ফিলিস্তিন, আরাকান, কাশ্মীরের মত প্রসঙ্গ গুলো যখন আসে তখন আমি আবেগ সম্বরণ করতে পারিনা। তাই প্রায়ই সংবাদগুলো এড়িয়ে যাই। ঠিক যেমনটা আমার বাবার মৃত্যুর পর হয়েছিল। বাবার প্রসঙ্গে কেউ কোন কথা বললে আমি সেখান থেকে উঠে যেতাম। তখন সবে কৈশোর পেরিয়েছি। এখনও সেই একই অনুভূতি। ফিলিস্তিন, আরাকান আর কাশ্মীরের মজলুম মানুষগুলো আমারওতো স্বজন। সেদিন আমার মৃত্যুপথযাত্রী বাবার জন্য কিছু করতে পারিনি। বহুদূরে ছিলাম তখন। এখনো বহুদূরে। কিন্তু যারা ওদের খুব কাছা কাছি তারা কেন নীরব, নিস্তব্ধ, নিষ্ক্রিয়। ওরা কি সব তাহলে অপদার্থের দল না-কি কাপুরুষ? রক্তাক্ত ফিলিস্তিনী শিশুগুলোর লাল কফিন আর নির্বাক মায়েদের চোখ ফাটা অশ্রুবান কি ওদের মনে একটুও মায়া জাগায় না?
হাজার মাইল দূরে থেকে অক্ষম আমাদের বড় কিছুই হয়তো করার নেই। কিন্তু ঢাকার রাজপথে ইসরাইলী আগ্রাসন বিরোধী একটি মিছিলও চোখে পড়েনি আজো। বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোর ভাবও কেমন যেন দায়সারা। ব্লগে যারা লিখেন তারাও সাম্প্রদায়িকতার চিহ্ন গায়ে লেগে যাওয়ার ভয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশ কাটিয়ে যেতে চান। হায়রে দুর্ভাগা মানুষ! হায়রে দুর্ভাগা মানবতা!