দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে যে, 'প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বিলম্ব ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের দেরিতে অনুমোদনের কারণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য ৫৯১ কোটি টাকা ঋণ বাতিল করে দিচ্ছে। তবে এর আগে তারা প্রকল্পের অর্থায়নের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়। যে কারণে ২৯ আগস্ট অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এডিবির অর্থায়নকৃত প্রকল্পের অগ্রগতির চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে বৈঠক করতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যেসব প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন বাতিল করতে যাচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন ও উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম বন্দর বাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রকল্প, কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রকল্প। এছাড়া তারা আরও কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে প্রকল্প বাস্তবায়নের হাল নাগাদ তুলে ধরে বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করা হবে বলে দাবি করেছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা।'
অর্থ ছাড়, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সংস্কারে ধীরগতির কারণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৫৯১ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা বাতিল করে দিচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসন বিশেষত বিজ্ঞ সচিব, মাননীয় মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের কী কাজ ? বৈদেশিক সাহায্য মনিটরিং করার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ কী নেই ? এমনিতে বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে এখনো কোন আপোষ রফা হয়নি। সে মুহূর্তে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ৫৯১ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা বাতিলের খবর আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার। শেয়ার বাজার শেষ, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পথে বসেছে। সউদি আরব, কুয়েত, কাতার, আমিরাত, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানী ও ভিসা নবায়ন বন্ধ। প্রবাসীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে ফলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ স্বাভাবিক কারণে কমে যাচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই কেন ? এটা বুঝে আসে না। অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা উড়িয়ে দেয় যায় না।