নামে মাত্র দুটি দল, কাজে কিন্তু একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। নীতিগত দিক থেকে তারা ভিন্ন। নীতিতে থাকলেও কাজের দিক থেকে তারা কিন্তু অভিন্ন। কোনও দল ক্ষমতায় এলে শুরু হয় সেই দল এর ক্ষমতার বিকাশ, প্রথমত ক্যাম্পাস দখল , বিরোধী দলের কর্মীদের উপর অত্যাচার, এলাকায় ক্ষমতার পালা বদল, তারপরে শুরু হয় দলীয় কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বাগিয়ে নেয়ার কৌশল, সব দলই বিটিভি'র মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করে তারা দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন এর জোয়ারে প্লাবিত করছে| দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ, প্রশাসনে দলীয় করণ, পুলিস বাহিনীকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী করার এক বিশেষ আনন্দ উভয় দলকেই ছুঁয়ে যায়। বিরোধী দল দমনে তারা দুর্বার শক্তি প্রয়োগ করতে পারে| এ দুই দল এর মাঝে পড়ে গণতন্ত্র আজ নিষ্পেষিত। মানলাম একত্তুরের স্বাধীনতার যুদ্ধে মানুষ একটা শান্তির, সোনার বাংলা চেয়েছিল, কিন্তু তারা কী এই বাংলাদেশ চেয়েছিল? উন্নয়ন এর প্রত্যাশা দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসে, ক্ষমতায় এলেই তারা সব ভুলে যায়।
বর্তমান অবস্থার কথা ভাবুন! যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন ( বেহাল দশ), প্রশাসন এর নিরপেক্ষতা ( আল্লাহ জানে), রেল যোগাযোগের সফল উন্নয়ন ( যার কারণ এ রেল এর ছাদ থেকে পড়ে ১০ জন এর রেল শহীদ হবার ঘটনা ) সিন্ডিকেট এর কারণ এ দ্রব্যমূল্যের নিম্নগতি (বাণিজ্য মন্ত্রী নাকি এই সিন্ডিকেট দমন করতে পারেন না) নরসিংদীর মেয়র লোকমান হত্যা, প্রতিনিয়ত খুন, এই হল আমাদের আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন ।
জনগণের মন্তব্য , মতামত না নিয়েই সংবিধান এ সংশোধনী আনা হয়। যেখানে সঙ্গীত প্রতিযোগীতাতে আমদের লক্ষ লক্ষ মানুষ এসএমএস ভোট দিতে পারে অথচ জাতীয় কোনও ইস্যুতে এসএমএস ভোট করে তার গণতান্ত্রিক একটু অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। এই হল গণতন্ত্র, যেখানে জনগণ এর মত নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই আমাদের কোনও সরকারের। এখানেও সেই একই কথা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কাছে আমাদের সব মানুষ এর জীবন জিম্মি , আর তাদের কাছে আমদের স্বাধীনতা ও বেশিরভাগ সম্পদ গণতন্ত্র নামক এক জাল এর মাঝে জিম্মি!