টাঙগাইলের ওই স্কুল ছাত্রীর পাশে আমাদের সবার দাড়ানো দরকার। দিল্লির শহীদ ভারত তরুনির পাশে যেভাবে আজ ভারতসহ উপমহাদেশের মানুষ প্রতিবাদে সোচ্চার তেমনি এই কিশোরীর পাশে আমাদের দাড়ানো দরকার। ইনটারনেটে পড়লাম তার কাহিনী।
গনমাধ্যম বলছে–
ভারতের নয়াদিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যুর পর এবার টাঙ্গাইলে এক স্কুলছাত্রী (১৫) গণধর্ষণের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী কোনো পুরুষ দেখলেই ভয়ে আতকে ওঠে এবং চিৎকার করছে। এমনকি চিকিৎসকদের দেখলেও একই আচরণ করছে সে। তার আচরণে ওই ওয়ার্ডের অন্য রোগীরাও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছে।
অপরদিকে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মেয়ের এ ঘটনা জানতে পেরে স্ত্রী ও মেয়ের বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করা হয়নি কেন জানতে চাইলে ওই স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাকে (স্কুলছাত্রী) নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত থাকার কারণে মামলা করার সুযোগ হয়নি। যার কারণে দেরি হয়েছে। তবে সোমবার সকালে মধুপুর থানায় মামলা করার জন্য যাবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সমন্নয়কারী জানান, আমাদের একটি তদন্ত টিম হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তিনি আরও জানান, মেয়েটির বড় ভাইকে মামলা করতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ধর্ষণের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি আসে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমি একজন নগন্য মনোরোগ চিকিৎসক। আমার জ্ঞানবুদ্ধিতে বুঝি মেয়েটির মানসিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তাকে সার্বিক বাচিয়ে তুলতে সরকারের তরফে উদ্যোগ দরকার। মানবাধিকার কর্মীরা তার পাশে দাড়িয়েছেন-শুনেছি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু এধরণের ভিক্টিমকে তার শারীরীক মানসিক সুস্থতার জন্য দরকার সম্মিলিত চিকিৎসা। তার ভীতি কাটানোর জন্য নিবিড় শুশ্রুষা দরকার। দরকার কাউন্সেলিং। দরকার সাইকোথেরাপি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১০ ডিসেম্বর সোমবার সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় রেল লাইনের ওপর থেকে এক স্কুলছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে তাকে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ওই স্কুলছাত্রী সেখানে চিকিৎসাধীন।আশা করছি স্থানীয় হাসপাতালে তার সুচিকিৎসা হচ্ছে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যদি ঢাকায় আনা হয় আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা সম্মিলিতভাবে তার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত আছি।