মধ্যরাত পর্যন্ত আছি গত কয়েকদিন। কি এক মাদকতা, প্রত্যয়ে দীপ্ত, বলিষ্ঠ হাজারও কণ্ঠের দাবী একটাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চায়। শিরায় শিরায় শিহরণ খেলে যায়, রক্তে ঢেউ ওঠে বাঁধভাঙার। এইতো চায়। স্বাধিকার আন্দোলনের যত অর্জন তার সবটুকুই বলা চলে এই তারূণ্যের হাত ধরে। আমরা থাকব যতক্ষণ না আমাদের দাবি মানা না হয়।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন দেখিনি, ভাষা আন্দোলনও নয়, উনসত্তর এর গণজাড়রণও দেখিনি। একাত্তর এর যুদ্ধও আমি দেখিনি। স্বৈরাচার হটাও আন্দোলন দেখলেও অনুভব করতে পারিনি। তবে আজকের আন্দোলন আমি দেখেছি, থেকেছি, হৃদয় দিয়ে অনুভব করছি। এবং এও বিশ্বাস করছি যে তরুণরা চাইলে সবকিছুই সম্ভব।
আমি এই চলমান আন্দোলনের অন্যদিকটি দেখছি তা হল আমাদের তরুণ সমাজ সব সময়ই অনিয়ম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে। যে কোন সময় যে কোন অত্যাচার-অবিচারের প্রতিবাদ করার মানসিকতা ও শক্তি আমাদের আছে। শাহবাগ থেকেই শুরু হতে পারে লুটেরা শ্রেণীর উৎখাত আন্দোলনও। শাহবাগও হতে পারে তাহরির স্কয়ার!?
সুতরাং লুটেরা ভণ্ড দেশপ্রেমিক সাবধান। ওই আসছে এদেশের তরুণসমাজ। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির পর শুরু হতে পারে লুটেরা রাজনীতির উৎখাত। আর তা যদি না হয় তবে বৃথায় আমাদের এই রাতজাগা, গলাফাটানো। বৃথায় আমাদের এই জাগরণ।
জয় হোক শাহবাগ স্কয়ার, মানবতার জয় হোক, জয় হোক খেটে খাওয়া মানুষের।