কুমারখালির বিষাক্ত স্পিরিট ট্রাজেডি: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে রিপন

কুমারখালি
Published : 22 June 2011, 05:29 PM
Updated : 22 June 2011, 05:29 PM

কুমারখালির আলোচিত বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিট ট্রাজেডির অংশ হিসেবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রিপন (৩৫)। এ ঘটনায় বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রেতা হলবাজারের জুয়েল ফার্মেসীর মালিক বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে শহরের দুর্গাপুর গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ। রিপন বর্তমানে ঢাকার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। রিপনের পরিবার সুত্রে জানাযায়, রিপনের শারিরীক অবস্থা আশংকাজনক। চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সজ্ঞাহীন অবস্থায় গত ৪৮ ঘন্টা আইসিইউতে অবস্থান করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ৭২ ঘন্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা সম্ভব হচ্ছেনা। এদিকে ১৮ জুন রাতে বিষাক্ত স্পিরিট বিক্রেতা শহরের হলবাজারের জুয়েল হোমিও ফার্মেসীর মালিক বিপ্লব কুমার বিশ্বাসকে কুমারখালি থানা পুলিশ আটক করে। থানার এসআই প্রকাশ বাদী হয়ে বিপলবের বিরুদ্ধে অবৈধ স্পিরিট বিক্রেতার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। পরের দিন ১৯ জুন বিপ্লবকে কোর্টের মাধ্যেমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। সুত্রে জানাযায়, জুয়েল হোমিও ফার্মেসী থেকে বিষাক্ত স্পিরিট কিনে পান করার পর সেরকান্দি গ্রামের খোকন প্রামানিক (৫২), একই গ্রামের খলিলুর রহমার ওরফে খলিল বাবুর্জি (৬০), কাজিপাড়া ফায়ার সার্ভিস এলাকার হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪৮) মারা যাওয়ার পর ঐ সমস্ত এলাকার লোকজন হোমিও ডাঃ বিপ্লব ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর চড়াও হয়। এঘটনায় বিপ্লবের পরিবারের লোকজন থানা পুলিশ হেফাজতে দেয় বিপ্লবকে। বিষাক্ত স্পিরিট পানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রিপনের বাড়ি শহরের দুর্গাপুর কাজিপাড়া গ্রামে। সে ঢাকার সোহরওয়ার্দী হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অবস্থিত একটি ক্যান্টিনে মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। প্রতি মাসের মতো এ মাসের ১৫ জুন ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রিপন সাংবাদিকদের জানান, ১৭ জুন সন্ধায় সে জুয়েল হোমিও ফার্মেসীর মালিক বিপ্লবের নিকট থেকে স্পিরিট কিনে পান করে। এরপর বাড়ি এসে শুরু হয় বমি। পাশাপাশি চোখে কম দেখাসহ শারিরীক যন্ত্রনা শুরু হয়। পরের দিন ১৮ জুন একই দোকান থেকে স্পিরিট কিনে পান করায় অপর তিনজন মারা যাওয়ার সংবাদ শোনার পর রিপনের পরিবারের লোকজনের ভেতর ব্যাপক আতংক বিরাজ করে। কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ১৯ জুন দুপুরে রিপনকে ঢাকার সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ঐদিন রাতে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রিপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালে প্রেরণ করে। উল্লেখ্য, ১৮ জুন কুমারখালিতে বিষাক্ত রেকটিফায়েড স্প্রীট পানে ৩ জনের করুন মৃত্যু হয়।