বিএসএফের গুলিতে সাতক্ষীরা সীমান্তে বাংলাদেশী নিহত। মে দিবস উপলক্ষ্যে বিএসএফের শুভেচ্ছা উপহার!!!

হাবিব
Published : 1 May 2011, 06:34 AM
Updated : 1 May 2011, 06:34 AM

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে রহমত আলী (৩৫) নামের বাংলাদেশী এক রাখাল নিহত হয়েছে। ২৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সীমান্তের ঘোনা জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাখাল রহমত আলী সাতক্ষীরা জেলা সদরের বাঁশদহা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে।

এদিকে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী রাখাল নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঘোনা সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত গ্রামবাসী জানান, রহমত আলীসহ কয়েকজন রাখাল গরু আনতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘোনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। রাত ১২টার দিকে গরু নিয়ে ফেরার সময় ঘোনা সীমান্তের ৭নং মেইন পিলারের দেড়শ' গজ অভ্যন্তরে ভারতের জয়নগর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় রহমত আলী ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। স্থানীয় লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন ।

ঘোনা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মতিউর রহমান জানান, বিএসএফের গুলিতে রহমত আলীর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিজিবির পক্ষ থেকে গতকাল সকালে বিএসএফের জয়নগর ক্যাম্পে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়। সে অনুযায়ী ঘোনা সীমান্তের ৭নং মেইন পিলারের জিরো পয়েন্টে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে রাখালেরা গরু পাচারের সময় বিএসএফ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয়। নিরূপায় হয়ে গুলি চালাতে হয়েছে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়। তবে রহমত আলীর মৃত্যুতে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে আগামীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া পতাকা বৈঠকে গরু পাচার নিয়েও কথা হয়।

বিজিবি ও বিএসএফের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট দলের পক্ষে নেতৃত্বে দেন ভোমরা ক্যাম্পের সুবেদার মুনসুর হেলাল ও ভারতের জয়নগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সউলকাসহান দত্ত।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক হারান চন্দ্র পাল জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।