্প সমৃদ্ধ হবে। বিনিয়োগ বাড়বে। ব্যবসার স্বাথে দেশকে সবাই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবে। দেশ একদিন মানুষের হাতে হাতে থাইল্যান্ডের চেয়েও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠবে। থাইল্যান্ড পারলে আমরাও পারব। আমাদেরও পারতে হবে। এবার আসুন প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার উজ্জ্বল ধর-এর লেখাটা পড়ি। ছবিও দেখি। পাশাপাশি নিজের দেশের কিছু ছবি দেখি। সেগুলো বিখ্যাত ফটোগ্রাফাারের তোলা নয়। তারপরও আপনি চমকে উঠবেন। ভাববেন বিখ্যাত ফটোগ্রাফাররার ছবি তুললে আরও কত সুন্দর হয়ে ধরা তি আমার স্বদেশ

উজ্বল ধর

থাইল্যান্ড ঘুরে এসে জানাচ্ছেন- পাতার তৈরি টুপি মাথায়, হাত-মুখ-চামড়ায় ভাঁজপড়া ষাটোর্ধ্ব বয়েসী এক নারী। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে আড়াই ফুট চওড়া ছোট নৌকা নিয়ে বৈঠা বেয়ে বেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন খালের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।

তার ছিমছাম নৌকায় সাজানো রয়েছে- কলা, পেয়ারা, ড্রাগনসহ বাহারি ফল-ফুল। ক্রেতাদের ডেকে তিনি তার পণ্য দেখাচ্ছেন। শুধু তার মতো বয়েসী নারীই নয়, বিভিন্ন নারী-পুরুষ নৌকায় পণ্য নিয়ে তারই মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন খালের এ প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত।

নৌকায় ভেসে ভেসে এভাবে পণ্য বিকিকিনির মনোরম এ দৃশ্যটি চোখে পড়বে থাইল্যান্ডের ড্যামনোয়েন সাদুয়াক ফ্লোটিং মার্কেটে, যাকে আমরা 'ভাসমান হাট' বলে জানি।

THAILAND থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী পাতা-কাপড়ের তৈরি টুপি, শার্ট-গেঞ্জি, আম, আতা, কাঁঠাল, ঘর সাজানোর রকমারি পসরা নিয়ে অসংখ্য নৌকা ভিড় করছে এ ভাসমান হাটে। পিঠাসহ নানান রকমের থাই খাবারের সঙ্গে পর্যটকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন এই সব বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে মাঝে মাঝে নৌকাজটও লেগে যাচ্ছে। তাতে কী!

এরই মাঝে নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিদেশি পর্যটকরা। তাদের সঙ্গে আছেন স্থানীয় লোকজনও। পণ্য পছন্দ হলেই শুরু হয় দর কষাকষি। ইংরেজিতে কথা বলতে না পেরে হাত ক্যালকুলেটরে বাটন চেপে বিক্রেতা তাদের পণ্যের দাম জানাচ্ছেন। ক্রেতাও বাটন চেপে দেখিয়ে দাম হাঁকাচ্ছেন।

শুধু ফলমূল, ঘর সাজানোর আসবাবপত্রই নয়, নৌকা ভাসিয়ে বিক্রি হয় ভাতও। কিছু নৌকায় রোজ ভোর থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত চলে ভাতসহ নানান পসরা কেনাবেচার হুলস্থুল কর্মকাণ্ড।

এই বাজারই আশপাশের গ্রামবাসীর জীবিকা নির্বাহের অন্যতম প্রধান উৎস। শুধু বয়স্করাই নয়, পরিবারের সব বয়েসী নারী-পুরুষ ব্যস্ত নিজেদের উৎপাদিত পণ্য কিংবা নিজেদের হাতে তৈরি পণ্য বাজারজাতকরণের কাজে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, থাইল্যান্ডের চতুর্থ রাজা রামা ১৮৬৮ সালে রাচাবুড়ী প্রদেশের চাষাবাদের পানি সংকট নিরসনে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১২ মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার গভীরতার ড্যামনোয়েন সাদুয়াক খালটি খনন করেন। সামুত সার্খন প্রদেশের থাসিন নদী ও সামুদ শংখারাম প্রদেশের ম্যাখলং নদীকে সংযুক্ত করেছে এই খাল।

THAILAND ব্যাংকক থেকে ১শ ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ড্যামনোয়েন সাদুয়াক এলাকায় এই খালকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে ভাসমান বাজার আর আবাস কেন্দ্রও।

কৃষিনির্ভর গরিব মানুষের জীবিকা পুরোপুরি নির্ভরশীল এই খালের পানির ওপর। বর্তমানে খালের কিছু অংশ পচা কালো পানিতে সয়লাব। দেখতে অনেকটা আমাদের বুড়িগঙ্গা বা চট্টগ্রামের চাকতাই খালের পানির মতোই।

ঘুরে দেখা গেছে, দুইপাড় পাকা দেওয়াল দিয়ে গড়া। রয়েছে পায়ে হাঁটার পথ। দুইধারে অসংখ্য ছোট ছোট শাকসব্জি, নারকেল গাছ, বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ কমলা জাতীয় ফল, ম্যালাককা আঙুর, আম, কলার বাগান। এরই মধ্যে ফাঁকে ফাঁকে পানির ওপর ভাসমান থাই ঐতিহ্যবাহী কাঠের তৈরি বাড়ি।

বাড়ির সামনে শোভা বাড়াচ্ছে, ছোট ছোট টবে বাহারি ফুলের গাছ। প্রথম দেখাতেই মনে হবে যেন রং তুলিতে আঁকা ছবি।

প্রতিটি বাড়িতিই আছে নৌকা। বাড়ির সামনে একটি ছাউনির নিচে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে নৌকাগুলোকে। কিছু বাড়ির কাঠের ছাদে আধুনিকতার ছোঁয়া, ছোট ডিস অ্যান্টেনা। খোলা দরজা জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায়, বুদ্ধমুর্তি, টিভি, ফ্রিজ কাঠের তৈরি হাতিসহ রকমারি থাই ঐতিহ্যের সাজে সজ্জিত বাড়ি। দেখলে মন ভরে যায়।

ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা পর্যটকদের নিয়ে ছুটে চলেছে গ্রামের এ পাড়া থেকে ও পাড়া। একই সঙ্গে পর্যটকরা পরিচিত হচ্ছেন, এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশের সঙ্গে।

ড্যামনোয়েন সাদুয়াক ফ্লোটিং মার্কেট ছাড়াও থাইল্যান্ডে রয়েছে ৪টি ট্যালিং সান, থা খা, ডন ওয়াই, এমপাওয়া ফ্লোটিং মার্কেট। এই ভাসমান মার্কেটগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল পর্যটন কেন্দ্র ।

প্রতিদিন দেশি-বিদেশি সহস্রাধিক পর্যটক ভ্রমণ করছেন এইসব বাজার আর গ্রামগুলো। থাই সরকারও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কিছু দূর পর পর তৈরি করেছে, খালের ওপর পায়েহাঁটা ব্রিজ। আর এর মাধ্যমে থাই সরকার প্রতিবছর আয় করছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

THAILANDবড়ই দুঃখের যে, থাই যা পেরেছে, সেই সুযোগ আমাদেরও আছে। তারপরও তা আমরা করতে পারিনি। আমাদের দেশে হাওর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বড় বড় খালগুলোকে ব্যবহার করে গড়ে তোলা যেত ভাসমান মার্কেট বা বাজার কিংবা হাট।

যদি এমন হতো, আমাদের দেশের খাল-বিল-হাওরকে এভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে নৌকায় করে ঘুরে বেরিয়ে শীতের সময় দেখা যেত হাজার অতিথি পাখি। ফেরি করে বিক্রি করা যেত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজ আর হস্তশিল্প সামগ্রী; তাহলে আকৃষ্ট করা যেত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যটক। আর এতে আমাদের ব্যাপক কর্মসংস্থান হতো। আর সেই সঙ্গে আয় হতো বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের অভাবে আমরা আমাদের সবুজ-শ্যামল বাংলাকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। যদি পারতাম তবে আমরাও বাংলাদেশের ভাবভূর্তিকে বিশ্বে মানচিত্রে অন্যভাবে তুলে ধরতে পারতাম। পারতাম 'প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ' নয়, 'সৌন্দর্যের বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তুলতে!

তাহলে প্রতিবছর হাজার হাজার সৌন্দর্যপিপাসু পর্যটক আসতো আমাদের দেশে। সে আশা থেকে আমরা এখনও বঞ্চিত হতে চাই না। ভবিষ্যতের জনকল্যাণমুখি নেতৃত্বের আশায় আমরা এখনও অপেক্ষা করে আছি!!

এবার আসুন আমার দেশের আপাত অপরিচিত ভ্রমণ স্বর্গ স্বরুপকাঠির কিছু ছবি দেখি।

সত্যিই অপূর্ব। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হত না। ছোটবেলা থেকে শুনেছি ধান নদী খাল এই তিনে বরিশাল। সেই বরিশালেরই পিরোজপুর জেলার একটি থানা হল স্বরুপকাঠি। এককথায় অনন্য সুন্দর ভুমি।

ধান তেমন দেখিনি। ধান খেতও তেমন দেখিনি স্বরুপকাঠিতে। দেখেছি অপূর্ব সব খাল। বিশাল বিশাল খরস্রোতা খাল। বিশাল নদী। থাল ও নদীর দুপাশ জুড়ে সবুজ আর সবুজ। ঘন সবুজ। বিশাল বিরাট গাছ। নারকেল বাগান। সুপারি বাগান। এত বিচিত্র প্রজাতির গাছ। গাছের গোড়া জল ছুয়েছে। সে এক অভুতপূর্ব দৃশ্য। দেখে মনে হয়েছে এ যেন সুন্দরবনেরই অংশ। আমি সপরিবারে গেল বছর গিয়েছিলাম সুন্দর বনে। আমার ছেলে মন ভরে মুগ্ধ চোখে দেখেছে সুন্দর বন।

সেই কিশোর ছেলে স্বরুপকাঠির সুন্দর দেখে আরও অভিভুত। তার মতে, এটাও সুন্দরবন না হয়ে যায় না। যারা আমার কিশোর ছেলের কথাকে অতিশয়োক্তি মনে করছেন_ তাদের আমন্ত্রন স্বরুপকাঠিতে। একবার ঘুরে দেখে আসুন। মনে সত্যিই অন্য কোন জগতে আপনি ঢুকে পড়েছেন। মানুষ গাছ লাগিয়ে এমন অসাধারণ বৃক্ষ শোভা তৈরি করতে পারে সেটা স্বরুপকাঠি না গেলে বিশ্বাসই করতাম না। এখানকার গ্রামগুলো সব সবুজের প্রাচীরে ঘেরা। গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা গেছে। কিন্তু প্রখর দুপুরেও সেসব সড়কে রোদ পৌছাবার জো নেই। সব রোদ আটকে দিয়েছে গাছপালা। আর পুরো উপজেলা জুড়েই জালের মত খাল। ইদানিং অনেকেই বলছেন স্বরুপকাঠি হল বাংলার কেরালা।

াামার এক বন্ধু এমনটা বলাতে খুব আগ্রহ নিয়ে স্বরুপকাঠি গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাড়িয়ে বলা। বাঙালি অমনটা বাড়িয়ে বলেই। না বাঙালি বাড়িয়ে বলে না। সাধারন মানুষ বরং কমিয়েই বলে। কেননা তাদের বেশীর ভাগেরই কেরালা দেখার সৌভাগ্য হয় নি। মালয়েশিয়ার হাতে গড়া নানা পর্যটন দেখার ভাগ্য আমাদের অনেকেরই হয়নি। আর একারনেই আমরা আমাদের নিজেদের সুন্দরকেও সুন্দর বলে দাবি করতে ভয় পাই।

অনেকে ছুটিতে পার্বনে সিংগাপুর মালয়েশিয়া বালি ছুটে যাই। অথচ আমরা জানিনা _ আমাদের নিজেদের দেশে কি সব অপূর্ব সুন্দর জমা আছে। স্বরুপ কাঠিকে বাংলার কেরালা বলে আমি স্বরুপকাঠিকে বড় বা ছোট করতে চাই না। সুন্দর সুন্দরই। তুলনা করে তাকে বড় বা ছোট করা যায় না। শুধু এটুকুই বলব স্বরুপকাঠিকে পর্যটন ক্ষেত্র বলে প্রচার করলে ভাল করে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তুলতে তা অনন্য এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অচিরেই জায়গা করে নেবে ।##