বিডিনিউজ২৪ ব্লগ সম্বন্ধে একজন ব্লগার হিসেবে কিছু কথা

আজমাল হোসেন মামুন
Published : 10 Jan 2011, 07:27 AM
Updated : 10 Jan 2011, 07:27 AM

আমি লেখালেখির সাথে প্রায় ১০ বছর যাবৎ রয়েছি। বর্তমানে জীবনের ২৭ বছর হারিয়েছি। তবে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছি ২০০৪ সাল থেকে। প্রথমে প্রশিকা ফিচার সার্ভিসে এবং পরবর্তীতে দেশের প্রতিটি দৈনিকেই লিখেছি। মনের টানেই লেখালেখি করা। অনেকে পাগল, অনেকে তার ছেড়া এবং অনেকে ক্যারিয়ার ধ্বংস সম্বন্ধে নানা কথা শুনিয়েছে। কোন দিকেই কান দেওয়ার সময় ছিল না। গত বছর সামহোয়ারইন ব্লগ ডটনেট, তারপর আমার ব্লগ ডটকম, সোনার বাংলাদেশ ব্লগডটকম এবং ব্লগ বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমে ব্লগিং শুরু করি। পত্রিকা এবং ব্লগে লেখালেখির মধ্যে যে যাই খুঁজে পাক না কেন আমি পেয়েছি অনেক পার্থক্য। তবে পত্রিকায় লেখালেখির গুরুত্ব বেশি হলেও ব্লগ লেখাকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।

ব্লগে লেখালেখি করে দেখেছি যে, এখানে পাঠক সহজেই মন্তব্য করে লেখার প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় সহজেই। এটা কারো অস্বীকার করার উপায় নেই। ব্লগিং নিঃসন্দেহে স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে, আমি প্রতিবন্ধীতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্লগিং এবং সংবাদপত্রে লেখালেখি করে থাকি। প্রতিবন্ধীতা ইস্যুকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানোর জন্যই ব্লগিং খুবই ফলপ্রসু ভেবে ব্লগিং করা শুরু করি। আমার সাথে আরো অসংখ্য শারীরিক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্লগার কাজ শুরু করে। এতে দেখেছি, অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অভিভাবকেরা আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেছে। অনেকের উপকার করতে পেরেছি। অনেকের পারি নি। কয়েকজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ব্লগিং এর জন্য আমার ব্লগডটকম প্রতিবন্ধী বান্ধব ব্লগ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমার ব্লগ ডটকম বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আমন্ত্রণও জানিয়েছে।

ব্লগ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম পথচলা শুরু করেছে। আমিও একজন ক্ষীণ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্লগার হিসেবে ব্লগিং শুরু করেছি। ব্লগের স্টাইলটা আমার নজর কেড়েছে। এখন সময়ও দিচ্ছি এ ব্লগে। তবে আড্ডা তেমন জমে নি। প্রথম পাতা থেকে ব্লগ কর্তৃপক্ষ তাদের বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে ফেলেছে দেখে আমি একজন নতুন ব্লগার হিসেবে হতাশ। এটা প্রথম পাতায় মধ্যখানে রাখতে হবে। ব্লগারের সংখ্যা যেমন বাড়াতে হবে তেমনি বাড়াতে হবে পাঠকের সংখ্যা। পাঠক ছাড়া ব্লগ যেমন চলবে না, ব্লগার ছাড়াও তেমনি ব্লগের মান বৃদ্ধি পাবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রেও বিজ্ঞাপন দিতে পারে। একটি কথা মনে রাখতে হবে ব্লগিং সাইট চালু করার সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির মধ্যে পড়ে। সে জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্লগের মান বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি একজন ব্লগারের লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রথম পাতায়ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্লগ লিংক দেখানো যেতে পারে। পরিশেষে বলতে পারি, ব্লগ মুক্তমত প্রকাশের উপযুক্ত এবং ফলপ্রসূ মাধ্যম এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট ব্লগ কর্তৃপক্ষ এ ব্লগকে জনপ্রিয় ব্লগ হিসেবে বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের কাছে পরিচিত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা……….। নতুন ব্লগার বা সদস্যদের প্রতি রইল আমার অসংখ্য ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা। আপনারা ভাল থাকুন এবং ব্লগিং করুন।