সাজেক ভ্যালি ও রাঙ্গামাটি ভ্রমণ!

আল রশিদ
Published : 26 March 2017, 05:28 PM
Updated : 26 March 2017, 05:28 PM

দুই রাত আর তিন দিনের ভ্রমণ শেষ করলাম। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্যালিতে এক রাত অবস্থান করি। পরেরদিন খাগড়াছড়ি শহরে রিসাং ঝর্না ও আলুটিলা গুহা ভ্রমণ শেষে রাঙ্গামাটির পথে যাত্রা করে রাতে রাঙ্গামাটি সদরে পৌছাই। পরেরদিন কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ভ্রমণ করে রাতের বাসে ঢাকা ফিরে আসি।

সাজেক সত্যিকার অর্থেই সুন্দর প্রাকৃতিক পাহাড়ি একটি এলাকা। এখানকার গ্রাম্য পরিবেশ রাতে এক নিস্তদ্ধতা তৈরি করে । এখানে সন্ধায় সূর্যাস্ত আর ভোরে সূর্যোদয় দেখার সুযোগ আছে। সকালবেলায় যখন মেঘ তুলার মত উড়ে যাচ্ছিল তখন এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করেছিল।

সবচেয়ে চমৎকার লেগেছে জিপ গাড়িতে সাজেক যাওয়া আর আসা। দুই ধারে পাহাড়ি উঁচু-নিচু বিন্যাস চোখে পড়ার মত। অবাক করা ব্যাপার হল পাহাড়িরা সমতলের মত গা ঘেষে বাড়ি তৈরি করে না। খুবই সাধারন বাড়ি-ঘর, প্রাচুর্য নেই কিন্তু শান্তি আছে।

রিসাং ঝর্না বর্ষাকালে পানিতে টুইটুম্বর থাকে। এখন শীতের শেষে অল্প পানি ছিল। তারপরও ভাল লাগার কমতি ছিলনা । আলুটিলা গুহা রোমাঞ্ছকর এক অভিজ্ঞতা। গুহার ভেতরে মশাল নিয়ে পার হতে হয়। সারাদিন বৃষ্টি থাকায় খুব বেশি উপভোগ করতে পারি নাই!

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় হ্রদ। এখানে পানি এত পরিষ্কার যে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। রোদ্রজ্জল দিনে নৌকায় করে কাপ্তাই হ্রদ পাড়ি দেওয়ার মজাই আলাদা। চারিদিকে পানি আর পানি। দুই ধারে পাথুরে পাহাড়। মনোরম আবহাওয়া মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে। মাঝপথে চাং পাই এ দুপুরের খাবার খেয়ে ভাল লাগছে। আদিবাসি পরিবেশনা সাথে চিকেন-বাঁশ এক অর্থে নতুন কিছু মনে হইছে।