আমাদের দেশের মহাসড়ক গুলো অপ্রস্ততার কারণে রোড ডিভাইডার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মহাসড়ক কমপক্ষে ৪লেন উন্নীত করে রোড ডিভাইডার খুবই জরুরী। তবে ৪ লেনে উন্নীত করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। সে সময় অতিবাহিত করতে বহু মানুষের প্রাণ হারাতে হচ্ছে। চালকের অসতর্কতার পাশাপাশি সড়কের গঠনের উপরও অনেকটা মহাসড়কে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটছে। যেমন একটি উদাহরণ, ঢাকা-চট্টগ্রামের হাইওয়েতে ঢাকা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৪ লেনের মহাসড়কে রয়েছে রোড ডিভাইডার। দাউদকান্দির পরে চট্টগ্রাম পর্যন্ত অপ্রশস্ত সড়ক, নেই রোড ডিভাইডার। ফলে ঢাকা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত রোড ডিভাইডার থাকায় সড়ক দূর্ঘটনা আশংকা কম, বেশির ভাগ মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনা গুলো ঘটছে দাউদকান্দি টোলের পর হতে চট্টগ্রামমুখী ডিভাইডার বিহীন সড়কে এবং বেশিরভাগ মুখোমুখী মারাত্মক দূর্ঘটনা গুলোই হচ্ছে অপ্রশস্ত সড়কের টার্নিং পয়েন্টে (বাঁকে বাঁকে)।
এই অবস্থায় মহাসড়ক গুলো ৪ লেনে উন্নীত করতে করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন, প্রয়োজন অর্থেরও। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মত বহু প্রাণ অকালে ঝড়ে পড়বে।
তাই আমি দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করলাম। দেশের মানুষ উপকৃত হলে আমি ধন্য।
অথবা
যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ খুবই ভয়াবহ। আর মুখোমুখি সংঘর্ষ গুলোই হয় রোড ডিভাইডার না থাকার কারণে। আর যেহেতু বেশিরভাগ দূর্ঘটনা গুলোই ঘটছে টার্নি পয়েন্ট (বাঁকে বাঁকে), তাই রোড ডিভাইডার গুলো শুধুমাত্র বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্টে স্থাপন করলে অনেকটা মুখোমুখি দূর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলে আমার বিশ্বাস। মানুষের ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষ্যে আমার কৌশলটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য আপনাদের কাছে পরামর্শ চাই। আপনাদের মূল্যবান মতামতই আমাকে সহায়তা করবে।
মহাসড়কের ভয়াবহ দূর্ঘটনা রোধে আমার প্রস্তাবটি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই পূর্বক বিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ রইল।