দিনে ৮ ঘণ্টা ইন্টারনেটে- আর এমন কী!

শিরু
Published : 31 March 2012, 10:55 AM
Updated : 31 March 2012, 10:55 AM

সুংবাদ পইড়ল্যেম। ৮ ঘুন্টা ইন্টরনেটে থাহার মদ্দি কোনো মদ্দামি নেই। আমা দ্যাশে সগগলে ঘুমতেন উইটই- ফেসবুকে ইসট্যাটাস দিয়ে বিরাশ হাতে লেয়- দাত মাজে। কারেন যতখুন আছে আর চার্জ যতখুন আছে নাওয়া-খাওয়া মনে থাহে না, ইন্টারনেট লিয়ে, দুইপোরে কিছু খাইয়ে ঢেকুর তুলা ইসট্যাটাস দিয়ে আবার নামে ইনটারনেটে। বিকালে প্রাইভেটের সুমায় বিরাঞ্চির নিচে মুবাইল তেন ইসট্যাটাস দেয়- "আইজ সুন্দোরী নাছরিন আমার সুজাসুজি বয়ছে। চ্যাপ্টারডা খুব ভালো পড়া হবি।" ওদিক সুন্দোরী নাছরিন কারণে-অকারণে তার কপালের কাছে থাহা ঘুড়ার ল্যাজের চুল লারতি থাহে।

সইন্দ্যায় কফি-হাউজে আড্ডা দিয়ে রাত্তিরি বাড়ী ফেরে। রাতির খাওয়া শেষে কয়ডা পিটিসি কিলিকে যুদ্ধ শুরু করে। কিলানতিত যহন রাইত বারোডা পার- চলতি থাহে ইসট্যাটাস আর পিটিসি যুদ্ধ। পিটিসিত ভর কইরে মালদার হওয়ার স্বপনে বিভোর এক ঘুম দিয়ে সকাল বানায়ে দেহে আবার আগেরদিনের রুটিন সামনে হাজির 🙂 ! এ্যাহন হিসাব কইরে দেন! আমারে চেংরা গুইল্যে ইন্টারনেচে কয় ঘুন্টা থাহে? ৮ ঘুন্টার চায় কম না বেশী?

অবশ্য যে দেশে দিনে মাতরো ২৯ট্যাকা ব্যয় কল্লিই ধনীর হিসাবে উটা যায়; সেনে ৮ ঘুন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করা মানে নায়ক-নায়ক অবস্তা! তারে আবার অদ্দেক জনগণ প্রকৃতি প্রেমি! মানে মুবাইল থাকলিউ টয়লেট সারে প্রকৃতির কোলে-কাঁধে! বাকী অদ্দেক জনগণের টয়লেট থাকলিউ ব্যবহারের ব্যাপারে আমি অনতোতো নিশ্চিত লয়।

আমারে দেশ গরীব দাবী কল্লিউ- গিরামিনফোনে পতিদিন মিনিমাম ১০ ট্যাহা ফেকসিলোড না হরলি উর ভাবই থাহে না। রিকশা চলায় তাতি কী! মুবাইলে রিকশা বুক করা লাগে ঘুন্টা ভাও ঘুরার জন্নি। কিছু মনে লিয়েন না! শিকখিতো ছাওয়াল-পল ভবিষ্যত পেতনিগেরে সাতে লিয়ে-লিয়ে ঠাইসে ধইরে রিকশায় ঘুরতি দেহিছি- তাই কইল্য্যাম।

চৈত মাসের এই সুমায় দেশে কাটফাটা রৈদের দুইপোর। ভালো যে আমা বরিশালের ৪০টা ফজলি আম খানেওয়ালা ব্যাটা মইরি গেছে। নায়তে এই চৈতমাসে নদীত পানি নেই- বাড়িত কারেন নেই- উনি ক্যাবা কৈরে থাইকতেন? মরেছে-বাঁচেছে।

যাই হোক- ভাল আছি- অনেক ভালো- আমি-আমরা গ্রামবাসী-দেশবাসী সবাই অনেক ভালো আছি…