নারী নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ৮ মাসে যৌতুক ও অন্যান্য কারণে স্বামীগৃহে নির্যাতনের পর জীবন দিতে হয় ২২১ জন নারীকে। কবে শেষ হবে এই নিষ্ঠুরতার?
যৌতুকের ও নারী নির্যাতন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত পাঁচ মাসে যৌতুক ও অন্যান্য কারণে স্বামীগৃহে নির্যাতনের পর জীবন দিতে হয় ১১৯ জন নারীকে।
যার মধ্যে
– অক্টোবর মাসে ১৮ জন,
– নভেম্বর মাসে ৩৫ জন,
– ডিসেম্বর মাসে ২৭ জন,
– জানুয়ারি মাসে ১৬ জন
– ফেব্রুয়ারি মাসে ২৩ জন
– মার্চ মাসে ২৮ জন
– এপ্রিল মাসে ৩৪ জন এবং
– মে মাসে ৪০ জন নারীকে জীবন দিতে হয় ।
৩ জানুয়ারি পাকুন্দিয়া উপজেলার পূর্ব বাহাদিয়া গ্রামে রহিমা খাতুনকে (২৫) স্বামীগৃহে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
৪ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামে যৌতুকের কারণে তুহিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
১০ জানুয়ারি রায়পুরায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় পাষণ্ড স্বামী মতি মিয়া পিটিয়ে ও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মনিরাকে।
১২ জানুয়ারি সিলেটে পুলিশ স্বামী কাজল দত্তের (৩৫) দায়ের কোপে স্ত্রী মনি রাণী পাল (৩২) নিহত হন।
১৬ জানুয়ারি মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে বিয়ের দুদিন পরে স্ত্রী মফিজুনকে হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী মিছির মিয়া।
২৩ জানুয়ারি চাঁদপুরের কচুয়ায় যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয় গৃহবধূ তাপসী রাণী সরকার (২৩) কে।
২৩ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয় অন্তস্বত্ত্বা গৃহবধূ সালমাকে (২২)।
৮ মে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বাসর রাতে খুন হয় নববধূ আসমা আক্তার নাহিদা।
এই অভিশাপ থেকে যে সমাজ কবে মুক্ত হবে!!! জানিনা। তবে ততদিনে আমাদের সুন্দর সমাজ বিনির্মানের সবচেয়ে সায়েন্টিফিক পরিবার প্রথা টিকে রাখা যাবে কিনা সেটাই আজ বড় প্রশ্ন?
***
তথ্যসূত্র