আমার প্রাইভেট কার বা মোটর সাইকেল সম্বন্ধে তেমন ধারনা নেই তারপরেও আমার ভাবনা শেয়ার করছি। প্রতিবেশি দেশ ভারতের টাটা গ্রুপের বিভিন্ন মূলের গাড়ির ব্যাবসা ভালোই চলছিল এই অবস্থায় তারা ১ লাখ রুপির ন্যানো গাড়ি বের করার চালেঞ্জ নিতে বাধ্য ছিলনা। তারা বলেছে ভারতের মধ্যবিত্তের প্রতি লক্ষ রেখেই এই চালেঞ্জ তারা গ্রহণ করেছে এবং তা মধ্যবিত্তের মাঝে আলোড়ন তুলেছে। যা ছিল একটি জুয়া বা লাভ লোকসানের খেলা তারপরেও তারা এই চালেঞ্জকে গ্রহণ করেছে । এখনো সময় হয়নি লাভ লোকসানের ফল নির্ধারণ করার। এই ন্যানো গাড়ি নেপালেও আলোড়ন তুলেছে। এবার টাটা ৩৫ হাজার রুপিতে দোতলা ন্যানো ঘর তৈরি করেছে। তার মানে ব্যবসায় চমক বাদেও ভালো কোন লক্ষ তাদের থাকতেও পারে যেহেতু তারা ব্যবসায়ি বাদেও এই সমাজেরই মানুষ।
——————————————————————————–আমিও এক জন বাংলাদেশী হিসেবে উৎসাহী হয়েছিলাম যখন দেখলাম WALTON দেশিয় পণ্য এর প্রচারণা তারপর আশা করতে লাগলাম ২০১১-২০১২ বাজেটে যখন ভিনদেশী মোটর সাইকেল ও ফ্রিজ এ লাগাম লাগানো হবে তখন আমরাও কিছু পাওয়ার আশা করতে পারবো বা আশার কথা শুনতে পাবো যেহেতু যাত্রা সবে শুরু।
————————————————–এক বন্ধুর সাথে আড্ডা দিতে দিতে WALTON এর শোরুমের সামনে এসে পরলাম তখন বন্ধুটি বলল আমি একটা ফ্রিজ কিনতে পারি চলেন দেশি ব্র্যান্ড দেখি আসি আমিও বললাম চলুন। শোরুমে মোটর সাইকেল টিভি ফ্রিজ একটার পর একটা দেখতে লাগলাম মুগ্ধ নয়নে, দেশিও বলে কথা। তো মোটর সাইকেলের দাম সম্পর্কে সেলস ম্যানকে জিজ্ঞাসা করতেই বুজতে পারলাম বিদেশি মোটর সাইকেলের দাম বাড়ানো হয়েছে কিন্তু দেশিও পণের দাম কমানো হয়নি অর্থাৎ দেশিও পণ কিনতে বাধ্য করা আরকি যাই হোক ভাবতে ভাবতে এগিয়ে গেলাম দুজনে, একটা ফ্রিজের সামনে যেয়ে বন্ধুটি ফ্রিজের হ্যান্ডল ধরে টান দিলো কিন্তু ফ্রিজের দরজাটা না খুলে হ্যান্ডলটার নিচের অংশ খুলে গেলো। তখন এক সেলসম্যান আরেক জনকে বলছে ওই সুপার গ্লু নিয়ে আসতো। বন্ধু বললেন, চলেন স্যামসাং এর শোরুমে যাই।
—————-আমার আশা দুর্বল হয়ে পড়েনি। আমার স্বপ্নও হোঁচট খায়নি। আমরা এখন জাহাজ রপ্তানিকারি দেশ। এমনিভাবে আজ WALTON শুরু করেছে কাল যখন আরেকটি দেশিয় প্রতিষ্ঠান আসবে তখন প্রতিযোগিতাই মান নির্ধারন করে দিবে।