বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মেজর জিয়ার ভূমিকা নিয়ে আমি কখনই প্রশ্ন তুলিনি।যথেষ্ট শ্রদ্ধার সঙ্গে তার ভূমিকাকে সম্মান করতাম।যদিও পরবর্তিকালে তার ভূমিকা ছিল নোংড়া ইতিহাস গড়া ছাড়া আর কিছু না। তারপর থেকে তাকে নিয়ে ডিল ছুড়াছুড়ি-কাঁদামাখামাখি কম হয় নি। আজ “আমাদের সময়” মেজর সাহেবের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন করে দিল!!!
একটি চিঠি আজ বাংলাদেশের মানুষের সামনে উন্মোচন করেছে পত্রিকাটি।

সেই চিঠি খানি
চিঠিটি ছিল ১৯৭১ সালের ২৯মে কর্ণেল বেগের লেখা মেজর জিয়ার প্রতি। যা ছিল চিঠিতে-
Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca
We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon.
DonÕt worrie about your family. Your wife and kids are fine.
You have to be more carefull about major Jalil.Col. Baig Pak Army
May 29. 1971
‘জিয়াকে লেখা কর্নেল বেগের চিঠি’…বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায়-
মেজর জিয়াউর রহমান, পাক আর্মি, ঢাকা তোমার কাজে আমরা সবাই খুশি। আমাদের অবশ্যই বলতে হবে তুমি ভালো কাজ করছো। খুব শিগগিরই তুমি নতুন কাজ পাবে।তোমার পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়োনা। তোমার স্ত্রী ও বাচ্চারা ভালো আছে। তোমাকে মেজর জলিল সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকতে হবে।( কর্নেল বেগ, পাক আর্মি মে ২৯, ১৯৭১)
এই চিঠি কি প্রমাণ করে?তা বিচার করবে সময়।তবে বই পড়ে,পত্রিকা মারফত কিংবা সেসময়ের মুরব্বীদের কাছ থেকে শুনে(যেহেতু জন্ম স্বাধীনতার অনেক বছর পরে) ইতিহাস যেটুকু জানি তার সাথে এই চিঠি মিলালে একটিই বিশ্লেষণ পাই।
-১৯৭১-এর এই চিঠি,১৯৭৫-এ জিয়া-মোশতাক চক্রের আতাত ও বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা, তার পরবর্তি ঘটনা পঞ্জী,যুদ্ধপরাধের বিচার বন্ধ ও অপরাধিদের মুক্তিদান, দাবি স্বত্ত্বেও ১৯৯১ সালে খালেদা সরকারের ইনডেমনিটি বাতিল না করা,২০০১সালে যুদ্ধপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন এবং মন্ত্রীত্ব দান, এখন আবার বিচার বানচালের যড়যন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে(যারা আমাদের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী ছিলেন) খালেদা জিয়ার নালিশ পত্র ইত্যাদি একত্র করলে কি দাঁড়ায়?
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেনঃ
কি দাঁড়ায়? দাঁড়ায়.. হাম সব পাকিস্তান কা দোস্ত 😈 😈 হ্যায় !!
নীলকন্ঠ জয় বলেছেনঃ
হাম সব পাকিস্তানি দোস্ত হ্যায় 😉 😉 👿
সময় সব সত্য উদঘাটন করবে।ইতিহাস রচনা করে মানুষ আর সময় করে সঠিক ইতিহাসের ঘটনা।
আরো অনেক সত্যিই হয়ত বাঙ্গালী জাতি জানবে কিন্তু আফসোস ততদিনে জাতির অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
প্রবাসী বলেছেনঃ
আমার মনে হয় কি জানেন, মেজর জিয়া গুপ্তচরের সুযোগ পেয়েও তা করেনি অথবা গুপ্তচর ছিল। কারন এক পাকি সেনার চিঠি পেয়ে (বানিয়ে ও হতে পারে) এ সিদ্ধান্তে কিছুতেই পৌছা যাবে না যতক্ষণ না এ বিষয়ে জিয়ার কোন প্রতিউত্তর পেয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বরং এভাবে ভাবা যায় গুপ্তচরের সুযোগ পেয়েও জিয়া তা করেননি, যে সুযোগ আওয়ামীলীগের মীরজাফর গোত্রীয়রা পায়নি। শুধু দৃঢ় চিত্ত তাজ উদ্দিনের অপরিসীম মনোবল ও সাহসিকতা আর বাংলার বিদ্রোহী সেনা অফিসার, সৈনিক ও বামদের পাকিদের প্রতি আপোষহীন মনোভাব সর্বোপরি বাংলার আবাল বৃদ্ধ বনিতার (আওয়ামীলীগের নেতা গোছের অধিকাংশ লোকজন ছাড়া) মুক্তিযোদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহনের কারণেই আমারা স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছি। ইতিহাস সাক্ষী, আওয়ামীলীগের নেতারা মুজিব বাহিনী করে তাজ উদ্দিন সরকারেরই শুধু বিরোধিতাই করেনি শেখ মুজিবের মুক্তির বিনিময়ে পাকিদের সাথে সব ধরনের আপোষ রফার জন্যও তৈরি ছিল সেই মীরজাফর গোষ্ঠী। যার প্রমান পাওয়া যায় এই কথাটিতে
এটি ছিল ১৩ই ডিসেম্বর ‘৭১ এর ঘটনা; বিজয়ের ঠিক অগমুহুর্তের (সুত্র: মূল ধরা ‘৭১।
সে সময় এই চক্র এমন অনেক আপোষ নামা নিয়েও ঘুরাঘুরি করেছে। এরূপ কত ভয়ঙ্কর গল্প যে ইতিহাসে জড়িয়ে আছে তা কি আমরা জানি?
বর্তমানের প্রভাবশালী মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই হয়তো বিজয়ের পর মুহূর্তের সেই কুখ্যাত ““Sixteenth Division”” এর “স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা” ছিল যা কিনা সেই সময়েই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে আলাদা করা যায়নি।
সুতরাং এমন আর অনেক চিঠিই হইত একে একে বেরিয়ে পড়বে অচিরেই যা নিয়ে ব্লগ গরম হয়ে উঠবে। আর সেই উত্তপ্ততার ফাঁক ফোঁকরে বেড়িয়ে আসবে সত্যিকার ইতিহাসের অংশবিশেষ। টুকরো ইতিহাসের সেই অংশগুলোই একদিন সত্যিকারের ইতিহাস হয়ে পরপ্রাজন্মের জন্য ভাস্মর থাকবে।
ধন্যবাদ জয় (সুদর্শন ব্লগার)।
নীলকন্ঠ জয় বলেছেনঃ
এটা আবার কোথাকার ইতিহাস? 😯 😯 কে রচনা করল? 🙄 🙄
মানুষটা কে?যে ১৬ ডিসেম্বরকে কুখ্যাত SIXTEEN DECEMBER 😳 😳 বলেছে?জানাবেন কি?
সাইফুদ্দীন বলেছেনঃ
কিছু লিখতে পারছি না বলে দু:খিত। কারণ যাদের নিয়ে সমালোচনা তারা আমাদের জাতীয় নেতা।হাজার বছর চেষ্টা করলে তাদের মত নেতা হওয়া যাবেনা। ব্লগের লেখা পাঠাতে পারবেন, মুজিব, জিয়া , ওসমানী,হওয়া যাবে না। সুতারাং তাদের নিয়ে আজে বাজে না লিখে নিজের বোগলের নিচে একবার দেখুন গন্ধ আছে কিনা। ধন্যবাদ।
কালেরকণ্ঠ বলেছেনঃ
ছি ! জয় এগুলো বলতে নেই 😛 দেখছোনা ওনার গোশসা করছেন…. এক ব্রাদারতো রেগেটেগে লাল হয়ে ঐতিহাসিক(!) এক প্রতিক্রিয়া তোমার ও আমার দুই পোষ্টেই ছেপে দিয়েছে….
নীলকন্ঠ জয় বলেছেনঃ
লাল হয়েছে আমার ফেইসবুকের দুই ফ্রেন্ডও।দেখুন না কি প্রতিক্রিয়া!
*
Jahid Hasan in the 25th march zia was announced that we are the freedom nation , in the mean time he was fighting against pakistan where the writer noticed that in 29th may,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,what a shameless jokes are performing with us,,,,,,,,,,,,,,,ziaur rahman was the z force commender in the freedom fighting war,,,,,,,,,,,,so why want to become shameless;;;;;;;;;;;;;;what are the mentallity are want to showing,,,,,,,,,,,,,,,,@ joy
about an hour ago · Edited · Like
*
Moniruzzaman Lotus vai 11 sector juddo ki apni korcilan naki apner dada korcilo your informatin is totaly rong so be careful next…………………
2 hours ago · Like
*
নীলকন্ঠ জয় Mr Moniruzzaman Lotus and Jahid Hasan dont think that this article is written by me.publshid by amader somoy.and the information is collected from the ISF of pakistan not from any other country.and you all know that MIRJAFOR was the chief army leader of SIRAZUDDOULA.so dont need to take that reference of Z force.and mr monir in ur kind information i am coming from a freedom fighters family.my uncle was a freedom fighter and he was killed by the pakistani army at 24 august.so i have no need to clear my mind.i totally hate the persons who are against the war criminal tribunal and against the independence of Bangladesh.
নীলকন্ঠ জয় বলেছেনঃ
তবে জাহিদের ইতিহাস জ্ঞান ভালোই বাকিজন ফাঁকা রামবুলিই ছাড়ে।এই ব্লগে জাহিদকে পেলে জমত ভালো।ছাত্র রাজনীতির সুবাদে ও ভালো ইতিহাস চর্চা করে বোঝা যায়।আমি ফেইসবুকে দু একজনকে চেতাইতে স্টাটাসটা দিয়েছিলাম।দুই-চার জন যে প্রতিক্রিয়া দেখাবে এটা প্রত্যাশিত ছিল।জাহিদ আমার ভালো বন্ধু।রাজনৈতিক মতাদর্শ বন্ধুত্বের বন্ধনে ফাটল ধরাতে পারেনি এটাই আমাদের বড় অর্জন। বন্ধু হিসেবে শুভ কামনা থাকে একে অন্যের প্রতি সব কাজেই।
নীলকন্ঠ জয় বলেছেনঃ
বগলের দুর্গন্ধ নেওয়ার কু-অভ্যাস থাকলে আমন্ত্রণ।
মুজিব,ওসমানী একজনই কিন্তু যুগে যুগে মীরজাফরদের অভাব নেই ভাই।
আজে-বাজে না হয় লিখেই ফেলেছি কিন্তু আপনিতো সত্য কথাটা বলে গেলেন না ভাই???
মাহবুব বলেছেনঃ
কিছুদিন আগে আমার একটা লিখতে মন্তব্য করতে গিয়ে বাঙাল ভাই এই
লিংক টা দিয়েছিল! সেখানে যা লিখা ছিল এর সাথে যদি এই চিঠিটাকে এক সাথে রাখি, তাহলে দুটোকেই সত্যি বলে মনে হয়! আমাদের বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা এখনো একটা পরিশুদ্ধ ইতিহাসের দেখা পেলাম না! তাই আজ যাকে বীর ভাবছি কালই তাকে বেইমান ভাবতে মনে কেমন যেন দ্বিধা জাগে! আমার একটাই প্রশ্ন, আমরা কি সঠিক ইতিহাস কোনদিও জানতে পারবনা?
নীলকন্ঠ জয় বলেছেনঃ
হুম বড়ই চিন্তার বিষয় 😮
মজিবর বলেছেনঃ
জয় ভাই,
ম্যাডাম জিয়া ও মেজর জিয়াই বা কখন দেশের জন্য করলেন ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায় কী?
মেজর জিয়াও ধান্দাবাজ, ইতিহাসের প্রেক্ষিতে জানা, প্রথম যখন মেজর জিয়াকে তিন নম্বরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল তখন তিনি দেশের আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের অর্থাত্ যারা দেশের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন ও ত্যাগ করে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার শিখরে স্বাধীনতার পূর্ণস্বাদ পেতে যাচ্ছে তখন তিনিই কিনা সব দাবি করে নিজেই প্রধান সেজে গেলেন সর্বেসর্বা বা কুতুব তখনই আ.লীগ ও মুক্তিকামী মানুষের বোঝা উচিত ছিল এই জিয়া দেশের একজন আত্তঘাতী রাজাকার বনে যাবেন এক মুক্তিযোদ্ধা।
মোঃ তানভীর সাজেদিন নির্ঝর বলেছেনঃ
সত্যতা মেলে খালেদা জিয়ার অবস্থানের কারনে। সঙ্গত কারনেই তাঁর জামায়ত প্রীতি ও পাকিস্তান প্রীতি বলে দেয় ভেতরগত ভাবে উনারা দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে। জামায়তের এমন কি আছে যে, এত বিতর্কিত হওয়ার পরও উনি জামায়ত কে আঁচল দিয়ে আগলে রেখেছেন।
প্রবাসী বলেছেনঃ
ব্রাদার কালের কণ্ঠ ব্লগের নিয়ম নীতির কোথাও কী এমন কোন আইন আছে যে একই বিশেয়ে একাধিক ব্লগার পোষ্ট করতে পারবে না? এমন নিয়ম থাকলে জানিয়ে বাধিত করতেন। আর এধরনের নিয়ম থাকলে অতি অবশ্যই একই বা একই ধাচের মন্তব্য একাধিক পোষ্টে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। সে ক্ষেত্রে আমি ভুল স্বীকার করে একটি বা উভয়টি প্রত্যাহার করে নেব।
ব্রাদার রেগেটেগে লাল হইয়া নয় বরং বেশ জোস নিয়া আরাম করিয়াই পোস্ট পড়ছি বা অবলোকন করছি আর প্রশান্তির ঢেঁকুর তুলছি।
@ লেখক, বিজয়ের পর মুহূর্তে যে পাকসেনা, রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী অস্র ফেলে পালিয়ে বেঁচেছিল সেই ফেলে যাওয়া অস্র দেশের সুবিধাবাদী শ্রেণীর বিশেষ করে কিছুটা ধনিক শ্রেণীর জোয়ান – মর্দ পোলারা কুড়িয়ে নিয়ে “”ফ্রিডম ফাইটার” বনে গিয়েছিল। এর বেশির ভাগই যে আওয়ামীলীগের জোয়ান মর্দ ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। যারা মুক্তিযোদ্ধের পুরোটা সময় ঘাপটি মেরেছিল (অনেকে ইন্ডিয়া থেকে বিশেষ ট্রানিং নেওয়ার পরও)।
একটু বৃদ্ধ গোছের গো-বেচারা টাইপের (যার কপালে ধানের শীষ বা নৌকার জল ছাপ এখনো পড়তে দেননি) যে কোন মুক্তিযোদ্ধার কাছে জিজ্ঞেস করলেই ওই ডিভিশন সম্পর্কে আর ১৭ ডিসেম্বর ‘৭১ থেকে ওদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন বলে বিশ্বাস। 💡 💡 💡
জান মাহমুদ খান বলেছেনঃ
জয় ভাই,
তিনি গুপ্তচর না হলে উনার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হবে কেন? উনি গুপ্তচর না হলে মাত্র তিন মাসের সেক্টর কমান্ডার হবেন কেন?
উনি গুপ্তচর না হলে রাজাকারদের ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় আনবেন কেন?
উনি গুপ্তচর না হলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারী করবেন কেন?
দলিল ছাড়াই গুপ্তচর হওয়ার জন্য এগুলোই কি যথেষ্ট নয়?
mosta বলেছেনঃ
@ লেখক। আপনার নলেজ এত লম্বা যে আপনি কুখ্যাত সিক্সটিন্থ ডিভিশন কে SIXTEEN DECEMBER মনে করেছেন। কোনও বেসিক নলেজ না থাকলে যা হয়। আইএসএস কে আপনি আইএসএফ এবং জিয়া তার নিকট লেখা বেগ এর চিঠি আইএসএস এর নিকট জমা দিয়াছেন, যা আইএসএস আমাদের সময় কে দিয়াছে বলছেন (the information is collected from the ISF of পাকিস্তান)। দারুন ——————–