
বর্তমানে রাজধানীর যানজট এমন একটি দুর্ভোগ যা জীবনকে বিতৃষ্ণা করে তোলছে। সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা কিংবা মধ্যরাতেও দূর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। ছোট্ট শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি, সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীজীবি, সাংবাদিক এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণীর মানুষ এই যানজটের শিকার যা খুব কষ্টকর। প্রতিদিন যানজটে পড়ে অপব্যয় হচ্ছে মূল্যবান তেল ও গ্যাস, ফলে পরিবহন মালিকরা বেশি ভাড়া নিয়েও লাভবান হতে পারছে না এবং যাত্রীরাও বেশিভাড়া দিয়েও সামাল দিতে পারছে না, নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, যানজটের কারণে সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বছরের পর বছর বিভিন্ন ভাবে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সকলের অনেক প্রচেষ্টার দ্বারা এবং অধিক অর্থের বিনিময়েও যানজট সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। তার প্রধান কারণ হচ্ছে প্রকৃত সমস্যা নির্ণয়ে ত্র“টি। যে কারনে ১০/১৫ বছর যাবত বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও তেমন কোন সুফল পাওয়া যায় নাই। অনেকেই যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অফিস আদালত, প্রাইভেটকার ও জনসংখ্যা। তাহলে ১৫বছর আগে কেন যানজট ছিল? সেই সময় তো জনসংখ্যা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং গাড়ীর পরিমাণও কম ছিল। বর্তমান এখনও এর ছোট্ট একটি প্রমাণ হলো শুক্রবার। এই দিনে সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত বন্ধ থাকে। তারপরও যানজটের হাত থেকে রক্ষা নাই। এখানেই প্রমাণিত হয় যে জনসংখ্যা, গাড়ীর চাপ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগুলোই যানজটের প্রধান কারণ নয়। আরেকটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, মাত্র ২ লেনের সড়ক হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। কিন্তু দৈনন্দিন অতিদ্রুত এবং অধিক গাড়ী ২৪ঘন্টা চলাচল করে এই মহাসড়কে। কোন প্রকার দুর্ঘটনা ছাড়া তীব্র যানজটের স্বীকার হতে হয় না। তার কারণ হচ্ছে ঐ সব প্রধান সড়কে সংযোগ সড়ক খুবই অল্প যার কারণে প্রধান সড়কের গাড়ী গুলো বাধা গ্রস্থ হয় না এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে ঘন্টায় ৬০/৮০/১০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। অপর দিকে ঢাকার ভিতরে প্রতি ঘন্টায় ১০/১৫ কি:মি: চলা যায় কিনা তারও নিশ্চয়তা নাই। ৫মিনিটের রাস্তা কখনো ৩০মিনিট কখনো ৪৫মিনিট সময় লাগে। তার প্রধান কারণই হচ্ছে ঢাকার তিন রাস্তা / চার রাস্তার সংযোগ সড়ক বেশি। তেমনি এক নতুন সংযোগ সড়ক হচ্ছে বিজয় স্মরণী লিংক রোড। এর ফলে আগে এখানে এত তীব্র যানজট ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এই সংযোগ সড়কের কারনেই তীব্র যানজটের স্বীকার হচ্ছে সকল যানবাহন। এর তীব্রতা মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমার গবেষণায় যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে নিরবচ্ছিন্নভাবে যানবাহন চলতে না পারা। আর রাজধানীতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলতে না পারার অন্যতম কারণ হিসেবে আমার গবেষণায় উৎঘাটন করেছি সিগন্যালের লালবাতি/তিন/চার রাস্তার মোড়। পর্যাপ্ত সড়ক থাকা সত্বেও সিগন্যাল / লালবাতির আওতায় সকালের শুরু থেকে রাজধানীতে যানজটের উৎপত্তি। একটি তিন রাস্তা / চার রাস্তার সিগন্যালের কারণে প্রধান সড়ক সহ সংযোগ সড়ক গুলোর যানবাহন বার বার বাধাগ্রস্থ হয় এবং তীব্র যানজটের স্বীকার হয় এবং গাড়ী গুলো ধীর গতির হয়ে স্থীর হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ এক পাশের গাড়ী গুলোকে চলার সুযোগ করে দিতে গিয়ে আরও কয়েক লেনের গাড়ীকে লাল সিগন্যালের আওতায় স্থগিত করে দিতে হয়। প্রযুক্তির অভাবেই বহু বছর যাবৎ এই যানজটের সমস্যা। যার কারনে কিছুক্ষণ এই লেন সচল করে ঐ লেন বন্ধ করে এবং ঐ লেন সচল করে এই লেন বন্ধ করে। পর্যাপ্ত সড়ক থাকা স্বত্ত্বেও চলমান গাড়ী গুলো বাধাগ্রস্থ হয় এবং অপেক্ষা করতে হয়। এই অপেক্ষার কারনে ঐ গাড়ী গুলো যেখানে কয়েক কিলোমিটার চলে যেতে পারত এবং তার পিছনের গাড়ী গুলো অগ্রসর হয়ে চলে আসতে পারত। সেখানে এই অপেক্ষার ফলে পিছনের গাড়ী সামনের গাড়ী এক সাথে জড়ো হয়ে যাচ্ছে এবং সিগ্যানাল ছাড়ার পর হুলুস্থুল করে ছুটাছুটি করছে। এভাবে চলতে চলতে এক পর্যায়ে চারপাশের সড়ক ব্লক হয়ে যায় এবং নগরীতে দুুঃর্বিসহ যানজটের সৃষ্টি হয়। তখণ ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলেও সত্য যে, এই পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন সড়কই বিভিন্ন সময়ে অব্যবহৃত থাকে সিগন্যাল / লালবাতির কারণে। এই চলমান গাড়ীকে বাধা সৃষ্টি এবং অব্যবহৃত সড়ক প্রকৃতভাবে ব্যবহার না হওয়ার কারণেই প্রধান সড়ক এবং শাখা সড়ক গুলোতে যানজটে স্থির হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ বহু দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহন করেছে। এই যানজটের নিরসনের জন্য বিভিন্ন ব্যয় বহুল ফ্লাইওভার / এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প গ্রহন করেছে। কিন্তু তারপরও এর প্রকৃত সমাধান হয়নি। তার একটাই কারণ সঠিক রোগ নির্ণয়ের ক্রুটি। উড়ালেই সমাধান তা নয়, আসলে আমাদের জানা ছিলনা কোথা হতে অল্প উড়াল দিলে এর সমাধাণ হবে। যে কারণে বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভার / এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে প্রকৃত সমাধান না হয়ে বিপরীতে সহজ ভাবে এর সমাধাণের প্রযুক্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। এ পর্যন্ত সরকার রাজধানীর যানজট নিরসনের জন্য আন্তরিকভাবে বহু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। বর্তমানে এয়ারপোর্ট-কুতুবখালী ২৬কিঃমিঃ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানের জন্য ১৪হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। আসলে নির্মাণেই সমাধাণ তা নয়। প্রকৃতপক্ষে আমাদের জানতে হবে এই ধরনের ব্যয় বহুল প্রকল্পে কি পরিমাণ যানজট নিরসন হবে এয়ারপোর্ট হইতে কুতুবখালী পর্যন্ত। আমার জানামতে ঐ রূটের এয়ারপোর্টের কিছু সংখ্যক গাড়ী যারা শুধুমাত্র মানিকমিয়া এভিনিউ এবং পলাশীর মোড় পর্যন্ত যারা যাবে তারাই শুধু ঐ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে। বেশিরভাগ প্রাইভেটকার, লোকাল/সিটিং বাসও ঐ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে না। তাহলে সকল গাড়িই যদি তাদের আগের মতই সড়ক পথ ব্যবহার করে তাহলে যানজট নিরসন হবে না। প্রকৃতপক্ষে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুটেও (বনানী, মহাখালী, মালিবাগ, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকা) যানজট স্থায়ী হয়ে যেতে পারে যা পরবর্তীতে কোন প্রকার প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অপরদিকে এই ধরনের এলিভেটেড / ফ্লাইওভার নির্মাণ কয়টি সম্ভব। শুধু এয়ারপোর্ট হইতে সায়দাবাদ, আবার মিরপুর থেকে সায়দাবাদ, নিউ মার্কেট হইতে সায়দাবাদ তাহলে গুরুত্বপূণ স্থান সহজ লিংক দেওয়ার জন্য কত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মাধ্যমে, কত বছরে, কত সময়ে সম্ভব এবং এতে সুফলের পরিমাণ খুবই অল্প, এর মাধ্যমে প্রকৃত সমাধাণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রথম আলোর সংবাদ মারফত জানা যায় যে, সাধারণ ৩কিঃমিঃ কুড়িল ফ্লাইওভার ২বৎসরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে ৮মাসে এর মাত্র ৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এগুলোতে আসলে সময় ব্যয়, অর্থ ব্যয় এবং জনদূর্ভোগের তুলনায় ফলাফল তেমন বেশি কিছু নয়। এছাড়া এই ধরনের প্রযুক্তি বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রয়োগ করেও তীব্য যানজট হতে রেহাই পায়নি।
এয়ারপোর্ট-কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিপক্ষে আমার প্রযুক্তির মিনি ফ্লাইওভার (১। কুড়িল বিশ্বরোড সংযোগ সড়কের উপরে, ২। বনানী ষ্টাফ গেট রেল ক্রসিং এর উপরে, ৩। বনানী সংযোগ সড়কের উপরে, ৪। ক্যান্টনম্যান্ট সংযোগ সড়ক, ৫। মহাখালী সংযোগ সড়ক, ৬। বিজয় স্মরণী সংযোগ সড়ক, ৭। খামারবাড়ী-ফার্মগেট সংযোগ সড়ক, ৮। কাওরান বাজার সংযোগ সড়ক, ৯। শেরাটন হোটেল সংযোগ সড়ক, ১০। শাহবাগ সংযোগ সড়ক, ১১। পল্টন সংযোগ সড়ক, ১২। মতিঝিল সংযোগ সড়ক, ১৩। সায়দাবাদ রেল ক্রসিং এর উপরে, ১৪। জনপথ মোড়, ১৫। যাত্রাবাড়ী মোড়, ১৬। চিটাগাং রোড, ১৭। কাঁচপুর সংযোগ সড়ক) আনুমানিক ১৬/১৮টি মিনি ফ্লাইওভার নির্মাণের ফলে অটোমেটিক ঐ রুটের গাড়ী গুলো নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলতে পারবে। সংযোগ সড়কের গাড়ী গুলো নিচে দিয়ে ক্রস করতে পারবে এবং ঐ স্থানে প্রধান সড়কের গাড়ী গুলো সিগন্যালের অপেক্ষা না করে মিনি ফ্লাইওভারের মাধ্যমে উপর দিয়ে চলে যেতে পারবে। আমাদের ক্ষত স্থানে মলম না লাগিয়ে কেন আমরা সারা দেহে মলম লাগাব? তাহলে ২৬কিঃমিঃ এলিভেটেড নির্মাণ না করে শুধু মাত্র সিগন্যাল পয়েন্ট/তিন রাস্তা / চার রাস্তার মোড়ে মিনি ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে ২৬কিঃমিঃ এর কাজ না করে মিনি ফ্লাইওভার প্রযুক্তিতে আনুমানিক ৬ কিঃ মিঃ এর কাজ করলেই প্রকৃত ভাবে যানজট নিরসন সম্ভব এবং বেশিরভাগ যানবাহনই সুবিধা ভোগ করতে পারবে। ফলে সরকারের কয়েক হাজার কোটি সাশ্রয়, দীর্ঘ সময় সাশ্রয় এবং একটি রুটের চারদিকের যানজট নিরসন সম্ভব যা একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে / ফ্লাইওভারের পক্ষে সম্ভব নয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে / ফ্লাইওভার ঐ রুটের চারিদিকের সমাধান দিতে পারে না। এর প্রকৃত প্রমাণ টঙ্গী ওভারপাস, খিলগাঁও, মহখালী ফ্লাইওভার এবং ফ্লাইওভারের নিচে-উপরেও যানজট বিদ্যমান। প্রযুক্তির সুফলঃ * লালবাতি সিগন্যাল থাকবে না / অপেক্ষা করতে হবে না। * মোড়ে মোড়ে বেশিরভাগ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ী চলবে। * যানজট এবং জনজট থাকবে না। * যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। * বর্তমান গাড়ী সংখ্যা দিয়ে দিগুণ জনসংখ্যা বহন সম্ভব। * বর্তমান জ্বালানী সংকটে মূল্যবান তেল/গ্যাস অপব্যয়ের হাত থেকে রেহাই পাবে। * অন্যান্য।
আমরা আসলে বর্হিবিশ্ব হতে বিভিন্ন দিক অনুকরণ করতেই শিখেছি কিন্তু এমন কিছু আবিস্কার করতে পারিনি যাতে বর্হিবিশ্বও আমাদেরকে অনুকরণ করে। তাই আমি এমনই একটি পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি প্রয়োগ করে এই যানজট সমস্যার ইতি টানতে চাই যা দেশ ও বিদেশে অনুকরণ করার যোগ্য। জীবন যুদ্ধ ও জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান, অধিক কষ্টের বিনিময়ে এবং গবেষনার মাধ্যমে তৈরী করেছি যানজট নিরসনের নক্সা। ইহা শুধু ঢাকা সিটিই নয়, অন্যান্য জেলা শহরে এবং বর্হিবিশ্বে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই আমি চাই বাংলাদেশই হোক এই প্রযুক্তির উদ্বাবক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইহাও ইতিহাসের পাতায় স্থান দখল করবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই এই প্রযুক্তিটি পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করি।
এ এছাড়া দেশ/বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পেপারের প্রকাশিত কিছু লিংক দেওয়া হলোঃ
http://www.bijoynews24.com/?p=1285
http://www.nationalnews.com.bd/index.php?cmd=details_news&newsId=18466
http://www.bibekbarta.com/bibekbarta/index.php?option=com_content&view=article&id=2447%3A2011-03-01-18-12-27&catid=49%3A2010-10-07-07-46-35
http://www.hollywoodbangla.com/index.php?option=com_content&view=category&layout=blog&id=31&Itemid=131
http://www.bijoynews24.com/?p=1285
বিঃ দ্রঃ ১। ০২/১০/২০১০ইং তারিখে প্রধান মন্ত্রীর ই-মেইল ঠিকানায় এ ব্যাপারে স্বাক্ষাতের জন্য দরখাস্ত প্রেরণ করা হয়েছিল। ২। ২৬/১০/২০১০ইং তারিখে প্রযুক্তির বিস্তারিত তথ্য, নক্সা প্রধানমন্ত্রীসহ, বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়, টিভি/রেডিও চ্যানেল, সংবাদপত্রের ই-মেইল ঠিকানায় প্রেরণ করা হয়েছে। ৩। ০৮/১১/২০১০ইং তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যানজট নিরসনের স্পাইরাল বাইন্ডিং বই (যানজট, জনজট, দুর্নীতি, মামলাজট নিরসনের তথ্য, নক্সা) প্রদান করা হয়েছে এবং ০৯/১১/২০১০ইং তারিখে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে এবং ১০/১১/২০১০ইং তারিখে মাননীয় স্পিকার সাহেবের নিকট প্রদান করা হয়েছে।
ফারুক বলেছেনঃ
সমস্যাটি আমাদের দেশের প্রকৌশলী দ্বারাই সমাধান করা সম্ভব। ফলে, দেশের প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দেশের কাজ দেশের লোকেরাই করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই যানজট বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী এবং মিডিয়াভাইদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ফারুক বলেছেনঃ
আমার এই লেখাটির একটিও মন্তব্য পেলাম না, তাই নিজেই মন্তব্য দিলাম। আসলে আজকের সৃষ্ট এই পরিস্থিতির সমাধানের কোন পথই নেই সকলের ধারনা। সকলের মনে হয় মানুষের চাপ, গাড়ির চাপ ইত্যাদি। এই ধারনা থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাই আমার লেখাটির সাথে কারও ধারণার সাথে মিল খুজে পাচ্ছে না বলেই মন্তব্য নেই। আমার এ বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা ও উদ্বাবন আছে, তাই আল্লাহর রহমতে আমি এর নিশ্চয়তা দিতে পারছি সমাধান সম্ভব। আমার আরও অন্যান্য পোষ্ট/লেখা আছে। দেশের স্বার্থে একটু ভাবুন এবং উপলব্ধি করুন, দেখবেন আপনারাও আমারমত বলবেন এখনও রাজধানীকে বসবাসযোগ্য ও যানজট মুক্ত করা সম্ভব। আসলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও নতুন উদ্বাবন ছিলনা বলেই আজকের ৪০বছরের রাজধানীকে ৮০বছরের বৃদ্ধ হতে হয়েছে।
ফেরদাউস বলেছেনঃ
আমার মনে হয়, মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকার মনে হয় সঠিক সিদ্যান্ত নেন নি। পৃথিবী জনবহুল উন্নত দেশের শহরে মেট্রো রেলই শহরের অধিবাসিকে দৈনন্দিন নিজের গাড়ি কর্মস্থলে নেয়া থেকে মুক্তি দিয়েছে।
ফারুক বলেছেনঃ
ফেরদাউস ভাই,
মেট্রো সুন্দর সমাধান। তবে মেট্রো রুট ঢাকা সিটির জন্য কয়টি করা সম্ভব ভাই। দেখেন যানজট ১০/১৫বছরেও অধিক সময় রাজধানীতে স্থায়ীত্ব। তো মেট্রো রুট তো একটিও যানজট নিরসনে হয়নি। এটা খুবই জটিল কাজ। এেেত্র অনেক হিসাব নিকাশও আছে। যাই হোক মেট্রোই যদি যানজট নিরসন করতে পারতো তবে জাপানে কি যানজট নেই ? এই রাজধানীকে যানজট নিরসন এ ধরনের পরিকল্পনার মাধ্যমে করতে গেলে ৫০বছরেও সম্ভব হবে না। তবে আমার পরিকল্পনা গ্রহণ করলে রাজধানী যানজট নিরসন বিশ্বের সবচেয়ে স্বল্পব্যয়ে এবং স্বল্প সময়ে দেওয়া সম্ভব। সব কিছুর জন্যই একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রয়োজন। এখন যানজট নিরসনে সঠিক কোন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে তা মনে হয় এখনও ভেবে উঠতে পারেনি আমাদের কর্তৃপরা। তাই মেট্রোরেল বছরের পর বছর আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছিল মেট্রোরেল এখন ২বছর পর বলা হচ্ছে আকাশ রেল এভাবে ভাবতে ভাবতে আমাদের জীবন চলে যাবে। যেভাবে বলা হচ্ছে যানজট নিরসনে বিশ্বের কোন কিছুই যেন বাকী রাখা হচ্ছে না যার ফলাফলের পরিমাণ কি? যাই হোক আমার পরিকল্পনায় আমি ১০০% অটল, রাজধানীকে এখনও যানজট মুক্ত করা সম্ভব এই ধরনের ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়াই। ভাল লাগল ফেরদাউস ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
এ ব্যাপারে একটি লেখায় আমার মন্তব্য দেখুনঃ
Your text to link…
ফিরোজ আলম বলেছেনঃ
ভাই আপনি আমার দির্ঘ দিনের মনের ভাবা কথা বলছেন।যানযোটে কিভাবে সমাধান পাওয়া যায় এই নিয়া তিন রাস্তা ও চার রাস্তার কি ভাবে গাড়ি ওভার ব্রিজ বানানো যায় তার ডিজাইন করছি।আমার এই ডিজাইনে যেকোন গাড়ি যেকোন ডিকে যেতে পারবে কোন বাধা ছাড়া।
ফারুক বলেছেনঃ
ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই,
আপনি আমাদের নতুন সংগঠনে অংশ গ্রহন করতে পারেন। নিচে লিংক দেওয়া হলো।
ব্লগার ভাইদের নিয়ে “যানজট মুক্ত শহর চাই” নতুন সংগঠনের উদ্যোগ, আপনিও অংশগ্রহন করুন
খালেদ বলেছেনঃ
ভাই, আমি আপনার সাথে শুধু একটা বিষয়েই একমত যে এলিভাটেড এক্সপ্রেস ওয়ে যানজ়ট নিরসনে খুব বেশি সাহায্য করবে না। কিন্তু আপনি আপনার বাকি প্রস্তাব নিয়ে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। উন্নত দেশে কোওর্ডিনেটেড সিগন্যাল ব্যাবস্থা দিয়ে শহরের যানজ়ট দূর করা হচ্ছে। সিগন্যাল মোটেই সবক্ষেত্রে যানজ়টের উৎস নয়। আপনি বলছেন আপনার গবেষনার ফলাফল এগুলো। আপনার ব্যাকগ্রউন্ড এবং গবেষনার মেথড ও লক্ষ্য একটু বলবেন কি? তাহলে আলোচনা করতে সুবিধা হতো। আমার কথাগুলো পজ়িটিভলি নিবেন আশাকরি।
খালেদ,
ট্রান্সপোর্ট মডেলার, যুক্ত্ররাজ়্য।