সবার প্রতি এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর খোলা চিঠি: রাজাকার, আলবদর ও আলশামস্ সদস্যদের সাথে আত্মীয়তা সম্পর্ক স্থাপন থেকে দুরে থাকুন

আজমাল হোসেন মামুন
Published : 1 Feb 2010, 01:16 AM
Updated : 11 Jan 2011, 11:23 AM

আমরা জানি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস্ বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর ছায়াতলে থেকে এদেশের মা-বোনদের ওপর যে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিলো তা তরুণ প্রজন্ম শুনলে রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠবে। অকথ্য যৌন নির্যাতন, শ্লীলতাহানি এবং অনেকের সম্পদ লুটপাটসহ মানবতা বিরোধী সকল অপরাধ সংগঠিত করেছিলো তারা। স্বাধীনতার ৩৯ বছর পেরিয়েও জাতির কর্ণধার তরুণ প্রজন্ম আজও ভূলতে পারছে না সে সব। যদিও অনেকের জন্য মুক্তিযুদ্ধ দেখাতো দূরের কথা, তাদের মা-বাবার বিয়ে হয় নি সে সময়। একাত্তরে নির্যাতিত অসংখ্য নারী স্বাধীন দেশে ঘর বাধার স্বপ্ন হারিয়েছে। অনেকে কুমারী মাতা হয়ে সমাজের কাছে উল্টো লাঞ্ছিত হয়েছে। অন্যের কৃত অপরাধের শাস্তি ভোগ করছে নির্দোষেরা। এখন প্রকৃত অর্থে সময় এসেছে সেই অপরাধীদের বিচার করার। বিচার চাই। বিচার করতে হবে। বর্তমান সরকার যদি বিচার করতে ব্যর্থ হয় তবে এটা সত্য যে জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে সে জবাব দিবে।

আমি আপনাদের যে কথা বলতে চাচ্ছি, সেটা হলো অনেক রাজাকার, আলবদর ও আলশামস্ এর সদস্য মারা গেছে। তাদের বিচার হবে না। আমরা যারা তরুণ-তরুণী রয়েছি তাদের উচিত রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আত্মীয়তা সম্পর্ক না করা। কারণ, যুদ্ধাপরাধীদের অনেক সন্তান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ব্যাংকারসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সে জন্য আপনারা যারা বিয়ে করতে চান বা বিয়ের জন্য কোন পাত্র-পাত্রী খুঁজছেন তারা রাজাকার, আলবদর এবং আলশামসদের কন্যাকে বিয়ে করবেন না। আর যারা মেয়ে মানুষ তারা রাজাকার, আলবদর, এবং আশশামস্ দের ছেলেকে বিয়ে করবেন না। যদি বাবা-মা চাপ দেয় সেটা প্রত্যাখান করবেন।

আমরা চাই। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে কিছুটা হলে পাপ ভোগ করে। আসলে কি তরুণ-তরুণীরা পারবেন আমার কথা রাখতে? জানি টাকার কাছে সবাই হার মানে। যার সম্পদ বা যে যত সম্মানজনক পেশার সাথে জড়িত তাকেই আমরা পাত্র-পাত্রী নির্বাচন করি। আসলে রাজাকার, আলবদর এবং আলশামস্ বাহিনীর ছেলে-মেয়েদেরকে নিজেতো বিয়ে করবেনই না, আত্মীয়স্বজণ বা বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে বিয়ে হতে বাধা দিবেন। এটা আপনার আমার নৈতিক দায়িত্ব। যাতে রাজাকার, আলবদর এবং আলশামস্ সহ সকল যুদ্ধাপরাধীর বংশধররা বলে,

কেন হেন জন্মবিধি কৈলা রাজাকারের বংশে
আমাদের যৌবন-জ্বালা বসে থেকে মিটছে।
কি করিব কোথা যাবো কোথা গেলে গেলে পাবো অমরসঙ্গী
পূর্বপুরুষের কারণে হারাচ্ছি যৌবন, হইছি বন্দি।

আশা করি আপনারা আমার অনুরোধটি রক্ষা করার চেষ্টা করবেন।