রাজশাহী আই.এইচ.টির এক ছাত্র আমার ছোট ভাই নিম্নোক্ত প্রতিবেদনটি আমার হাতে দিয়ে বললো এটা একটু লিখে দিন। আমরা বড়ই সমস্যায় আছি। আসলে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে কতশত সব সমস্যা যা আমারা জানি না।
প্রতিবেদন:-
১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনলোজী রাজশাহী (সাবেক প্যারামেডিকেল)। দক্ষ, আদর্শ ও নিবেদিত প্রান মেডিকেল টেকনলোজিস্ট গড়াই এই প্রতিষ্ঠানের মূখ্য উদ্দেশ্য। ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ডিপ্লোমা স্তরের সংগে সংযুক্ত হয়েছে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ বা বি.এস.সি কার্যক্রম। কিন্তু বর্তমানে আই.এইচ.টি'র শিক্ষার্থীরা পরিচয়হীন। অর্থাৎ তাদের কোন পরিচয়পত্র (আইডেনটি কার্ড) নাই। এর জন্য তারা হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি। উল্লেখ্য আই.এইচ.টি'র বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মধ্যে এটি একটি। এই বিষয়ে কয়েকবার আবেদন জানানো হলেও কোন সুরাহা হয়নি। অধ্যক্ষ বার বার বিষয়টি এড়িয়ে চলেছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ চরমে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আই.এইচ.টি'র দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র জানায়, তার এক আত্নীয় রামেক হাসপাতালে ভর্তি থাকায় সেখান থেকে রাত ২টার সময় আই.এইচ.টি'র হোস্টেলে ফিরছিলো। পথিমধ্যে টহলদার পুলিশ তাকে থামিয়ে তার পরিচয় জানতে চায়। সে একজন আই.এইচ.টি'র ছাত্র বলে পরিচয় জানালেও পরিচয় পত্র দেখাতে না পারায় সমস্যায় পরতে হয়। সে আফশোস করে বলে, এটা খুব দূঃখজনক যে, আমরা মেডিকেল টেকনলোজীর ছাত্র কিন্তু আমাদের কোন পরিচয় পত্র নেই অথচ একজন দারোয়ানেরও পরিচয় পত্র থাকে।
এছাড়া পরিচয় পত্র না থাকায় রামেক হাসপাতালের সাধারণ কর্মচারীরাও অনেক সময় রুঢ় আচরন করে। তারা নিজেদের চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়েও নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়। অথচ চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ঠ সকল শিক্ষানবিশের বিশেষ চিকিৎসা সেবা পাবার অধিকার রয়েছে।
উল্লেখ্য, তবে কি আন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত এই শিক্ষার্থীদেরকেও দাবি আদায়ের জন্য ক্লাশ বর্জন, অধ্যাক্ষকে তালা বন্দি কিংবা এই ধরণের কোন আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে!???
ফিজিওথেরাপী বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র রাশেল আহামেদ কৌতুক করে বলে, আমরা সবাই পরিচয়হীন!!!