আজ সকালে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ড মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের সাথে কথা হল । উনার সাথে কথা বলার মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের সকলের প্রিয় কথাসাহিত্যিক, হুমায়ূন আহমেদের শেষ স্বপ্ন পূরণে কিভাবে কার্যকরী উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে পরামর্শ ও আলোচনা করা এবং দিক-নির্দেশনা নেয়া।
কথার জাদুকর, হুমায়ূন আহমেদ আজ আমাদের মাঝে নেই । তার অকাল প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন হয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রকাশের নিদর্শন স্বরূপ প্রতিনিয়ত পত্র – পত্রিকায়, ম্যাগাজিনে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলতে কিংবা বিভিন্ন ব্লগে আমরা লিখছি । ভালোবাসা আর আবেগের কারণেই তাঁকে নিয়ে কবিতা, প্রবন্ধ কিংবা ছোটগল্প লিখে যাচ্ছি আমরা । সেই কবিতা আবৃতি করে অথবা গানে সুর বসিয়ে আপলোড করছি ইউটিউবের মত নানা ভিডিও শেয়ারিঙের সাইটে । সবই ঠিক আছে , এতে দোষের কিছু অন্তত আমি খুজে পাচ্ছি না ।
কিন্তু এসকল কাজের পাশাপাশি এটা আরও ভালো হতো না যদি আমরা লেখককে, লেখকের সৃষ্টিকে যারা সত্যিই ভালবাসি, লেখকের স্বপ্ন পূরণে একযোগে তারা সবাই বুকে সাহস আর আত্মপ্রত্যয়ের সাথে সামনে এগিয়ে আসতে পারতাম ?
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এটা সম্ভব । হয়ত কাজটা খুব সহজ হবেনা, কিন্তু অসম্ভব নয় । জাফর ইকবাল স্যারের সাথে এ ব্যাপার গুলো নিয়েই কথা হল । তিনি এই শুভ উদ্যোগের অংশীদার হবেন , কিন্তু একি সাথে এর সম্ভাব্যতা নিয়ে সুনিশ্চিত হতে চান । তিনি বিশ্বাস করেন হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে তার একটি মাত্র নির্দেশনায় বহু মানুষ এ শুভ কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়তো নির্দ্বিধায় । কিন্তু সে বাস্তবতা তার ( হুমায়ূন আহমেদ ) অবর্তমানে কতটা কার্যকর, এব্যাপারে কিছুটা দ্বিধান্বিত তিনি । আমি তাঁকে ফেসবুকে, বাংলা – ইংরেজি বিভিন্ন ব্লগে আমদের কার্যক্রমের একটা ধারণা দিলাম । শুধু তাই নয় , হুমায়ূন ভক্ত বন্ধুরা আমরা কি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, কি কি করতে পারি তাও বুঝিয়ে বললাম । অবশেষে আমাদের আত্মবিশ্বাস দেখে হয়ত বা তিনিও বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন । তাই আমাকে আমাদের পরিকল্পনা গুছিয়ে লিখে তাঁকে জানাতে বললেন । তবে আমি তাকে যেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি মূল আহবান টা হুমায়ুন পরিবার থেকেই আসতে হবে । আর তাই ব্যাপারটা নিয়ে তিনি পারিবারিক আলোচনায় পরবর্তীতে কথা বলবেন বলে আমাকে জানালেন । একটা ব্যাপার নিয়ে তাকে কিছুটা চিন্তিত মনে হল আমার কাছে । জাফর ইকবাল স্যার বললেন বিষয়টা স্কুল , কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের হলেও তিনি নিজে এ নিয়ে বিশদ ভাবতে পারতেন, কিন্তু বিশেষায়িত ক্যান্সার নিরাময় হাসপাতাল সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারণা নেই । কিন্তু তিনি নিজে এ ব্যাপারে আগ্রহী ।
তাই আমি বন্ধুদের অনুরোধ করছি আমাদের মাঝে এমন কেউ কি নেই যার নিজের, কিংবা পরিচিত কারো এ ব্যাপারে ভালো ধারণা আছে । থাকলে দয়া করে নিরবতা ভেঙ্গে এগিয়ে আসুন । হয়তো আপনার একটি অতি সাধারণ বুদ্ধি – পরামর্শই সময়ের বিচারে অমূল্য বিবেচিত হতে পারে । আরও জানতে চাচ্ছি, আপনার বিবেচনায় কীভাবে এই ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু এবং পরিচালিত হতে পারে ?
বিশাল এই কর্মযজ্ঞে পাশে পাবো তো আপনাদের ???
Ibrahim Khalil