আমি খালি মানসিকভাবে অসুস্থ ওই লোকটাকে দায়ি করব না। আমাদের সমাজ ও এর জন্য দায়ি। অনেক দিন থেকে অত্যাচার করলেও মেয়ের ভবিষত আর সমাজ কি বলবে এই ভয়ে রুমানা সাইদকে ত্যাগ করেনি। তালাক নেওয়া বা দেওয়া মেয়েদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি না বদলালে রুমানারা এভাবে সাইদদের হাতে নির্যাতিত হতেই থাকবে, কারন তারা সমাজের বক্রদৃষ্টির চেয়ে ঘরের মধ্যে মার খেয়ে হজম করাটাকে পছন্দ করে।
সাইদকে শাস্তি দিতে হবে ঠিক আছে। সাইদ শাস্তিযোগ্য অপরাধী কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন। আগে পিছনের ঘটনা, নাকে কামড়ানোর ঘটনা দেখে মনে হয় না কোন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ তাকে সুস্থ বলে সার্টিফিকেট দিবে। পাশ্চাত্যের দেশ গুলিতে এরকম মানসিক রোগীরা অনেক বড় ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যায়।
বেকারত্ব, নিজের চেয়ে স্ত্রীর উচ্চ সামাজিক ও পেশাগত অবস্থান, শেয়ার বাজারে সাম্প্রতিক লোকসান ইত্যাদি যে তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে তোলেছে তা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ওর আত্মহত্যা করতে চাওয়া থেকেই পরিষ্কার। শেয়ার বাজারের লোটপাট যে কত জনের মানসিক অসুস্থতা বাড়িয়েছে কে জানে। ঐ ক্রিমিনালরা কি শাস্তিযোগ্য না? ওদের কি কোন শাস্তি হবে না?
যাই হোক, কিছুতেই আমাদের এ ধারনা করলে হবে না যে , ওকে শাস্তি দিলে ভবিষতে এরকম ঘটনা ঘটবে না।
কেন না, এই সাইদ কে শাস্তি দেওয়া কিছুতেই অন্য সাইদকে মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করবে না। আর কোন সাইদই এই সাইদের জীবন থেকে শিক্ষা নেবে না।
সাইদরা কেন তৈরী হয়, আর রুমানারা কেন অত্যাচার মেনে নিয়ে সংসার করতে চায়, তা খতিয়ে না দেখে খালি মানসিকভাবে অসুস্থ সাইদকে শাস্তি দিলে কিছু তেমন কিছু হবে না । আর মা বাবারা যদি খালি ডিগ্রী, ফলাফল আর মা বাবাকে দেখে বিয়ে দেন কন্যাকে, ছেলের মানসিক স্বাস্থ্য, আত্নমর্যাদাবোধ (self esteem) না দেখেন , তাহলে তাদের মেয়েদের কপালে এরকম দুর্গতি না হওয়ার তেমন কোন কারন নাই।
এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সেলফ এস্টিমের উপর এই ভিডিও টা আমাদের চিন্তা চেতনায় অনেক পরিবর্তন আনতে পারে ।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।