কোরবানীর বীভৎস দৃশ্যাবলী ও দুর্গন্ধময় শহর

মাহি জামান
Published : 23 Oct 2012, 05:46 AM
Updated : 23 Oct 2012, 05:46 AM

যখন থেকে স্ব-পরিবারে শহরে বসবাস করি তখন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো একটি ঈদেও গ্রামের স্বজনদের ছেড়ে থাকতে পারিনি। প্রতিটি ঈদেই নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে ছুটে যাই। কখনো কখনো রমজান ঈদের পর বাড়ীতে বাড়তি কয়েকদিন থাকা হলেও কোরবান ঈদের পর তা হয়না মোটেই। ঈদের দিন বিকালেই শহরে ফিরতে হয়। শহরে ফিরেই মুখোমুখি হই এক অসহ্য বিড়ম্বনার। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোরবানীর পশুর রক্ত-বর্জ্যের বীভৎস দৃশ্য আর তীব্র গন্ধ মারাত্মক অস্বস্থিকর এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। রাস্তায় চলার সময় কোথাও কোথাও দূর্গন্ধে দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়। দক্ষিনা হাওয়ায় ভেসে আসা সেই দূর্গন্ধ আমার তিন তলার ফ্লাটেও সহজে পৌঁছে যায়। সিটি কর্পোরেশনের সীমিত জনবল আর অপর্যাপ্ত লজিস্টিকস কোনভাবেই সক্ষম হয়না দুর্গন্ধের উৎস সে বর্জ্যগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে। আবার কর্পোরেশন কর্তৃক বর্জ্য অপসারনের পরও অনেক জায়গায় কিছু আবর্জনা থেকে যায়। ভাল ভাবে ধোয়ার ব্যবস্থা না থাকায় সম্পূর্ণ ময়লা সরানোর পরও অনেক জায়গায় গন্ধ দূর হয়না।

সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল আমি যে আবাসিক এলাকায় থাকি সেখানে ঈদের এক সপ্তাহ পরও বর্জের গন্ধ থেকে যায়। ঈদের দিন প্রতিটি বাড়ীর গ্যারেজ অথবা পার্কিং গুলো একেকটি কশাই খানায় পরিনত হয়। কাজ শেষে সবাই নিজ নিজ গ্যারেজ বা পার্কিং ধুয়ে পরিষ্কার করলেও পানির সাথে গিয়ে কিছু ময়লা রাস্তায় কিংবা নালায় পড়ে থাকে। পরে সেই ময়লা থেকে পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশকে দূষিত করে তোলে। এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন না হলে সমস্যা থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই। আমার সোসাইটির সেক্রেটারীকে সেদিন বিষয়টি বললাম। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিলেন। জানিনা কতটা কী করবেন। সবাই সচেতন না হলে দুর্গন্ধময় দূষিত শহরেই থাকতে হবে সকলকে অন্তত সপ্তাহ কয়েক।