রোবট কাহিনী

আল রশিদ
Published : 7 May 2012, 06:33 PM
Updated : 7 May 2012, 06:33 PM

ঘটনা ১
প্রতিদিন সকালবেলা মুহিনদের নাস্তার টেবিলে একটা গোলমাল লেগেই থাকে । মুহিনরা তিন ভাই আর এক বোন । মা-বাবা সবাই একসাথে নাস্তার জন্য বড়ই ব্যস্ত সময় কাটায় । সকাল ৯:০০ টায় মা-বাবা দুজনই অফিসে চলে যায় । মুহিন সবার বড় । কলেজে ক্লাস শুরু সকাল ৯:৩০ মিনিটে । মেজ আদনান হাই স্কুলে পড়ে । ছোট রিফাত সদ্য প্রাইমারী শেষ করেছে । সবার ছোট মাহিয়া ক্লাস ফোরের ছাএী। সবাই সকাল ৮:০০ টায় নাস্তা করে । এটা প্রতিদিনের রুটিনমাফিক কাজ । সকালবেলার নাস্তায় একেকজনের একেকরকম পছন্দ । সমস্যা এখানেই। সবার জন্য খাবার তৈরি অনেক সময়ের ব্যাপার । আজকাল বাসায় কাজ করার লোক পাওয়া বড়ই মুশকিল । মুহিনের বাবা ব্যক্তিগতভাবে কাজের লোক পছন্দ করে না । তার যুক্তি বাসার যে কাজ তার জন্য নিজেরাই যথেষ্ঠ । এই অবস্হায় মুহিনের মা-বাবা বিকল্প পন্হা অবলম্বনের চেষ্টায় বিভোর । নতুন আইডিয়া নিয়ে প্রায়ই কথা হয়, আলোচনা করে । কিন্তু সমাধান বের করতে পারে না।

ঘটনা ২
অহনা, মা-বাবা তিনজন মিলে সুখী পরিবার । মা-বাবা দুজনেই চাকুরিজীবী । অহনাদের সবই আছে, টাকা-পয়সা, বাড়ী, গাড়ি । আর কি চাই ? কিন্তু তাদের একটাই দু:খ । অহনা প্যারালাইজড । অহনার বয়স ১১ । মা মেহেজাবিন স্কুলের শিক্ষক । ৯-৫ টা অফিস । এই সময়টা অহনাকে একা একা বাসায় থকতে হয় । অ্যাপার্টমেন্টের তিনতলায় ছোট্র একটি রুমে প্রায় বন্দী জীবন অহনার। কথা বলার সাথী কেউ নেই । অহনা চায় তার সাথে কেউ কথা বলুক, খেলা করুক । সময় তার কাটে না । অহনার মা-বাবাও চায় এমনই । কিন্তু এর থেকে উত্তরনের পথ জানা নেই ।

ঘটনা ৩
জামিল সাহেবের স্ত্রী গত হয়েছেন । ছেলেমেয়েরা সবাই দেশের বাহিরে থাকে । একাকী জীবন। দেখাশোনা করার মত আত্মীয় তেমন নেই । যারা আছেন তারা মাঝেমাঝে খোজখবর নেয় । বাসায় তাকে দেখভাল করার জন্য ছেলেমেয়েরা নতুন উপায় বের করার চিন্তায় দিশেহারা । উপায় একটা চাই ।

ভবিষৎ সমাধান
এমন সমস্যায় আমরা অনেকেই হিমশিম খাচ্ছি । এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে একটি রোবট । এখন বাজারে অনেক রোবট আছে যারা আবেগ-অনুভূতি বুঝতে পারে এবং প্রয়োজনে সাড়া দিতে পারে । তবে এর সাথে কিছু ব্যাপার জড়িত । যেমন রোবটের বাজার ও বিপনন, রোবট অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা দেওয়া ইত্যাদি । সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনার বিষয় । আজকাল স্বয়ংক্রিয় শিল্পে রোবটের চাহিদা বাড়ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে । [লিংক]

রোবট পাচকের কাজটিও করতে পারে । [লিংক]

হাসপাতালে রোবট রিসেপশনিষ্ট, সাহায্যকারী, গাইড এবং কুরিয়ার হিসেবে কাজ করছে। তাই বলা যায় না ভবিষতে বাসা-বাড়িতে রোবটের ব্যবহার দেখা যাবে ।

বিতর্ক
রোবটের ব্যবহারের সাথে নৈতিক ব্যাপার জড়িত । লিংক
রোবটের ব্যবহার বেকারত্ব বাড়াতে পারে । তবে ভাল-মন্দ বিচার করে রোবট ব্যবহার করা যেতে পারে।