ঈদের আনন্দ কোথায়?

আহমদ সোহেল
Published : 11 August 2012, 04:23 AM
Updated : 11 August 2012, 04:23 AM

ঈদের ডামাডোলে ঈদ মেনিয়ায় আক্রন্ত গোটা দেশ । চারি দিকে শুধু কেনা কাটা- আর কাটা কেনা। কাটা কেনা হচ্ছে মানুষকে জবাই করে অর্থ উপার্জন আর – কেনা কাটা হচ্ছে নিজেকে জবাই করে আত্মতুষ্টন । এ নিয়ে সরগরম গোটা দেশ আর তা চাগিয়ে দেবার জন্যে আছে মিডিয়া । মিডিয়া এখন তিলকে তার আর তালকে —— বানাতে সিদ্ধ হস্থ এ তাদের বায়া হাতকা খেল …বা' হাত- 'ত' আর এমনি এমনি চালায়-না মানুষ যখন ডান হাতটা চালা'ন' যায়না তখন বা-হাত টাই খেলাকরে। আমাদের নাগরিক জীবনে কত প্রকার খেলায় আমরা জান্তে অজান্তে অংসগ্রহন করি । ঈদ নিয়ে যেমন প্রান যাক আর আসুক অনেক বাগাড়-আড়ম্বর চাই-ই' চাই, সে হোক ল্যুটের মালে বা ঝুটের মালে। হাজার -হাজার টাকার কখনো কখনো লাখ- লাখ টাকার কেনা কাটা ।

কিন্তু টাকার উৎস কী ? অধিকাংশ খেত্রে এর কোন বাছ-বিচার নাই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে যারা জিগির তোলেন তারাই চান একটি পুষাকি সমাজের আবরনে জাতিকে পঙ্গুকরে রাখতে। তাতেই তাদের লাভ, তাতেই-তাদের লুটপাটের রাজনীতিটা বহাল-থাকে, আর মিথ্যাচারের বাতাবরনে আমাদের নিমজ্জীত রাখতে সুবিধা হয়। এই যে ঈদ এলো প্রতিবার আসে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দৈনতার কঠিন খরনের দাগ গুলো, সেটাকেই ধামা চাপা দিতে মিডিয়া সহ সকল বর্য্ব্য়া ব্যবস্তায় আধা জল খেয়ে নামে । বস্তুত আসল চিত্রকে আড়াল করতে গিয়ে পুঁজিবাদী সমাজ যে উদভ্রান্তের মত আচরণ করে তা, আরো প্রকট ভাবে আমাদের কাছে প্রতিয়মান হয়ে উঠে। যেমন ঈদে এলেই জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যায় , বাজার ব্যবস্থাপনা বলতে কিছু থাকেনা , জনগনকে জিম্মি করে মুল্য সংযজন করা হয় । নানা ওফিসে উৎকোচের পরিমান বেড়ে যায় , প্রসাশন বিমাতা সুলভ আচরণ করে আর রাস্তা ঘাট বেরিকেড দিযে পুলিশ ও অন্যান্য নানা বাহীনি চাদা বাজি করে ।মার্কেটে – মার্কেটে রাজনীতিক দলের কেডার ও রাজনীতিবিদেরা চাঁদাবাজী করে, আর সেই চাদার টাকাটাও মুল্য সংযোজন করে জনগনের ঘাড়থেকে উশল করে নেন মহাজনেরা।

রোজা মাশ থেকে সিন্ডিকেট ধারা সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় , যদিও এদেশে সারা বছরই সিন্ডিকেট গুলো সব কিছু নিয়ন্ত্রিত করে আর আমরা সবাই জানি সেই সিন্ডিকেট গুলো গড়ে ওঠে অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে। এদেশের পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্য ব্যবসায়ী এখানে রাজনীতি বড় কথা নয় বড় হচ্ছে টাকা কামানো তাইত সরকারে থাকতেই মন্ত্রিরা চুরিতে হাতে নাতে ধরা পড়েন আর ক্ষমতার পালাবদলে আমরা দেখতে পাই এসব লুটেরারা কেমন করে আমাদের লুট করে ত্রানের টিন দিয়ে ঘর বানায়, আর অভুক্ত মানুষের ত্রানের বিস্কুট পর্যন্ত চুরি করে খায়। এই ল্যুটপাটের রাজনীতি হতে মুক্ত হতে একটি শুশন হীন সমাজ ব্যবস্তা কয়েমের বিকল্প নাই । দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্ত্ব্য জনমানুষকে উদ্ধার করার শক্তি খুবি দুর্বল আর তারই কারণে রাম রাজত্য গেড়ে বসেছে ল্যুটেরারা । তাই জনগনের ভাগ্য বদলের অঙ্গিকার জোরদার করতে হবে ! জনগণের নিজের্স আওয়াজ তুলতে হবে , জনগণের কণ্ঠস্বর জোরদার করে প্রতিবাদী শক্তিকে এগিয়ে নিতে হবে । পরিশেষে রাস্ট্রের কাছে প্রশ্ন ছবিতে দেখানো মানুষ গুলোর ঈদ কোথায় গেলো একই রাস্ট্রের নাগরিক হয়ে ঈদের বাজারে এরা কোথায় ? এদের ঈদ কারা চুরি করে নিলো ? জনগনতান্ত্রীক রাস্ট্রে সবার সমান অধিকার লিপিত আছে বার বার সংবিধানে বলা আছে রাস্ট্রের সকল মানুষের সমান অধিকারের কথা ! কিন্তু তা' যারা সরকার চালান তারা মানেননা ধনিরা মানেননা তারা-ত, সকলেই আদতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেন তারাই তো সংবিধান অবমাননা করেন আর যখন তখন নিজেদের স্বার্থে অদল বদল করে কাটা ছেঁড়া করেন।

আহমদ সোহেল /১২-০৮-২০১২ ছবি ১১-৮-২০১২ও ১২-৮-২০১২ তোলা