পুজার মেলা ঘুরতে ঘুরতে মনে পড়ে গেলো ছেলেবেলার দিনগুলির কথা। মেলায় যাব এমন ফুর্তিতে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দিতাম।সকাল থেকেই সেজেগুজে বসে থাকতাম।মেলার হাতখরচটা পাওয়ার পর কি যে আনন্দ হত তা এখনো অনুভব করি।
সবকিছু বদলে গেছে। বদলে গেছি আমি,বদলে গেছে আমাদের গ্রামটিও।চারিদিকে কত পরিবর্তনের ছোঁয়া।আধুনিকাতার মোড়কে ঢাকা পড়ছে সবই।
তবে আশ্চর্য হলেও সত্য,সব বদলালেও বদলায়নি আমাদের চীরচেনা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলা।পুজোর মেলা,বৈশাখি মেলা,চৈত্র-সংক্রান্তির মেলা,ঈদের মেলা,মধু মেলা আরো কতশত মেলা আজো রয়ে গেছে সেই চীরচেনা রূপে।আগেকার মত এখনো মেলায় প্রাধান্য পায় মাটির খেলনার দোকান,মিষ্টির দোকান,কাঠের তৈরী খেলনা গাড়ির দোকান,পিস্তলের দোকান,বেলুলের দোকান,গরম পাপড়/বাদাম-চানাচুরের দোকান,নাগরদোলা,বায়োস্কোপ আরোও কত কি।আধুনিকতা এখানে স্পর্শ করার স্পর্ধা দেখানোর সাহস পায় না।আসলে ঐতিহ্যকে এতো সহজে বদলানো যায় না।এটাযে আমাদের রক্তের সাথে বয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে।
এবার পুজ়োর মেলায় তোলা এমনই কিছু ছবি দিয়ে দিলাম নিচে।দেখুন আমাদের ঐতিহ্য এখনও কত যৌবনা।