সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডঃ সমাবেশ না মানববন্ধন, হামলা, হাতাহাতি নাকি ধাওয়া-পাল্টা কোনটি সঠিক?

কিমরুল আলম সুমন
Published : 24 June 2012, 11:43 AM
Updated : 24 June 2012, 11:43 AM

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকারীর বিচার দাবিতে সাংবাদিক সংগঠনগুলো আজ (২৪.০৬.২০১২) দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে যৌথ কর্মসূচি পালন করে। এ কর্মসূচিকে ঘিরে সাংবাদিকদের মাঝে ঘটা একটি অনাকাংখিত পরিস্থিতি নিয়ে দেশের দুটি প্রধান অনলাইন নিউজ মিডিয়া বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ও বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম দুরকমের সংবাদ পরিবেসন করে যা নিচে তুলে ধরা হলোঃ

বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবেসিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মানববন্ধ শুরু পর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান "সাগরু-রুনি মৃত্যুর জন্য এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান দায়ি। তার কার্যলয় ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি" এরূপ বক্তব্য দিয়ে বক্তব্য শেষ করার পর এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি শওকত মিল্টন তেড়ে গিয়ে "কর্মসূচি ঘোষণা করার আপনি কে?" বললে মিল্টন ও এটিএন বাংলার অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর দৌঁড়ে প্রেসক্লাবের দিকে চলে যেতে চাইলে ধাওয়া করে তার ওপর চড়াও হন মিল্টন, জ. ই. মামুনসহ এটিএন বাংলার অন্য সাংবাদিকরা। পরে প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে অন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এটিএন বাংলার কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেন। এরপর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী নেতৃত্বে সাংবাদিক নেতাদের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

অপর দিকে বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম পরিবেসিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সমাবেশের শুরুতে জাহাঙ্গীর আলম প্রধান "সাগরু-রুনি হত্যাকান্ডে সঙ্গে জড়িত এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে" এরূপ বক্তব্য দিলে এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি শওকত মিল্টন প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ঐ নেতাকে শার্টের কলার ধরে মারতে মারতে চেনে হিঁচরে প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়ে যায় এবং সেখানে মিল্টনের সঙ্গে মারামারিতে অংশ নেয় এটিএন বাংলা হেড অব নিউজ জ. ই. মামুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী, বিশেষ প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান, কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ও মানষ ঘোষ এবং রিপোর্টার রাহাত মিনহাজ। পরে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ও প্রেসক্লাবের কর্মীরা হামলাকারী এটিএন বাংলার সাংবাদিকদের প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দেন।

সম্মানিত ব্লগার ও পাঠকগণ ভাবুন তো, এ দুটি নিউজ মিডিয়া থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে যেসব প্রত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয় সেসব পত্রিকার পাঠকরা একই ঘটনার দু'ধরনের সংবাদ পাঠ করে বিভ্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি! সংবাদ দুটি পাঠ করে আমি পরিষ্কার বুঝতে পারছি না 'সমাবেশ না মানববন্ধন, হামলা, হাতাহাতি নাকি ধাওয়া-পাল্টা' আসলে কোনটি সঠিক?

বিদ্রঃ ব্লগ লেখায় আমি পারদর্শী নই। ভুল-ভ্রান্তির জন্য অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী। বানান ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইলো। -কিমরুল।