প্রক্টরের ঘুষি – অনাকাংখিত কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়

বিন্দুবিসর্গ
Published : 21 Oct 2012, 07:44 PM
Updated : 21 Oct 2012, 07:44 PM

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের আন্দোলনরত এক ছাত্রীকে ঘুষি মারতে দেখা যাচ্ছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব সালাম সাহেবকে। কয়েকদিন আগে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তবিভাগ ফুটবল খেলায় কতিপয় ছাত্র কর্তৃক এক শিক্ষককে পেটানোর খবর আসে পত্রিকায়। এমন আরো খবর আমরা প্রায় দেখি। খবরগুলো অনাকাংখিত হলেও আমার কাছে অপ্রতাশিত নয়। কারন এই শিক্ষকগনই তাদের হীন স্বার্থ্ চরিত্রার্থ্ করার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করেন। ঔ সকল শিক্ষকছাত্রদেরকে একটা সিগারেট ভাগাভাগি করে খেতে আমি দেখেছি (নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা্ও তারা ভাগাভাগি করে বলে জানা যায়)। আর এই শিক্ষকগন কিছুদিন আগেই ছাত্র ছিলেন এবং দলীয় মিছিল মিটিং এ ছিলেন সবার আগে। এখন শিক্ষক নিয়োগ হয় দলীয় বিবেচনায়, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়। তাই তাদের এসব কর্ম্ অনাকাংখিত হলেও অপ্রত্যাশিত নয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তারা তাদের শিক্ষকের গাড়ি ভাংচুরই করেনি তাদের মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে এবং উভয় একই দলের অনুসারি। অপরাধ; নিয়োগে ছাত্রনেতারা তাদের চাহিদামোতাবেক নিয়োগ পায়নি। আর এই নিয়োগে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। নেতারা টাকা নিয়েছে কিন্তু সবার জন্য চাকরি যোগাড় করতে পারেনি। কারণ ঐ একই দলের শিক্ষকগন টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়ে নিয়েছেন। এখানেও শিক্ষকগনের মাথা ফাটানোটা অনাকাংখিত হলেও অপ্রত্যাশিত নয়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের চুড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুদিন আগে পলায়নপর পাকিস্থানী হানাদারগন এ দেশের অনেক মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল শুধুমাত্র এই উদ্দেশ্যে যে সদ্য স্বাধীনদেশটি যেন আগাতে না পারে। অথবা বিশ্বে মাথা তুলে দাড়াতে না পারে। আজকে আমরা নিজেরাই নিজেদের ধংশ করে চলেছি। একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি এরুপ পচন ধরে তবে সে দেশের আর সবই পচে দুর্গন্ধ বের হয়েছে। আমি আমার আরেকটি লেখায় ও অনুরোধ করেছি সকল রাজনৈতিক দল যেন এই একটি বিষয়ে কোন ভুল না করেন। অবশ্য দেশে অশিক্ষিত গন্ডমুর্খের সংখ্যা বাড়লে কতিপয় বিদেশ ফেরত ব্যারিস্টারদের জন্য ভাল, কারন মুর্খের দল তাদের মাথায় কাঠাল ভেঙেগ খেয়ে সারা মুখে আঠা মাখিয়ে রাখলেও রা টি করবে না।
আসুন আমরা এমন প্রক্টরের ঘুষির সম্মিলিত প্রতিবাদ ও নিন্দাজ্ঞাপন করি।